আজিজুর রহমান, চৌগাছা
যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত ভারতে সোনা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে পরিণত হতে চলেছে। জেলার চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার কয়েকটি সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করছেন চোরাচালানিরা।
২০ থেকে ৩১ মে দিবাগত রাত, মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে চৌগাছার কাবিলপুর সীমান্ত এবং যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর থেকে ৩০ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের ২৫৯টি সোনার বার উদ্ধার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। জুয়েলারি দোকানিরা বলছেন, বিজিবির কাছে যে পরিমাণ সোনা আটক হয়, এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি পাচার হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছরে বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ২০০ কেজির ওপরে সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে করোনাকালীন গত তিন বছরেই উদ্ধার হয় ১০০ কেজির ওপরে সোনার বার। তবে এসব সোনা উদ্ধারের সময় বহনকারী শ্রমিকরাই আটক হন। মূল হোতারা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার সোনা উদ্ধার ও বহনকারীরা গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তী তদন্তে তাঁরা মুখ না খোলায় মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচন হয় না। ফলে পাচার কমে না। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানান, এসব সোনার মালিক তাঁরা নন, বাহকমাত্র। ঢাকা থেকে প্রতিটি বার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বহনের কাজ করেন তাঁরা।
সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারতে সোনার ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ, যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক বন্দর ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে কলকাতার অবস্থান, যশোর থেকে চৌগাছা বা শার্শা উপজেলার অন্য সীমান্তগুলোও কম দূরত্বের মধ্যে হওয়ায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধাজনক বিধায় চোরাচালানিরা এসব পথ ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন সময় বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ও গোয়েন্দারা পাচারের সময় সোনা উদ্ধার ও আটকের পর চোরাকারবারিদের কৌশল বুঝে যাওয়ায় তাঁরাও ভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকেন। আবার চৌগাছার কাবিলপুরসহ কয়েকটি সীমান্ত এবং শার্শার কাশিপুর, শিকারপুর, ভবেরবেড়, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে থাকে।
সর্বশেষ গত ৩১ মে দিবাগত রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের যশোর সদর উপজেলা বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অভিযান চালিয়ে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ১৩৫টি সোনার বার উদ্ধার করেন। এ সময় তিনটি প্রাইভেট কারসহ ছয় পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বিজিবির কাছে সংবাদ ছিল ঢাকা থেকে একটি বড় সোনার চালান যশোরের উদ্দেশে আসছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবগত করে বিজিবি। এরপরই টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান চলে। অভিযানে রাত ৩টার দিকে তিনটি প্রাইভেটের চাকার পাশে তৈরি বিশেষ বক্সে লুকানো অবস্থায় ১৩৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তিনটি গাড়িতে থাকা বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, পুটখালী গ্রামের নাজমুল হোসেন, চাঁদপুর জেলার ঘাগুড়িয়া গ্রামের আরিফ মিয়াজী, কুমিল্লা জেলার নৈয়ার গ্রামের শাহজালাল, মাদারীপুরের বলশা গ্রামের আবু হায়াত জনি ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিঝমিঝি গ্রামের রবিউল ইসলাম রাব্বিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিজিবি ও পুলিশকে জানান, তাঁরা সোনা ভারতে পাচার করতে যাচ্ছিলেন। সোনার বদলে ইউএস ডলার নেওয়ার উদ্দেশে যশোর এসেছিলেন। তবে চালানের মালিকদের নাম বলেননি তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই ছয় পাচারকারীর প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত আংশিক শুনানি নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আজ।
এর আগে গত ২০ মে চৌগাছার বড় কাবিলপুর শ্মশানঘাট থেকে ওই গ্রামের শাহআলমে (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ১২৪টি সোনার বারসহ আটক করেন চৌগাছার শাহাজাদপুর বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির হাতে সোনাসহ আটকের পর কোরআনের হাফেজ ও কাবিলপুর বাজারে হোমিও ডাক্তার হিসেবে পরিচিত শাহআলম স্বীকার করেন তিনি এর আগেও ৬ বার ওই এলাকা দিয়ে সোনা পাচার করেছেন। সপ্তমবারে এক অতি আপনজনের দেওয়া তথ্যে তিনি ধরা পড়ে যান। তবে সোনার মালিক বা মূল পাচারকারীর নাম বলেননি তিনিও।
ওই ঘটনায় চৌগাছা থানার মামলায় শাহআলমকে দুদিনের রিমান্ড দেন আদালত। চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করছেন। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শার্শার শ্যামলাগাজী এলাকা থেকে ১ কেজি ১৬৫ গ্রাম ওজনের ১০টি সোনার বারসহ ওই উপজেলার নামাজ গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৩৮) নামে একজনকে আটক করে বিজিবি।
যশোর বিজিবি এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছরে বিজিবি ১০০ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। যার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে উদ্ধার হয় ৪১ কেজি ৭২২ গ্রাম এবং ২০২১ সালে ১৩ কেজি ১৪৩ গ্রাম সোনা। আর চলতি বছরের ৬ মাস না যেতেই ৩১ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার হয়েছে। সূত্রমতে, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গত পাঁচ বছরে উদ্ধার করেছে ২০০ কেজি সোনা। তবে এসব সোনা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও মূল হোতারা সবসময় থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় চালান উদ্ধার হয় ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট। শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দিন রাত ১০টার দিকে মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেন। তাঁর কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৬২৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪০০ গ্রাম। দাম ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে মহিউদ্দিনসহ নয়জনের নাম আসে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি যশোরের সভাপতি রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয় বলেন, ‘সোনা চোরাচালানে জড়িত মূল হোতারা আটক হয় না। বিজিবির কাছে যে পরিমাণ সোনা আটক হয়, এর চেয়ে অনেক বেশি পাচার হয়। এতে আমাদের বদনামও হয়, আমরা ক্ষতিগ্রস্তও হই।’
এ বিষয়ে বিজিবি যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, ‘সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। সোনা চোরাচালানে যাঁরাই জড়িত থাকুক, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি যশোরে দুটি চালান ও আটক কারবারিদের রিমান্ড চেয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে বহনকারীরা মুখ না খোলায় এবং পর্যাপ্ত তথ্য না দেওয়ায় রাঘববোয়ালরা পার পেয়ে যান। এ ছাড়া তথ্য পেলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ ও সাক্ষীর অভাবে অনেক সময় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যান রাঘববোয়ালরা।
যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত ভারতে সোনা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে পরিণত হতে চলেছে। জেলার চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার কয়েকটি সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করছেন চোরাচালানিরা।
২০ থেকে ৩১ মে দিবাগত রাত, মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে চৌগাছার কাবিলপুর সীমান্ত এবং যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর থেকে ৩০ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের ২৫৯টি সোনার বার উদ্ধার করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। জুয়েলারি দোকানিরা বলছেন, বিজিবির কাছে যে পরিমাণ সোনা আটক হয়, এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি পাচার হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছরে বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ২০০ কেজির ওপরে সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে করোনাকালীন গত তিন বছরেই উদ্ধার হয় ১০০ কেজির ওপরে সোনার বার। তবে এসব সোনা উদ্ধারের সময় বহনকারী শ্রমিকরাই আটক হন। মূল হোতারা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার সোনা উদ্ধার ও বহনকারীরা গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তী তদন্তে তাঁরা মুখ না খোলায় মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচন হয় না। ফলে পাচার কমে না। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানান, এসব সোনার মালিক তাঁরা নন, বাহকমাত্র। ঢাকা থেকে প্রতিটি বার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বহনের কাজ করেন তাঁরা।
সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারতে সোনার ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ, যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক বন্দর ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে কলকাতার অবস্থান, যশোর থেকে চৌগাছা বা শার্শা উপজেলার অন্য সীমান্তগুলোও কম দূরত্বের মধ্যে হওয়ায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধাজনক বিধায় চোরাচালানিরা এসব পথ ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন সময় বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ও গোয়েন্দারা পাচারের সময় সোনা উদ্ধার ও আটকের পর চোরাকারবারিদের কৌশল বুঝে যাওয়ায় তাঁরাও ভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকেন। আবার চৌগাছার কাবিলপুরসহ কয়েকটি সীমান্ত এবং শার্শার কাশিপুর, শিকারপুর, ভবেরবেড়, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে থাকে।
সর্বশেষ গত ৩১ মে দিবাগত রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের যশোর সদর উপজেলা বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অভিযান চালিয়ে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ১৩৫টি সোনার বার উদ্ধার করেন। এ সময় তিনটি প্রাইভেট কারসহ ছয় পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বিজিবির কাছে সংবাদ ছিল ঢাকা থেকে একটি বড় সোনার চালান যশোরের উদ্দেশে আসছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবগত করে বিজিবি। এরপরই টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান চলে। অভিযানে রাত ৩টার দিকে তিনটি প্রাইভেটের চাকার পাশে তৈরি বিশেষ বক্সে লুকানো অবস্থায় ১৩৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তিনটি গাড়িতে থাকা বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, পুটখালী গ্রামের নাজমুল হোসেন, চাঁদপুর জেলার ঘাগুড়িয়া গ্রামের আরিফ মিয়াজী, কুমিল্লা জেলার নৈয়ার গ্রামের শাহজালাল, মাদারীপুরের বলশা গ্রামের আবু হায়াত জনি ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিঝমিঝি গ্রামের রবিউল ইসলাম রাব্বিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিজিবি ও পুলিশকে জানান, তাঁরা সোনা ভারতে পাচার করতে যাচ্ছিলেন। সোনার বদলে ইউএস ডলার নেওয়ার উদ্দেশে যশোর এসেছিলেন। তবে চালানের মালিকদের নাম বলেননি তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই ছয় পাচারকারীর প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত আংশিক শুনানি নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আজ।
এর আগে গত ২০ মে চৌগাছার বড় কাবিলপুর শ্মশানঘাট থেকে ওই গ্রামের শাহআলমে (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ কেজি ৪৫০ গ্রাম ওজনের ১২৪টি সোনার বারসহ আটক করেন চৌগাছার শাহাজাদপুর বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির হাতে সোনাসহ আটকের পর কোরআনের হাফেজ ও কাবিলপুর বাজারে হোমিও ডাক্তার হিসেবে পরিচিত শাহআলম স্বীকার করেন তিনি এর আগেও ৬ বার ওই এলাকা দিয়ে সোনা পাচার করেছেন। সপ্তমবারে এক অতি আপনজনের দেওয়া তথ্যে তিনি ধরা পড়ে যান। তবে সোনার মালিক বা মূল পাচারকারীর নাম বলেননি তিনিও।
ওই ঘটনায় চৌগাছা থানার মামলায় শাহআলমকে দুদিনের রিমান্ড দেন আদালত। চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করছেন। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শার্শার শ্যামলাগাজী এলাকা থেকে ১ কেজি ১৬৫ গ্রাম ওজনের ১০টি সোনার বারসহ ওই উপজেলার নামাজ গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৩৮) নামে একজনকে আটক করে বিজিবি।
যশোর বিজিবি এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছরে বিজিবি ১০০ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। যার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে উদ্ধার হয় ৪১ কেজি ৭২২ গ্রাম এবং ২০২১ সালে ১৩ কেজি ১৪৩ গ্রাম সোনা। আর চলতি বছরের ৬ মাস না যেতেই ৩১ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার হয়েছে। সূত্রমতে, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গত পাঁচ বছরে উদ্ধার করেছে ২০০ কেজি সোনা। তবে এসব সোনা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও মূল হোতারা সবসময় থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় চালান উদ্ধার হয় ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট। শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দিন রাত ১০টার দিকে মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেন। তাঁর কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৬২৪টি সোনার বার উদ্ধার হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪০০ গ্রাম। দাম ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে মহিউদ্দিনসহ নয়জনের নাম আসে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি যশোরের সভাপতি রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয় বলেন, ‘সোনা চোরাচালানে জড়িত মূল হোতারা আটক হয় না। বিজিবির কাছে যে পরিমাণ সোনা আটক হয়, এর চেয়ে অনেক বেশি পাচার হয়। এতে আমাদের বদনামও হয়, আমরা ক্ষতিগ্রস্তও হই।’
এ বিষয়ে বিজিবি যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, ‘সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। সোনা চোরাচালানে যাঁরাই জড়িত থাকুক, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি যশোরে দুটি চালান ও আটক কারবারিদের রিমান্ড চেয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে বহনকারীরা মুখ না খোলায় এবং পর্যাপ্ত তথ্য না দেওয়ায় রাঘববোয়ালরা পার পেয়ে যান। এ ছাড়া তথ্য পেলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ ও সাক্ষীর অভাবে অনেক সময় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যান রাঘববোয়ালরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে