আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
করোনা মহামারির সময় থেকে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দেশের অর্থনীতি। এর ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আবির্ভূত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বৈশ্বিক এই ধাক্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব টানাপোড়েনের অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীলতায় গড়ায়। যার থেকে পুনরুদ্ধারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিকাঠামোর দুর্বলতা। এর ফলে সর্বত্র অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট এবং আয় ও বণ্টনব্যবস্থার বৈষম্য স্থায়ী রূপ পেয়ে বসেছিল।
মানুষের জীবনযাত্রায় এই অসহনীয় পরিস্থিতির অবসানের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই বদলে দেয়, প্রতিষ্ঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন দেশে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন এই সরকারের মূল ফোকাস হচ্ছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সব খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার।
এই উদ্যোগকে ইতিবাচক উল্লেখ করে এরই মধ্যে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারাও এই সংস্কারের পক্ষে। এমনকি প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)সহ এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর বর্তমান এবং সাবেক নেতারা বিভিন্ন সময় প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন। দিয়েছেন লিখিত আবেদনও।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সংস্কারমূলক উন্নতির দাবিসংবলিত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে মোটাদাগে তাঁরা অর্থনীতির ৮ খাতে উন্নতি দেখতে চান। এগুলো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ত্বরিত বাস্তবায়নেরও দাবি তাঁদের। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, ব্যাংকিং খাত সংস্কার, এনবিআর সংস্কার, রাজস্ব খাতের উন্নতি, জ্বালানি খাত সংস্কার, কাগজবিহীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর পুনর্গঠন এবং এলডিসি উত্তরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা।
সবার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার বিষয়ে জোর দিয়েছে আইসিসিবি। সংগঠনটি বলছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কারখানা এবং শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত স্থানে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিল্প, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, মহাসড়ক ও ফুটপাতের মতো সব এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, যাতে পুরো সরবরাহ ব্যবস্থাপনা (সাপ্লাই চেইন) বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া সাপ্লাই চেইনে দুর্নীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেটের প্রভাব বন্ধ করতে হবে। সংগঠনটি বলছে, এতে করে পণ্যের হ্রাসকৃত দামে সহনীয় মূল্যস্ফীতি বজায় থাকবে। এটা সরকারি বন্ডের (ট্রেজারি বন্ড) ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। সুদের হারে লাগাম টানবে।
আইসিসিবির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। একই ব্যক্তি বা গ্রুপের নামে একাধিক ব্যাংকের অনুমতি না দেওয়া ব্যাংক খাতের জন্য মঙ্গলজনক। আর্থিক খাতের খেলাপি ঋণ (এনপিএল) কমাতে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ইচ্ছাকৃত ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা জরুরি। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতেও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও টেকসই পদক্ষেপই পারবে দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যাপক সংস্কার দরকার। এ লক্ষ্যে আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়নপ্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে। সক্ষম করদাতাদের আয়করের আওতায় এনে কর-জিডিপি বাড়াতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিসত্বর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
রাজস্ব খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুটি পৃথক শাখায় বিভক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে একটি নীতিনির্ধারণের জন্য এবং অন্যটি কর, কাস্টম এবং ভ্যাট সংগ্রহের জন্য কাজ করবে। এ ছাড়া করজাল সম্প্রসারণ, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া ও মূল্যায়ন, এনবিআরের সম্পূর্ণ অটোমেশন, সব ট্যাক্স আপিল বোর্ড পুনর্গঠন, স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ সব বন্দরে শুল্ক ছাড়পত্রের সংস্কারের দাবি তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি কাগজবিহীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগও চান ব্যবসায়ীরা। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে ডিজিটালাইজ করতে বাণিজ্যিক আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থনীতিতে সঠিক তথ্যের নিশ্চয়তাও চেয়েছেন তাঁরা।
শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে এলএনজি এবং এলপিজির ব্যয়বহুল আমদানিনির্ভরতা কমাতে উপকূলে নতুন গ্যাস মজুত সক্ষমতা বাড়াতে বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করারও তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে এর পরিবর্তে সহনশীল অবকাঠামো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুসরণ করতে বাংলাদেশ মিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন রপ্তানি বাজার চিহ্নিত, দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। ব্যবসায় সংস্থা বা ট্রেড বডির সংস্কারের লক্ষ্যে উপযুক্ত নীতি প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটি করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য সংকট এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগেও গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
করোনা মহামারির সময় থেকে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দেশের অর্থনীতি। এর ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আবির্ভূত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বৈশ্বিক এই ধাক্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব টানাপোড়েনের অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীলতায় গড়ায়। যার থেকে পুনরুদ্ধারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিকাঠামোর দুর্বলতা। এর ফলে সর্বত্র অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট এবং আয় ও বণ্টনব্যবস্থার বৈষম্য স্থায়ী রূপ পেয়ে বসেছিল।
মানুষের জীবনযাত্রায় এই অসহনীয় পরিস্থিতির অবসানের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই বদলে দেয়, প্রতিষ্ঠিত হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন দেশে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন এই সরকারের মূল ফোকাস হচ্ছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সব খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার।
এই উদ্যোগকে ইতিবাচক উল্লেখ করে এরই মধ্যে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারাও এই সংস্কারের পক্ষে। এমনকি প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)সহ এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর বর্তমান এবং সাবেক নেতারা বিভিন্ন সময় প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন। দিয়েছেন লিখিত আবেদনও।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সংস্কারমূলক উন্নতির দাবিসংবলিত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে মোটাদাগে তাঁরা অর্থনীতির ৮ খাতে উন্নতি দেখতে চান। এগুলো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ত্বরিত বাস্তবায়নেরও দাবি তাঁদের। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, ব্যাংকিং খাত সংস্কার, এনবিআর সংস্কার, রাজস্ব খাতের উন্নতি, জ্বালানি খাত সংস্কার, কাগজবিহীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর পুনর্গঠন এবং এলডিসি উত্তরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা।
সবার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার বিষয়ে জোর দিয়েছে আইসিসিবি। সংগঠনটি বলছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কারখানা এবং শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত স্থানে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিল্প, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, মহাসড়ক ও ফুটপাতের মতো সব এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, যাতে পুরো সরবরাহ ব্যবস্থাপনা (সাপ্লাই চেইন) বাধাগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া সাপ্লাই চেইনে দুর্নীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেটের প্রভাব বন্ধ করতে হবে। সংগঠনটি বলছে, এতে করে পণ্যের হ্রাসকৃত দামে সহনীয় মূল্যস্ফীতি বজায় থাকবে। এটা সরকারি বন্ডের (ট্রেজারি বন্ড) ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। সুদের হারে লাগাম টানবে।
আইসিসিবির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। একই ব্যক্তি বা গ্রুপের নামে একাধিক ব্যাংকের অনুমতি না দেওয়া ব্যাংক খাতের জন্য মঙ্গলজনক। আর্থিক খাতের খেলাপি ঋণ (এনপিএল) কমাতে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ইচ্ছাকৃত ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা জরুরি। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতেও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও টেকসই পদক্ষেপই পারবে দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যাপক সংস্কার দরকার। এ লক্ষ্যে আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়নপ্রক্রিয়াও সহজ করতে হবে। সক্ষম করদাতাদের আয়করের আওতায় এনে কর-জিডিপি বাড়াতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিসত্বর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
রাজস্ব খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুটি পৃথক শাখায় বিভক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে একটি নীতিনির্ধারণের জন্য এবং অন্যটি কর, কাস্টম এবং ভ্যাট সংগ্রহের জন্য কাজ করবে। এ ছাড়া করজাল সম্প্রসারণ, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া ও মূল্যায়ন, এনবিআরের সম্পূর্ণ অটোমেশন, সব ট্যাক্স আপিল বোর্ড পুনর্গঠন, স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ সব বন্দরে শুল্ক ছাড়পত্রের সংস্কারের দাবি তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি কাগজবিহীন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগও চান ব্যবসায়ীরা। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে ডিজিটালাইজ করতে বাণিজ্যিক আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থনীতিতে সঠিক তথ্যের নিশ্চয়তাও চেয়েছেন তাঁরা।
শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে এলএনজি এবং এলপিজির ব্যয়বহুল আমদানিনির্ভরতা কমাতে উপকূলে নতুন গ্যাস মজুত সক্ষমতা বাড়াতে বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করারও তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে এর পরিবর্তে সহনশীল অবকাঠামো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুসরণ করতে বাংলাদেশ মিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন রপ্তানি বাজার চিহ্নিত, দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। ব্যবসায় সংস্থা বা ট্রেড বডির সংস্কারের লক্ষ্যে উপযুক্ত নীতি প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটি করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য সংকট এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগেও গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে