সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
তুলনামূলক অপ্রতিষ্ঠিত কিংবা দুর্বল, কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ব্যবহার করে চোরাচালানি চক্র আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন পণ্য দেশে আনছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে এসব হচ্ছে।
গত বছরের ২১ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষা বীজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে ৪৩ টন ১৪৬ কেজি পপি বীজের চালান আনার ঘটনায় এমন অপকৌশল করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও একই কৌশল করা হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পপি বীজের চালানটি আটকের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ৩ জুন বন্দর থানায় একটি মামলা করে। মামলায় আসামি করা হয় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। পুলিশ এখনো পর্যন্ত ওই ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রতিনিধিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত দুজন আসামি এবং তদন্তে পাওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এই ঘটনায় মূল হোতাসহ আরও কয়েকজন জড়িত। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিআইডি জানায়, সর্বশেষ ১৭ মে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফ্রেডরিক রিবেরু ওরফে লিটন (৪৪), আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমাইন ট্রেডের স্থানীয় প্রতিনিধি উত্তম দত্ত ওরফে রুবেল (৪২) ও নজরুল ইসলাম ওরফে আল-আমিন (৬০)।
ওই দিনেই গ্রেপ্তার তিনজন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তবে অভিযুক্তরা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কেউ পপি বীজ আসার বিষয়ে জানতেন না বলে জানান।
জবানবন্দিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে টিপু নামে এক ব্যক্তি সরিষা বীজ আনার একটি ডকুমেন্ট নিয়ে আসেন। পরে সেই ডকুমেন্ট নিয়ে নজরুল ও উত্তম দত্ত যান রিবেরুর কাছে। এ জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন টিপু নামের ওই ব্যক্তি। পরে রিবেরু বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন।
নজরুল বলেন, ‘টিপু আমাদের যে ডকুমেন্ট দিয়েছিল তাতে সরিষা বীজ উল্লেখ ছিল। কিন্তু তাতে কীভাবে পোস্তা দানা বা পপি বীজ এসেছে তা জানা নাই।’
একই দিন জবানবন্দিতে উত্তম দত্ত বলেন, মালামালের বিষয়ে টিপু সব জানত। টিপু তাঁদের বলেছিল মালামালের কনটেইনার খোলা ও ফিজিক্যাল এক্সামের কাজ সবই মোস্তাফিজ নামে একজন করবেন। আমরা শুধু মোস্তাফিজের সঙ্গে ছিলাম।
সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক রিবেরু জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের এপ্রিলে উত্তম দত্ত ও আল আমিন একটি ডকুমেন্টস ক্লিয়ারিং করে মালামালগুলো খালাস করার জন্য আসেন। কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁরা আমাকে ৫ হাজার টাকা দেবেন বলেছিলেন।
রিবেরু জবানবন্দিতে জানান, তাঁরা টিপু নামে যাঁর কাছ থেকে ডকুমেন্ট নিয়েছিলেন তাঁকে তিনি চেনেন না।
একই ঘটনায় গত বছর হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক অখিল চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অখিল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তিন বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ২৪ লাখ টাকায় নাজিমউদ্দিন, রেজাউল করিম, মঞ্জুরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান ও রিবেরুর কাছে লাইসেন্সগুলো বিক্রি করেন। পপি বীজ আমদানির বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজু আহমেদ আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি বলেন, ঢাকার চকবাজারে একটি মশার কয়েলের দোকানের কর্মচারী তিনি। ব্যবসার সূত্র ধরে সেখানে আকবর হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। তাঁকে একটি আমদানির লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। পরে আজমাইন ট্রেড সেন্টার নামে একটি এলসি খোলেন। আকবরের কথামতো কাগজপত্রে সই করেন রাজু। এ সময় সরিষা বীজ আনার জন্য আজমাইন ট্রেড সেন্টারের নামে ২৬ হাজার ৩০০ ডলার জমা দেওয়া হয়।
সিআইডি বলছে, এ পর্যন্ত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মূলত তাঁদের একটি চক্র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছেন। মাত্র ৩৫ হাজা টাকার বিনিময়ে এঁদের ব্যবহার করা হয়।
তুলনামূলক অপ্রতিষ্ঠিত কিংবা দুর্বল, কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ব্যবহার করে চোরাচালানি চক্র আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন পণ্য দেশে আনছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে এসব হচ্ছে।
গত বছরের ২১ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষা বীজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে ৪৩ টন ১৪৬ কেজি পপি বীজের চালান আনার ঘটনায় এমন অপকৌশল করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও একই কৌশল করা হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পপি বীজের চালানটি আটকের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ৩ জুন বন্দর থানায় একটি মামলা করে। মামলায় আসামি করা হয় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। পুলিশ এখনো পর্যন্ত ওই ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রতিনিধিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত দুজন আসামি এবং তদন্তে পাওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এই ঘটনায় মূল হোতাসহ আরও কয়েকজন জড়িত। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিআইডি জানায়, সর্বশেষ ১৭ মে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফ্রেডরিক রিবেরু ওরফে লিটন (৪৪), আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমাইন ট্রেডের স্থানীয় প্রতিনিধি উত্তম দত্ত ওরফে রুবেল (৪২) ও নজরুল ইসলাম ওরফে আল-আমিন (৬০)।
ওই দিনেই গ্রেপ্তার তিনজন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তবে অভিযুক্তরা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কেউ পপি বীজ আসার বিষয়ে জানতেন না বলে জানান।
জবানবন্দিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে টিপু নামে এক ব্যক্তি সরিষা বীজ আনার একটি ডকুমেন্ট নিয়ে আসেন। পরে সেই ডকুমেন্ট নিয়ে নজরুল ও উত্তম দত্ত যান রিবেরুর কাছে। এ জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন টিপু নামের ওই ব্যক্তি। পরে রিবেরু বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন।
নজরুল বলেন, ‘টিপু আমাদের যে ডকুমেন্ট দিয়েছিল তাতে সরিষা বীজ উল্লেখ ছিল। কিন্তু তাতে কীভাবে পোস্তা দানা বা পপি বীজ এসেছে তা জানা নাই।’
একই দিন জবানবন্দিতে উত্তম দত্ত বলেন, মালামালের বিষয়ে টিপু সব জানত। টিপু তাঁদের বলেছিল মালামালের কনটেইনার খোলা ও ফিজিক্যাল এক্সামের কাজ সবই মোস্তাফিজ নামে একজন করবেন। আমরা শুধু মোস্তাফিজের সঙ্গে ছিলাম।
সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক রিবেরু জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের এপ্রিলে উত্তম দত্ত ও আল আমিন একটি ডকুমেন্টস ক্লিয়ারিং করে মালামালগুলো খালাস করার জন্য আসেন। কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁরা আমাকে ৫ হাজার টাকা দেবেন বলেছিলেন।
রিবেরু জবানবন্দিতে জানান, তাঁরা টিপু নামে যাঁর কাছ থেকে ডকুমেন্ট নিয়েছিলেন তাঁকে তিনি চেনেন না।
একই ঘটনায় গত বছর হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক অখিল চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অখিল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তিন বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ২৪ লাখ টাকায় নাজিমউদ্দিন, রেজাউল করিম, মঞ্জুরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান ও রিবেরুর কাছে লাইসেন্সগুলো বিক্রি করেন। পপি বীজ আমদানির বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজু আহমেদ আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি বলেন, ঢাকার চকবাজারে একটি মশার কয়েলের দোকানের কর্মচারী তিনি। ব্যবসার সূত্র ধরে সেখানে আকবর হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। তাঁকে একটি আমদানির লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। পরে আজমাইন ট্রেড সেন্টার নামে একটি এলসি খোলেন। আকবরের কথামতো কাগজপত্রে সই করেন রাজু। এ সময় সরিষা বীজ আনার জন্য আজমাইন ট্রেড সেন্টারের নামে ২৬ হাজার ৩০০ ডলার জমা দেওয়া হয়।
সিআইডি বলছে, এ পর্যন্ত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মূলত তাঁদের একটি চক্র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছেন। মাত্র ৩৫ হাজা টাকার বিনিময়ে এঁদের ব্যবহার করা হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে