রপ্তানি বেড়েছে ৪১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ০০
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৫১

করোনা মহামারিতে আবারও সুখবর দিল দেশের রপ্তানি খাত। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশের তৈরি পোশাক পণ্যের জন্য অর্ডার বেড়েছে। এ কারণে ২০২১ সালের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকেরা। প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৭১৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আয় হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আয় হয় ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি আয় প্রবৃদ্ধি নিয়ে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমাদের পণ্যের জন্য অর্ডার বেড়ে যায়। করোনাকালে আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্প চালু থাকায় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত ছিল। এতে আমাদের আয় বেড়ে গেছে। কিন্তু ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অর্ডার কিছুটা কমেছে। এই রপ্তানি আয় বাড়ার ফলে আমাদের আমদানি ব্যয় পরিশোধে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘শুধু রপ্তানি পোশাক নয়, বরং সব রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক থাকলে আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ওমিক্রনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় আগের অর্থবছরের একই সময়ে হিমায়িত ও তাজা মাছ রপ্তানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ, কৃষি পণ্য ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্য ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, হস্তজাত পণ্য ৩২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিশেষায়িত পোশাকের ১৮৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চুল ও পরচুলা ১০৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, ফুটওয়্যার ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, সিরামিক্স পণ্য ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ, গ্লাস ১৪১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রকৌশল পণ্য ৫৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, জাহাজ, নৌকা ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘আগের রপ্তানি করা পণ্য থেকে এই রপ্তানি আয় এসেছে। এটা আরও কয়েক মাস অব্যাহত থাকতে পারে। আর ওমিক্রন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল আপাতত অনেকটাই কেটে গেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ আমাদের ক্রেতাদেশসমূহে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত