সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নদী ও সড়কপথে যোগাযোগের সুবিধা থাকায় সোনারগাঁর পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মেঘনা সেতুর পশ্চিম পাশের এই এলাকাটিতে গড়ে উঠেছে দেশীয় ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও। এসব প্রতিষ্ঠানের দাপটে এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস নেই বললেই চলে।
মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে স্থাপিত সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার-২ কোম্পানি লিমিটেড, স্যামসাং ৭১৮ মেগাওয়াট সিসিপিপি, ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট লিমিটেড এবং পিজিসিবির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ভেড়ানোর জন্য মূল নদীতেই জেটি বানানো হচ্ছে। এসব কারণে এ এলাকায় মেঘনা নদী বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে। বছর সাতেক আগেও যেখানে ছিল প্রবহমান নদী, সেখানে এখন ধু ধু বালুর মাঠ।
নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ নোঙর করে পণ্য খালাসের জন্য নদীর সীমানার বাইরে নিজস্ব জমিতে বেসিন কেটে সেখানে জেটি বানাতে হয়। কিন্তু সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার ইউনিট-২ মূল নদীতেই জেটি বানাচ্ছে। কাছেই সামিটের মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানির কংক্রিটের জেটি।
ইসলামপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেঘনার তীর ঘেঁষে সারি সারি বিদ্যুৎকেন্দ্র। সামিট ও স্যামসাংয়ের তিনটি কেন্দ্রের সামনে দিয়ে নদীতে যাওয়ার সুযোগ নেই সাধারণ মানুষের।
সামিটের দুটি প্রতিষ্ঠান উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে নদীতীরে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে রেখেছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের গেটে দাঁড়িয়ে নদীর তীরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেও মেলেনি। পরে ট্রলারে করে গিয়ে দেখা যায়, ভারী লোহার ফ্রেম বসিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে জেটি নির্মাণের স্থল। খননযন্ত্র দিয়ে নদীতে ফেলা হচ্ছিল বালু। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক নজর রাখছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘এখানে সামিট-২ কোম্পানি জেটি বানাবে। সামিটের কাছ থেকে এই কাজের ঠিকাদারি নিয়েছে মেরিন হাউস নামের এক প্রতিষ্ঠান। আমরা সেই প্রতিষ্ঠানের হয়েই কাজ করছি।’
স্থানীয় কয়েকজন জানান, কিছুদিন আগেও এখানে বালু ফেলা এবং এক্সকাভেটর দিয়ে কাজ করার ছবি প্রকাশিত হলে প্রশাসনিক চাপে কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া মোহসিনা হাসান গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামিটের পক্ষ হয়ে মেরিন হাউস যে নদী ভরাট করছে, সেটা আমাদের জানা নাই। তা ছাড়া, মেঘনা নদীতে আমরা কোনো জেটি নির্মাণ করছি না। মেঘনাঘাটে আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলোর তেল জাহাজ থেকে খালাস করার জন্য আমরা একটা ভাসমান পন্টুন তৈরি করছি, কোনো জেটি না। যতদূর জানি, বেশ আগে ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স এখানে জেটি নির্মাণ করতে চেয়েছিল। পরে আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। মেঘনা নদীতে সামিটের কোনো জেটি নির্মাণ হবে না।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষিণ প্রান্তে দেখা যায় বালুর বিস্তীর্ণ মাঠ। স্থানীয় কয়েকজন জেলে ও নিরাপত্তাকর্মী জানান, জমিটি আললিমা গ্রুপের। তবে এক জেলে দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটি বালু ফেলে অবৈধভাবে নদী ভরাট করেছে। এ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছিল। সোনারগাঁর পরিবেশকর্মী ও সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের শাহেদ কায়েস বলেন, নদী ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলনটা স্থানীয় গ্রামবাসী করেছিল। ওরিয়ন গ্রুপের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘শুনেছি, আললিমা গ্রুপ এখানে পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।’
ইসলামপুরের এক বাসিন্দা কোম্পানির থাবায় জমি হারিয়ে অন্যত্র বসতি গড়েছেন। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কোম্পানিগুলো সরাসরি কিছু করে না। স্থানীয় কিছু নেতা আগে সামনে আসে, তারপর জমি নিয়ে যায়। নদীর জায়গাও এভাবেই দখল হইতে থাকে।’
নদী দখলের চিত্র ধরা পড়ে স্যাটেলাইটের ছবিতেও। ২০২৩ সালে যেখানে ধু ধু বালুর মাঠ, ২০১৭ সালে সেটি ছিল নদীর নিচু জমি। বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে থাকত এবং শুকনো মৌসুমে চরানো হতো গবাদিপশু। সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ছবি দেখে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে যা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলো স্পষ্ট নদী দখল। মেঘনাতীরের পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন কোম্পানি নদী দখল করছে। প্রশাসনের উচিত এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য অভিযান চালানো।’ ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ওই কাজে সহায়তা করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন কাজ করেও থাকেন, তাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম দাবি করেন, নদী দখলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আপনার কাছে তথ্য-প্রমাণ থাকলে পাঠান, খোঁজ নিয়ে দেখব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শহিদ উল্ল্যাহ মেঘনাঘাট নদীবন্দর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। মেঘনাঘাট নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক শরীফ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগেই জায়গাটি ঘুরে এসেছি। ওরা (সামিট) সেন্ট্রাল থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে জেটি নির্মাণের জন্য। তিন-চার বছর আগেই এই অনুমতি নিয়েছে তারা। এখন নির্মাণকাজ শুরু করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নিজ ভূমিতে বেসিন কেটে জেটি নির্মাণ করার কথা। উনারা কয়েক বছর আগে অনুমতি নিয়ে আসতে পেরেছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয় ভালো বলতে পারবে।’
আললিমা গ্রুপের জমি ভরাট প্রসঙ্গে শরীফ হাসান বলেন, ‘ওটা স্পষ্ট নদী দখল। তারা নদী ভরাট করে কাজ করতে চেয়েছিল। আমাদের বাধায় সেটা বন্ধ আছে। এখন সেখানে কেউ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আইনগতভাবে একটি নদীর তিনটি অংশ থাকে এবং তা নির্ধারিত হয় নদীতে পানির প্রবাহ দিয়ে। এ ক্ষেত্রে নদীর ঢাল ও পাড় এই দুই অংশ সম্পূর্ণ দখল করে নদীর তলদেশেও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান। দখলমুক্ত না করলে এই নদী ধীরে ধীরে মৃত খালে পরিণত হবে।
নদী ও সড়কপথে যোগাযোগের সুবিধা থাকায় সোনারগাঁর পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মেঘনা সেতুর পশ্চিম পাশের এই এলাকাটিতে গড়ে উঠেছে দেশীয় ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও। এসব প্রতিষ্ঠানের দাপটে এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস নেই বললেই চলে।
মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে স্থাপিত সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার-২ কোম্পানি লিমিটেড, স্যামসাং ৭১৮ মেগাওয়াট সিসিপিপি, ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট লিমিটেড এবং পিজিসিবির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ভেড়ানোর জন্য মূল নদীতেই জেটি বানানো হচ্ছে। এসব কারণে এ এলাকায় মেঘনা নদী বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে। বছর সাতেক আগেও যেখানে ছিল প্রবহমান নদী, সেখানে এখন ধু ধু বালুর মাঠ।
নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ নোঙর করে পণ্য খালাসের জন্য নদীর সীমানার বাইরে নিজস্ব জমিতে বেসিন কেটে সেখানে জেটি বানাতে হয়। কিন্তু সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার ইউনিট-২ মূল নদীতেই জেটি বানাচ্ছে। কাছেই সামিটের মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানির কংক্রিটের জেটি।
ইসলামপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেঘনার তীর ঘেঁষে সারি সারি বিদ্যুৎকেন্দ্র। সামিট ও স্যামসাংয়ের তিনটি কেন্দ্রের সামনে দিয়ে নদীতে যাওয়ার সুযোগ নেই সাধারণ মানুষের।
সামিটের দুটি প্রতিষ্ঠান উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে নদীতীরে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে রেখেছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের গেটে দাঁড়িয়ে নদীর তীরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেও মেলেনি। পরে ট্রলারে করে গিয়ে দেখা যায়, ভারী লোহার ফ্রেম বসিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে জেটি নির্মাণের স্থল। খননযন্ত্র দিয়ে নদীতে ফেলা হচ্ছিল বালু। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক নজর রাখছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘এখানে সামিট-২ কোম্পানি জেটি বানাবে। সামিটের কাছ থেকে এই কাজের ঠিকাদারি নিয়েছে মেরিন হাউস নামের এক প্রতিষ্ঠান। আমরা সেই প্রতিষ্ঠানের হয়েই কাজ করছি।’
স্থানীয় কয়েকজন জানান, কিছুদিন আগেও এখানে বালু ফেলা এবং এক্সকাভেটর দিয়ে কাজ করার ছবি প্রকাশিত হলে প্রশাসনিক চাপে কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া মোহসিনা হাসান গত বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামিটের পক্ষ হয়ে মেরিন হাউস যে নদী ভরাট করছে, সেটা আমাদের জানা নাই। তা ছাড়া, মেঘনা নদীতে আমরা কোনো জেটি নির্মাণ করছি না। মেঘনাঘাটে আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলোর তেল জাহাজ থেকে খালাস করার জন্য আমরা একটা ভাসমান পন্টুন তৈরি করছি, কোনো জেটি না। যতদূর জানি, বেশ আগে ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স এখানে জেটি নির্মাণ করতে চেয়েছিল। পরে আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। মেঘনা নদীতে সামিটের কোনো জেটি নির্মাণ হবে না।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষিণ প্রান্তে দেখা যায় বালুর বিস্তীর্ণ মাঠ। স্থানীয় কয়েকজন জেলে ও নিরাপত্তাকর্মী জানান, জমিটি আললিমা গ্রুপের। তবে এক জেলে দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটি বালু ফেলে অবৈধভাবে নদী ভরাট করেছে। এ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছিল। সোনারগাঁর পরিবেশকর্মী ও সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের শাহেদ কায়েস বলেন, নদী ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলনটা স্থানীয় গ্রামবাসী করেছিল। ওরিয়ন গ্রুপের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘শুনেছি, আললিমা গ্রুপ এখানে পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।’
ইসলামপুরের এক বাসিন্দা কোম্পানির থাবায় জমি হারিয়ে অন্যত্র বসতি গড়েছেন। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কোম্পানিগুলো সরাসরি কিছু করে না। স্থানীয় কিছু নেতা আগে সামনে আসে, তারপর জমি নিয়ে যায়। নদীর জায়গাও এভাবেই দখল হইতে থাকে।’
নদী দখলের চিত্র ধরা পড়ে স্যাটেলাইটের ছবিতেও। ২০২৩ সালে যেখানে ধু ধু বালুর মাঠ, ২০১৭ সালে সেটি ছিল নদীর নিচু জমি। বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে থাকত এবং শুকনো মৌসুমে চরানো হতো গবাদিপশু। সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ছবি দেখে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে যা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলো স্পষ্ট নদী দখল। মেঘনাতীরের পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন কোম্পানি নদী দখল করছে। প্রশাসনের উচিত এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য অভিযান চালানো।’ ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ওই কাজে সহায়তা করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন কাজ করেও থাকেন, তাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম দাবি করেন, নদী দখলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আপনার কাছে তথ্য-প্রমাণ থাকলে পাঠান, খোঁজ নিয়ে দেখব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শহিদ উল্ল্যাহ মেঘনাঘাট নদীবন্দর কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। মেঘনাঘাট নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক শরীফ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগেই জায়গাটি ঘুরে এসেছি। ওরা (সামিট) সেন্ট্রাল থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে জেটি নির্মাণের জন্য। তিন-চার বছর আগেই এই অনুমতি নিয়েছে তারা। এখন নির্মাণকাজ শুরু করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নিজ ভূমিতে বেসিন কেটে জেটি নির্মাণ করার কথা। উনারা কয়েক বছর আগে অনুমতি নিয়ে আসতে পেরেছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয় ভালো বলতে পারবে।’
আললিমা গ্রুপের জমি ভরাট প্রসঙ্গে শরীফ হাসান বলেন, ‘ওটা স্পষ্ট নদী দখল। তারা নদী ভরাট করে কাজ করতে চেয়েছিল। আমাদের বাধায় সেটা বন্ধ আছে। এখন সেখানে কেউ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আইনগতভাবে একটি নদীর তিনটি অংশ থাকে এবং তা নির্ধারিত হয় নদীতে পানির প্রবাহ দিয়ে। এ ক্ষেত্রে নদীর ঢাল ও পাড় এই দুই অংশ সম্পূর্ণ দখল করে নদীর তলদেশেও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান। দখলমুক্ত না করলে এই নদী ধীরে ধীরে মৃত খালে পরিণত হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে