সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ। গত ২৬ মাসে ৩৩ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ-উপপক্ষের নেতা-কর্মীরা। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন।
এসব সংঘর্ষের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। কারণ তিনটি হলো কমিটির পদে আসতে শক্তি প্রদর্শন ও কমিটি না থাকা; চবি প্রশাসন থেকে ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক আর্থিক সুবিধা আদায় এবং প্রশাসনের শক্ত অবস্থান না থাকা। এ পরিস্থিতির জন্য শিক্ষকদের দলাদলিও অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চবিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শুরু হবে। এর আগে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চার দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকদের একটি অংশ ভিসিবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেলেও একটি অংশ চায় নির্বাচন। এ নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক জানান, ‘বন্ধ ও ক্যাম্পাসে মারামারির কারণে শিক্ষক আন্দোলনের গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। নির্বাচন আমরা যথাসময়ে করতে পারিনি ঠিকই কিন্তু দ্রুত নির্বাচন সম্পন্নের কাজ চলছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মো. আবদুল্লাহ মামুন বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন না করে আন্দোলন করাটা অসুন্দর ও অনৈতিক। আন্দোলনের ছুতায় নির্বাচন দিতে দেরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ভর্তি পরীক্ষার আগে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা নতুন করে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১১টি উপপক্ষ রয়েছে। তাদের রাজনীতি মূলত দুই অংশে বিভক্ত। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। সিএফসি গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নওফেল সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চবি প্রশাসনের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন। এ গ্রুপগুলো নিজেদের শক্তিমত্তা দেখানোর জন্য অধিকাংশ সময় সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
সূত্র জানায়, চবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে সংঘাতে জড়াচ্ছে ছাত্রলীগের উপপক্ষগুলোর নেতা-কর্মীরা। চবি প্রশাসন থেকে বিভিন্ন বাহানায় আর্থিক সুবিধা নেওয়ার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এ ধরনের সংঘর্ষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় বলে ক্যাম্পাসে প্রচলিত আছে। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা, সিট প্ল্যান সম্পর্কে দিকনির্দেশনাসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ভর্তি-ইচ্ছুকদের সহায়তার মাশুল হিসেবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিএফসির নেতা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। অক্টোবরে নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেল। এর পর থেকেই নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আগ্রহী ছাত্রলীগ নেতারা। এ নেতৃত্বহীনতায় ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল ছাত্রলীগ। উপপক্ষগুলোর নেতা-কর্মীরা যে যাঁর মতো তৎপরতা চালাচ্ছেন ক্যাম্পাসে। এতে সংঘাত-সংঘর্ষ লেগেই আছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৪ বার সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলোর নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১১ বার সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন ১০৪ জন। ২০২৩ সালে সংঘটিত ১৫ সংঘর্ষে আহত হন ১৩০ জন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংঘটিত ৭ দফা সংঘর্ষে আহত হন ৪০ জন। সংঘর্ষের সময় নেতা-কর্মীরা দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ও ককটেল হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ পরিশ্রম এবং সংযম প্রদর্শন করেছেন।’
বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ। গত ২৬ মাসে ৩৩ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ-উপপক্ষের নেতা-কর্মীরা। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন।
এসব সংঘর্ষের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। কারণ তিনটি হলো কমিটির পদে আসতে শক্তি প্রদর্শন ও কমিটি না থাকা; চবি প্রশাসন থেকে ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক আর্থিক সুবিধা আদায় এবং প্রশাসনের শক্ত অবস্থান না থাকা। এ পরিস্থিতির জন্য শিক্ষকদের দলাদলিও অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চবিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শুরু হবে। এর আগে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চার দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকদের একটি অংশ ভিসিবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেলেও একটি অংশ চায় নির্বাচন। এ নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক জানান, ‘বন্ধ ও ক্যাম্পাসে মারামারির কারণে শিক্ষক আন্দোলনের গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। নির্বাচন আমরা যথাসময়ে করতে পারিনি ঠিকই কিন্তু দ্রুত নির্বাচন সম্পন্নের কাজ চলছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মো. আবদুল্লাহ মামুন বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন না করে আন্দোলন করাটা অসুন্দর ও অনৈতিক। আন্দোলনের ছুতায় নির্বাচন দিতে দেরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ভর্তি পরীক্ষার আগে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা নতুন করে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১১টি উপপক্ষ রয়েছে। তাদের রাজনীতি মূলত দুই অংশে বিভক্ত। এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। সিএফসি গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নওফেল সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চবি প্রশাসনের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন। এ গ্রুপগুলো নিজেদের শক্তিমত্তা দেখানোর জন্য অধিকাংশ সময় সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
সূত্র জানায়, চবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে সংঘাতে জড়াচ্ছে ছাত্রলীগের উপপক্ষগুলোর নেতা-কর্মীরা। চবি প্রশাসন থেকে বিভিন্ন বাহানায় আর্থিক সুবিধা নেওয়ার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এ ধরনের সংঘর্ষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় বলে ক্যাম্পাসে প্রচলিত আছে। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা, সিট প্ল্যান সম্পর্কে দিকনির্দেশনাসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ভর্তি-ইচ্ছুকদের সহায়তার মাশুল হিসেবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিএফসির নেতা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। অক্টোবরে নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেল। এর পর থেকেই নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন আগ্রহী ছাত্রলীগ নেতারা। এ নেতৃত্বহীনতায় ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল ছাত্রলীগ। উপপক্ষগুলোর নেতা-কর্মীরা যে যাঁর মতো তৎপরতা চালাচ্ছেন ক্যাম্পাসে। এতে সংঘাত-সংঘর্ষ লেগেই আছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৪ বার সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলোর নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১১ বার সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন ১০৪ জন। ২০২৩ সালে সংঘটিত ১৫ সংঘর্ষে আহত হন ১৩০ জন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংঘটিত ৭ দফা সংঘর্ষে আহত হন ৪০ জন। সংঘর্ষের সময় নেতা-কর্মীরা দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ও ককটেল হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ পরিশ্রম এবং সংযম প্রদর্শন করেছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে