শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অবৈধ বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশের শঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমান্তঘেষা ভারতের মণিপুর রাজ্যে সম্প্রতি লুট হওয়া কয়েক হাজার অস্ত্র সেখানকার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। এছাড়া দেশে থাকা অবৈধ অস্ত্রগুলোও আবার হাতবদল হয়ে ব্যবহার শুরু হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতার পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রধারীদের কেনা গুলির হিসাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ও ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা এবং তা ঠেকানোর বিষয়সহ আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে গত আট মাসে ২ হাজার ৭৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করার তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ চার মাসে ৭৮৬টি খুনের ঘটনার বিষয় উল্লেখ করা হয়। এসব খুনের বেশির ভাগই ঘটে ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত কয়েক মাসে প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও বাকি ৪ হাজার অস্ত্র এখনো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্রের মধ্যে ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে রয়েছে। এ কে সিরিজের এসব অস্ত্রের মধ্যে বেশির ভাগই অত্যাধুনিক রাইফেল ও পিস্তল। এসব অস্ত্র যাতে কোনোভাবে দেশে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে পুলিশের ওই অপরাধ পর্যালোচনা সভায়।
সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বলেন, ভারতের মণিপুরে অস্ত্র লুট হয়েছে। মণিপুরের সীমান্তের কাছাকাছি যেসব জেলা আছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এসব লুট হওয়া অস্ত্র সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি অপারেশনস) আনোয়ার হোসেন বলেন, বাইরের কোনো অস্ত্র যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্ত জেলাগুলোকে সব সময় সতর্ক করা হয়। নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতরও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পদস্থ আরেক কর্মকর্তা বলেন, মৌখিকভাবে সব জেলার পুলিশ সুপার ও অন্যান্য ইউনিটকে অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে বলা হয়েছে। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভারতের মণিপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো সীমান্ত নেই। মণিপুর থেকে মিজোরাম অথবা ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে আসতে হয়। ত্রিপুরা ও মিজোরামের পাহাড়ি অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য রয়েছে। ভারতের ত্রিপুরার সীমান্তে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা।
এই জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে আমরা সব সময় সতর্কতা ও বিশেষ নজরদারি করে থাকি। এই সময়ে আরও বেশি নজরদারি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে অস্ত্রসহ কোনো ধরনের অবৈধ কিছু যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সতর্ক নজরদারি করা হয়। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সঙ্গেও সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।’
গুলির হিসাব নেওয়ার নির্দেশ
বৈধ অস্ত্রধারীরা যে গুলি খরচ করে, তার সঠিক হিসাব দিতে পারছেন না দেশের বেশির ভাগ বৈধ অস্ত্রধারী। বছরের পর বছর লাইসেন্সের বিপরীতে গুলি সংগ্রহ করলেও গুলি খরচ করার পর থানায় জানানোর যে নিয়ম, তার তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। ফলে বৈধ অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার কারণ আর হিসাব কোনোটাই জানতে পারছে না সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের সভায় আশঙ্কা করা হয়েছে, নির্বাচনের আগে এই বৈধ গুলিগুলো বাইরে বিক্রি হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে অবৈধ অস্ত্রে ব্যবহার হতে পারে। তাই পুলিশের বিশেষ শাখাকে দিয়ে অস্ত্রের দোকান থেকে গুলি বিক্রির হিসাব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অবৈধ বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশের শঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমান্তঘেষা ভারতের মণিপুর রাজ্যে সম্প্রতি লুট হওয়া কয়েক হাজার অস্ত্র সেখানকার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। এছাড়া দেশে থাকা অবৈধ অস্ত্রগুলোও আবার হাতবদল হয়ে ব্যবহার শুরু হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতার পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রধারীদের কেনা গুলির হিসাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ও ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা এবং তা ঠেকানোর বিষয়সহ আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে গত আট মাসে ২ হাজার ৭৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করার তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ চার মাসে ৭৮৬টি খুনের ঘটনার বিষয় উল্লেখ করা হয়। এসব খুনের বেশির ভাগই ঘটে ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়।
ভারতের মণিপুর রাজ্যে গত কয়েক মাসে প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও বাকি ৪ হাজার অস্ত্র এখনো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্রের মধ্যে ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে রয়েছে। এ কে সিরিজের এসব অস্ত্রের মধ্যে বেশির ভাগই অত্যাধুনিক রাইফেল ও পিস্তল। এসব অস্ত্র যাতে কোনোভাবে দেশে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে পুলিশের ওই অপরাধ পর্যালোচনা সভায়।
সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বলেন, ভারতের মণিপুরে অস্ত্র লুট হয়েছে। মণিপুরের সীমান্তের কাছাকাছি যেসব জেলা আছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এসব লুট হওয়া অস্ত্র সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি অপারেশনস) আনোয়ার হোসেন বলেন, বাইরের কোনো অস্ত্র যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্ত জেলাগুলোকে সব সময় সতর্ক করা হয়। নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতরও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পদস্থ আরেক কর্মকর্তা বলেন, মৌখিকভাবে সব জেলার পুলিশ সুপার ও অন্যান্য ইউনিটকে অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিতে বলা হয়েছে। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভারতের মণিপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো সীমান্ত নেই। মণিপুর থেকে মিজোরাম অথবা ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে আসতে হয়। ত্রিপুরা ও মিজোরামের পাহাড়ি অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য রয়েছে। ভারতের ত্রিপুরার সীমান্তে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা।
এই জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে আমরা সব সময় সতর্কতা ও বিশেষ নজরদারি করে থাকি। এই সময়ে আরও বেশি নজরদারি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে অস্ত্রসহ কোনো ধরনের অবৈধ কিছু যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সতর্ক নজরদারি করা হয়। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সঙ্গেও সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।’
গুলির হিসাব নেওয়ার নির্দেশ
বৈধ অস্ত্রধারীরা যে গুলি খরচ করে, তার সঠিক হিসাব দিতে পারছেন না দেশের বেশির ভাগ বৈধ অস্ত্রধারী। বছরের পর বছর লাইসেন্সের বিপরীতে গুলি সংগ্রহ করলেও গুলি খরচ করার পর থানায় জানানোর যে নিয়ম, তার তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। ফলে বৈধ অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার কারণ আর হিসাব কোনোটাই জানতে পারছে না সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের সভায় আশঙ্কা করা হয়েছে, নির্বাচনের আগে এই বৈধ গুলিগুলো বাইরে বিক্রি হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে অবৈধ অস্ত্রে ব্যবহার হতে পারে। তাই পুলিশের বিশেষ শাখাকে দিয়ে অস্ত্রের দোকান থেকে গুলি বিক্রির হিসাব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে