সেই মনির আরও দুই সহযোগী কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫৪
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২১

খুলনার সময়ের খবর পত্রিকার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী ফরিদা ইয়াসমিন মনি’র আরও দুজন সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার তাঁরা খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুমি আহমেদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো ওই দুজন হলেন-ঢাকার মুগদা থানা এলাকার ১৬৯ মান্ডার চাঁন মিয়া গলির বাসিন্দা শাহাদত হোসেন চৌধুরীর পুত্র কাওছার আহমেদ চৌধুরী (৪৫) ও বংশাল থানার ছিদ্দিবাজার জবেদ গলির দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলু মিয়ার পুত্র আশিকুর রহমান (৩৪)। এরা দুজনই মনির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় সাক্ষী ও নানা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত এ চক্রটি। এদের মধ্যে কাওছার আহমেদ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মনি’র ঢাকার ভাড়া বাসার বাড়ির মালিক ও আশিক তার সহযোগী বলে জানা গেছে।

মনি বাদী হয়ে ঢাকার মুগদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ও আইনজীবী মেহেদি হাসানের নামে সম্প্রতি একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন। ওই মামলায় কাওছার আহমেদ চৌধুরী ও আশিকুর রহমানকে মিথ্যা সাক্ষী বানানো হয়। এ ছাড়া ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে ফাঁসানোর চেষ্টার মামলায়ও এরা দুজন মনির সাক্ষী হিসেবে রয়েছে বলে তথ্য মেলে।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাতে মনিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৬ সদস্যরা। ২৫ নভেম্বর সদর থানা-পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম আসামি মনিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ২ মাস ৯ দিন কারাবাসের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন হয়। মনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার করিম নগর মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব খানের মেয়ে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত