জাহিদ হাসান, যশোর
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র না নিয়েই যশোরের সাতটি নদ-নদীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে ৯টি সেতু। কম উচ্চতায় এসব সেতু নির্মাণ না করতে পাঁচ মাস আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) চিঠি দিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে উচ্চতা নিয়ে আপত্তি জানানোর পরও তা আমলে নেয়নি সরকারের এই প্রতিষ্ঠান।
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কম উচ্চতার সেতুগুলোর নির্মাণকাজ চলমান। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে এসব সেতুর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলাচল করতে পারবে না। অকার্যকর হয়ে পড়বে নৌপথগুলো। এর আগে, অপরিকল্পিত এসব সেতু নির্মাণ বন্ধ করে নদ-নদী বাঁচানোর দাবি জানিয়েছিল যশোরের পাঁচটি পরিবেশবাদী সংগঠন। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিও দেয়।
গত শনিবার নির্মাণাধীন সেতুগুলো পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএর খুলনার নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশ্রাফ উদ্দীন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু ৯টি সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় নদীতে ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে।
আশ্রাফ উদ্দীন আরও বলেন, ‘এর আগে এলজিইডিকে দুটি চিঠি দিয়েছিলাম। আপত্তি জানানোর পরও তারা আমলে নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এর পর থেকে নকশা প্রণয়ন করতে আমাদের কাছ থেকে যথাযথভাবে নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স বা অনুমতি নেওয়ার জন্য এলজিইডিকে অনুরোধ করব।’
এলজিইডি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, জেলার মনিরামপুরের টেকারঘাট এলাকায় টেকা নদীর ওপর পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। পানি থেকে এই সেতুর উচ্চতা খুবই কম। একই উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নে মুক্তেশ্বরী নদীর দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কম উচ্চতার দুটি নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে সুবলকাঠি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সংযোগ-সেতু নির্মাণের কাজ। হাজরাইল সেতুর নির্মাণকাজ চলমান। দুটি সেতু
নির্মাণ করতে মুক্তেশ্বরী নদীতে আড়াআড়িভাবে মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নেহালপুর এলাকায় শ্রী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। মনিরামপুর ও চিনাটোলা এলাকায় হরিহর নদের ওপর পুরোনো সেতু ভেঙে কম উচ্চতায় দুটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার দায়তলা ও বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলায় ভৈরব নদের ওপর নির্মিত পুরোনো দুটি সেতু ভেঙে সেখানে কম উচ্চতার দুটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঘারপাড়ার খাজুরা ও সীমাখালীতে চিত্রা নদীর ওপর কম উচ্চতার একটি সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, এখন যে সাতটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী সেগুলোর উচ্চতা হওয়ার কথা পানির স্তর থেকে গার্ডারের নিচ পর্যন্ত ১৬ ফুট কিংবা ২৫ ফুট। কিন্তু যে ৯টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলোর সবকটির উচ্চতা ৪ দশমিক ৫৯ ফুট থেকে ১১ দশমিক ৫০ ফুট পর্যন্ত।
সেতুগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি)’ আওতায়। বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র না নিয়ে এভাবে সেতু নির্মাণ নদী হত্যার শামিল বলে মনে করেন ‘ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের’ উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি বলেন, নদী প্রবহমান ঠিক রাখতে সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু অপরিকল্পিত এসব সেতু প্রবহমানতার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে তাঁরা দ্রুতই আন্দোলন শুরু করবেন।
এ বিষয়ে এলজিইডির যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করা হয়নি, এটা ঠিক। তবে সেতুগুলো উচ্চতার নিয়ম মেনেই নির্মাণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র না নিয়েই যশোরের সাতটি নদ-নদীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে ৯টি সেতু। কম উচ্চতায় এসব সেতু নির্মাণ না করতে পাঁচ মাস আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) চিঠি দিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে উচ্চতা নিয়ে আপত্তি জানানোর পরও তা আমলে নেয়নি সরকারের এই প্রতিষ্ঠান।
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কম উচ্চতার সেতুগুলোর নির্মাণকাজ চলমান। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে এসব সেতুর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলাচল করতে পারবে না। অকার্যকর হয়ে পড়বে নৌপথগুলো। এর আগে, অপরিকল্পিত এসব সেতু নির্মাণ বন্ধ করে নদ-নদী বাঁচানোর দাবি জানিয়েছিল যশোরের পাঁচটি পরিবেশবাদী সংগঠন। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিও দেয়।
গত শনিবার নির্মাণাধীন সেতুগুলো পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএর খুলনার নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশ্রাফ উদ্দীন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু ৯টি সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় নদীতে ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে।
আশ্রাফ উদ্দীন আরও বলেন, ‘এর আগে এলজিইডিকে দুটি চিঠি দিয়েছিলাম। আপত্তি জানানোর পরও তারা আমলে নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এর পর থেকে নকশা প্রণয়ন করতে আমাদের কাছ থেকে যথাযথভাবে নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স বা অনুমতি নেওয়ার জন্য এলজিইডিকে অনুরোধ করব।’
এলজিইডি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, জেলার মনিরামপুরের টেকারঘাট এলাকায় টেকা নদীর ওপর পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। পানি থেকে এই সেতুর উচ্চতা খুবই কম। একই উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নে মুক্তেশ্বরী নদীর দেড় কিলোমিটারের মধ্যে কম উচ্চতার দুটি নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে সুবলকাঠি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সংযোগ-সেতু নির্মাণের কাজ। হাজরাইল সেতুর নির্মাণকাজ চলমান। দুটি সেতু
নির্মাণ করতে মুক্তেশ্বরী নদীতে আড়াআড়িভাবে মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নেহালপুর এলাকায় শ্রী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। মনিরামপুর ও চিনাটোলা এলাকায় হরিহর নদের ওপর পুরোনো সেতু ভেঙে কম উচ্চতায় দুটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার দায়তলা ও বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলায় ভৈরব নদের ওপর নির্মিত পুরোনো দুটি সেতু ভেঙে সেখানে কম উচ্চতার দুটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঘারপাড়ার খাজুরা ও সীমাখালীতে চিত্রা নদীর ওপর কম উচ্চতার একটি সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানান, এখন যে সাতটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী সেগুলোর উচ্চতা হওয়ার কথা পানির স্তর থেকে গার্ডারের নিচ পর্যন্ত ১৬ ফুট কিংবা ২৫ ফুট। কিন্তু যে ৯টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলোর সবকটির উচ্চতা ৪ দশমিক ৫৯ ফুট থেকে ১১ দশমিক ৫০ ফুট পর্যন্ত।
সেতুগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি)’ আওতায়। বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র না নিয়ে এভাবে সেতু নির্মাণ নদী হত্যার শামিল বলে মনে করেন ‘ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের’ উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি বলেন, নদী প্রবহমান ঠিক রাখতে সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু অপরিকল্পিত এসব সেতু প্রবহমানতার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে তাঁরা দ্রুতই আন্দোলন শুরু করবেন।
এ বিষয়ে এলজিইডির যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করা হয়নি, এটা ঠিক। তবে সেতুগুলো উচ্চতার নিয়ম মেনেই নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪