শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলায় আলুখেতে দাউদ, পাতা পচা রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোলার আলুচাষিরা।
জেলার অধিকাংশ আলুখেতই পাতা পচা, দাউদ, গুনগুন পোকার (জাত পোকা) আক্রমণ এবং পাতা মোড়ানো রোগে আক্রান্ত। এতে আলু চাষে উৎসাহ কমে গেছে অনেক চাষির।
চাষিরা জানান, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সার, ওষুধ ও কীটনাশক প্রয়োগ করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামের আলুখেতে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কৃষক তাঁদের খেত পরিচর্যা করছেন। সেই খেতের কিছু আলুগাছের পাতা মরে যেতে দেখা গেছে। মরে যাওয়া ওইসব গাছের আলুও পচে গেছে।
স্থানীয় আলুচাষি আব্দুর রহিম (৪০) বলেন, ‘আমি প্রায় ৬৫ দিন আগে ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। এতে সার, কীটনাশক ও বীজসহ আমার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর এখনো আবহাওয়া অনুকূল আছে। কিন্তু আলুখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।’
একই এলাকার কালা চান সিকদার (৬৫) নামের এক চাষি এ বছর দেড় একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। এতে তাঁর ব্যয় হয়েছে ৭০-৮০ হাজার টাকা। কালা চান সিকদার বলেন, ‘দাউদ ও গুনগুন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খেতে দুবার ওষুধ দেওয়ার পরও কোনো লাভ হচ্ছে না। আলু চাষ করে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
ওই এলাকার চাষি আবুল কালাম (৭০) বলেন, ‘আমি কয়েক বছর আগে দেড় লাখ টাকা খরচ করে তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু পোকার আক্রমণ এবং বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে। লোকসান হওয়ায় এখন আলু চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছি।’
একই কারণে আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ে চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন মনির হোসেন (৩০) নামের আরেক চাষি। মনির হোসেন জানান, তিনি গত বছর ৩ লাখ টাকা খরচ করে দুই কানি জমিতে আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। ফলে এ বছর আর আলু চাষ করেননি তিনি।
শুরুতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলেও এখন রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন। এমনকি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না বলে জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিলন চন্দ্র দে বলেন, ‘ব্লিচিং পাউডার ও বরিক পাউডার দিয়ে বিষ শোধন করে এবং জমিতে পর্যাপ্ত জৈব সার ব্যবহার করার জন্য আমরা আলুচাষিদের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কৃষকেরা তা শোনেননি। এতে করে খেতে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে সব চাষিকে একত্র করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে আলুখেত রক্ষা করতে পারবেন তাঁরা।’
ভোলা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আলুখেতে পোকার সামান্য আক্রমণ হলেও এখনো আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। আলু তোলার আগ পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ বছরও আলুর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় ৫ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ২২০ হেক্টর। গত বছর জেলায় ৫ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল।
ভোলায় আলুখেতে দাউদ, পাতা পচা রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোলার আলুচাষিরা।
জেলার অধিকাংশ আলুখেতই পাতা পচা, দাউদ, গুনগুন পোকার (জাত পোকা) আক্রমণ এবং পাতা মোড়ানো রোগে আক্রান্ত। এতে আলু চাষে উৎসাহ কমে গেছে অনেক চাষির।
চাষিরা জানান, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সার, ওষুধ ও কীটনাশক প্রয়োগ করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামের আলুখেতে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কৃষক তাঁদের খেত পরিচর্যা করছেন। সেই খেতের কিছু আলুগাছের পাতা মরে যেতে দেখা গেছে। মরে যাওয়া ওইসব গাছের আলুও পচে গেছে।
স্থানীয় আলুচাষি আব্দুর রহিম (৪০) বলেন, ‘আমি প্রায় ৬৫ দিন আগে ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। এতে সার, কীটনাশক ও বীজসহ আমার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর এখনো আবহাওয়া অনুকূল আছে। কিন্তু আলুখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।’
একই এলাকার কালা চান সিকদার (৬৫) নামের এক চাষি এ বছর দেড় একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। এতে তাঁর ব্যয় হয়েছে ৭০-৮০ হাজার টাকা। কালা চান সিকদার বলেন, ‘দাউদ ও গুনগুন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খেতে দুবার ওষুধ দেওয়ার পরও কোনো লাভ হচ্ছে না। আলু চাষ করে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
ওই এলাকার চাষি আবুল কালাম (৭০) বলেন, ‘আমি কয়েক বছর আগে দেড় লাখ টাকা খরচ করে তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু পোকার আক্রমণ এবং বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে। লোকসান হওয়ায় এখন আলু চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছি।’
একই কারণে আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ে চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন মনির হোসেন (৩০) নামের আরেক চাষি। মনির হোসেন জানান, তিনি গত বছর ৩ লাখ টাকা খরচ করে দুই কানি জমিতে আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। ফলে এ বছর আর আলু চাষ করেননি তিনি।
শুরুতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলেও এখন রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন। এমনকি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না বলে জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিলন চন্দ্র দে বলেন, ‘ব্লিচিং পাউডার ও বরিক পাউডার দিয়ে বিষ শোধন করে এবং জমিতে পর্যাপ্ত জৈব সার ব্যবহার করার জন্য আমরা আলুচাষিদের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কৃষকেরা তা শোনেননি। এতে করে খেতে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে সব চাষিকে একত্র করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে আলুখেত রক্ষা করতে পারবেন তাঁরা।’
ভোলা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আলুখেতে পোকার সামান্য আক্রমণ হলেও এখনো আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। আলু তোলার আগ পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ বছরও আলুর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় ৫ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ২২০ হেক্টর। গত বছর জেলায় ৫ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে