এক মাস ধরে বন্ধ ৫ নম্বর ঘাট

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১২: ২৯
Thumbnail image

পদ্মার ভাঙনে দীর্ঘ এক মাস পরও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাটটি চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হোটেল, মুদিদোকান, ওষুধের দোকানের ব্যবসায়ীরাসহ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১০০ মিটার জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় ৫ নম্বর ফেরিঘাট। এ ছাড়া তার কিছুদিন পর ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন ঠেকিয়ে চালু করা হয়। তবে ১ মাস পার হলেও ৫ 
নম্বর ঘাটটি চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙনকবলিত ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পন্টুনটি যাতে ভেসে যেতে না পারে এ কারণে একটি জাহাজ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ঘাটের নদীর পাড়ের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা আড়াআড়িভাবে ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘাটের সংযোগ সড়ক।

ভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অন্তত ১০টি দোকান ও হোটেল সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।

দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মো. আক্কাস মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই ঘাটে হোটেল ব্যবসা করে আসছি। গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাঙনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ কারণে তাঁর হোটেলসহ আরও ১০টি দোকান নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস পার হলেও এই ঘাটটি চালু করা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

ফেরিঘাট এলাকার মাছব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে ৫ নম্বর ঘাটে অবস্থিত আমার দোকানে বসে ছিলাম। এ সময় দোকান থেকে বের হতেই দেখি পন্টুনের নিচ থেকে মাটি সরে পন্টুন দেবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সে সঙ্গে নদীর পাড়ের মাটিতে ফাটল ধরে ধসে পড়ছে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তখনই ঘাট এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা যাঁর যাঁর দোকান সরিয়ে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।’

চান্দু মোল্লা আরও বলেন, ব্যস্ততম এই ঘাট ভাঙনের কবলে পড়ে এক মাসের বেশি হয়েছে বন্ধ আছে। শুধু শুনে আসছি দ্রুত কাজ শুরু হবে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাজের কোনো অগ্রগতি দেখছি না। ঘাট বন্ধ থাকার কারণে তাঁর মতো অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘মেরিন বিভাগ থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এই ঘাটটি দ্রুত চালু করার জন্য। বিআইডব্লিউটি এর প্রকৌশলী কাজ করছেন। তাঁরা এই ঘাটটি চালু করে দিলেই আমরা এখানে ফেরি ভেড়াতে পারব।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন একটি প্রাকৃতিক বিষয়, এখানে কারও হাত নেই। পানি কিছুটা কমেছে, আরও কিছুটা কমলেই ৫ নম্বর ফেরিঘাট চালু হবে। যত দ্রুত সম্ভব ব্যস্ততম এ ঘাট চালু করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত