রেজা করিম, ঢাকা
রাজনীতির হাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পার্টি (জাপা) নতুন কোনো অবস্থান নিতে যাচ্ছে কি না, সে আলোচনা বেশ জোরালো। ঘরোয়া বিবাদ ছাপিয়ে এই আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য। কারও কারও মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জি এম কাদের বলয় ভাঙার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তবে তাঁর সাহসী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা। রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, এমন ভূমিকা ‘সাময়িক’।
রওশনপন্থী নেতাদের অভিযোগ, জি এম কাদের ঘরোয়া কোন্দল নিরসনের ক্ষেত্রে আন্তরিক নন। রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জি এম কাদের বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাঁর এ অবস্থান ভালোভাবে নিচ্ছেন না রওশন এরশাদ। এখানেই তাঁদের মূল দ্বন্দ্ব।
বিএনপির দিকে ঝোঁকার অভিযোগ প্রসঙ্গে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা একটা বানানো কথা। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ আছে। এখন মানুষ আর আমাদের কোনো দলের বি টিম মনে করে না।’
চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে কিছুদিন নীরব ছিলেন জি এম কাদের। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
দলে এবং বাইরে বেশ স্বচ্ছন্দে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। সরকারের সমালোচনাও করছেন রাখঢাক ছাড়াই। রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েও এখন আর তাঁর কাছে পাত্তা পাচ্ছেন না। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ আলাদা প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত কাদেরের প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রওশন মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারের সাফাই গাওয়ায় সম্প্রতি পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জি এম কাদের। রুস্তম আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।
একাধিক সূত্রের দাবি, নির্বাচন সামনে রেখে সরকার অনেক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলার পাশাপাশি সরকারকে বহির্বিশ্বে নজর দিতে হচ্ছে গুরুত্বসহকারে। এ অবস্থায় জাপাকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছে না সরকার। ফলে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েও রওশন বলয় খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না। জি এম কাদের এক দিকে সরকারের সমালোচনা করছেন, অন্য দিকে বিদেশিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচন নিয়েও নানা পরিকল্পনা করছেন। জোটবদ্ধ হয়ে নাকি এককভাবে নির্বাচন করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবেন অবস্থা বুঝে।
এ প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করার চিন্তা করছি। জোটের প্রশ্ন যেটা আছে, সেটা নির্বাচনের আগে দেখা যাবে।’
কাদেরপন্থী নেতারা বলছেন, রওশন এরশাদের বলয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা সরকারের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। ফলে সস্তা কথা বলে তাঁরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। তাঁদের কোনো শক্তি নেই। কাজেই সরকার তাঁদের গুরুত্ব দেবে না।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে একটি মহল পার্টিতে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে। এতে সরকারেরও ইন্ধন থাকতে পারে। যাঁরা এসব কাজ করছেন, তাঁরা তো দলের কেউ না। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনের আগেই দুই পক্ষের এক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জাতীয় পার্টি হয়তো এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরে একটা দেনদরবার হবে।
রাজনীতির হাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পার্টি (জাপা) নতুন কোনো অবস্থান নিতে যাচ্ছে কি না, সে আলোচনা বেশ জোরালো। ঘরোয়া বিবাদ ছাপিয়ে এই আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য। কারও কারও মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জি এম কাদের বলয় ভাঙার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তবে তাঁর সাহসী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা। রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, এমন ভূমিকা ‘সাময়িক’।
রওশনপন্থী নেতাদের অভিযোগ, জি এম কাদের ঘরোয়া কোন্দল নিরসনের ক্ষেত্রে আন্তরিক নন। রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জি এম কাদের বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাঁর এ অবস্থান ভালোভাবে নিচ্ছেন না রওশন এরশাদ। এখানেই তাঁদের মূল দ্বন্দ্ব।
বিএনপির দিকে ঝোঁকার অভিযোগ প্রসঙ্গে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা একটা বানানো কথা। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ আছে। এখন মানুষ আর আমাদের কোনো দলের বি টিম মনে করে না।’
চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে কিছুদিন নীরব ছিলেন জি এম কাদের। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
দলে এবং বাইরে বেশ স্বচ্ছন্দে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। সরকারের সমালোচনাও করছেন রাখঢাক ছাড়াই। রওশন এরশাদ ও তাঁর অনুসারীরা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েও এখন আর তাঁর কাছে পাত্তা পাচ্ছেন না। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ আলাদা প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত কাদেরের প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রওশন মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারের সাফাই গাওয়ায় সম্প্রতি পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জি এম কাদের। রুস্তম আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।
একাধিক সূত্রের দাবি, নির্বাচন সামনে রেখে সরকার অনেক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলার পাশাপাশি সরকারকে বহির্বিশ্বে নজর দিতে হচ্ছে গুরুত্বসহকারে। এ অবস্থায় জাপাকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছে না সরকার। ফলে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েও রওশন বলয় খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না। জি এম কাদের এক দিকে সরকারের সমালোচনা করছেন, অন্য দিকে বিদেশিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচন নিয়েও নানা পরিকল্পনা করছেন। জোটবদ্ধ হয়ে নাকি এককভাবে নির্বাচন করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবেন অবস্থা বুঝে।
এ প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করার চিন্তা করছি। জোটের প্রশ্ন যেটা আছে, সেটা নির্বাচনের আগে দেখা যাবে।’
কাদেরপন্থী নেতারা বলছেন, রওশন এরশাদের বলয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা সরকারের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। ফলে সস্তা কথা বলে তাঁরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। তাঁদের কোনো শক্তি নেই। কাজেই সরকার তাঁদের গুরুত্ব দেবে না।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে একটি মহল পার্টিতে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে। এতে সরকারেরও ইন্ধন থাকতে পারে। যাঁরা এসব কাজ করছেন, তাঁরা তো দলের কেউ না। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনের আগেই দুই পক্ষের এক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জাতীয় পার্টি হয়তো এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরে একটা দেনদরবার হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে