Ajker Patrika

ইটের সলিংয়ের রাস্তায় এখন বালুভর্তি গর্ত

ইটের সলিংয়ের রাস্তায় এখন বালুভর্তি গর্ত

যশোরের মনিরামপুরের বাকোশপোল থেকে চাঁদপুর বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। গত বছর সড়কের ১ হাজার ৩৫০ মিটার পাকাকরণের অনুমতি পেয়ে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। তখন নির্ধারিত সীমানার বাইরে ১২৬ ফুট রাস্তার সলিং তুলে ফেলা হয়। এরপর আর সেই অংশে কাজ করা হয়নি। সড়কের এই অংশ এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া সড়কটির যে অংশ পাকা করার কথা, সে অংশে মেকাডাম (সড়কে পিচের নিচের স্তর) করে ফেলে রাখা হয়েছে এক বছর। সেই অংশে খোয়া উঠে ধুলোয় নষ্ট হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, বাকোশপোল বাজার থেকে মনিরামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত এক কিলোমিটার এবং চাঁদপুর বাজার থেকে হরিহর নদের পাড় পর্যন্ত সড়কে আগে থেকে ইটের সলিং ছিল। সড়কটি উপজেলার মনিরামপুর ও খেদাপাড়া—এ দুই ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে। গত বছর ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির ১ হাজার ৩৫০ মিটার পাকা করার কাজ পান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুরাদুজ্জামান মুরাদ। কাজের শুরুতে ঠিকাদার মনিরামপুর ইউনিয়নের বাকোশপোল বাজার থেকে হরিহর নদের সেতু পার হয়ে খেদাপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের অংশের সড়কের ১২৬ ফুট খুঁড়ে ফেলেন। এরপর বাকোশপোল থেকে হরিহর নদের উত্তর পাড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কারকাজ চলমান রেখেছেন। কিন্তু নদীর দক্ষিণ পাড়ের খোঁড়া ১২৬ ফুটে কোনো কাজ করেননি। এতে তাঁদের ভোগান্তি অনেক বেড়েছে।

চাঁদপুর গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘চাঁদপুর বাজার থেকে হরিহর নদের দক্ষিণপাড় পর্যন্ত ইটের সলিং ছিল। ঠিকাদারের লোকজন কাজ করার সময় ব্রিজের দক্ষিণ অংশের রাস্তার ইটের সলিং তুলে খোয়া বানিয়ে ব্রিজের উত্তর পাশে রাস্তায় দেয় এবং সেখানে কিছু বালু ফেলে। গত বর্ষায় এখানে কাদা হয়েছে। এখন রাস্তায় ধুলোর মোটা স্তর পড়েছে। মোটরসাইকেল ঠেলে নিতেও কষ্ট হয়।’

সোনাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা চয়ন দাস বলেন, ‘এক বছর আগে বাকোশপোল বাজার থেকে ব্রিজ পর্যন্ত খোয়া ঘষে রেখেছে, আর পিচ দেয়নি। কদিন আগে পাথর ফেলেছে।’

খেদাপাড়া ইউপি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অজয় রায় বলেন, ‘চাঁদপুর বাজার থেকে রাস্তার কাজ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ঠিকাদার ব্রিজের দক্ষিণ অংশে খুঁড়ে কিছু ইট তুলে ফেলেন। পরে দেখা গেছে, কার্যাদেশে বাকোশপোল বাজার থেকে কাজ শুরু করার কথা উল্লেখ আছে। তখন ঠিকাদার বাকোশপোল বাজার থেকে রাস্তা মেপে নদীর উত্তর পাড় পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫০ মিটার বুঝে পেয়েছেন। এ জন্য পরে আর নদীর দক্ষিণ পাশে কাজ হয়নি। ঠিকাদারকে বলে আমি এর সমাধান করে দেব।’

ঠিকাদার মুরাদ বলেন, ‘রাস্তার মাঝখানে একটি ব্রিজ আছে। প্রথমে অফিস থেকে বলা হয়, ব্রিজ বাদে কাজ হবে। এ জন্য আমরা রাস্তা মেপে খুঁড়েছিলাম। পরে কাজে ব্রিজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য খোঁড়া কিছু অংশ থেকে গেছে। নির্ধারিত অংশে কার্পেটিং হয়ে গেলে পরে খুঁড়ে রাখা অংশে মাটি ফেলে ঠিক করে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এ জন্য পিচ দিতে দেরি হয়েছে।

কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখন কাজ শেষ করলে আমার ১২ লাখ টাকা লোকসান হবে। দ্রুত কাজ শুরু করব।’ উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘ঠিকাদারের দোষ না। শুরুতে অফিস থেকে তাঁকে ওই পর্যন্ত মেপে দেওয়া হয়েছিল। বিল দেওয়ার 
আগে খুঁড়ে রাখা অংশ সংস্কার করে নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নবরাত্রির জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষা, পিরিয়ডের কারণে পালন করতে না পেরে আত্মহত্যা

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির আপত্তি ও শর্ত

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খই-মুড়ির মতো বোমা ফুটছে জাজিরায়

অটোতে ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিলেন কলেজছাত্র

পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া, স্ত্রীর কাঠের আঘাতে স্বামী নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত