
জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়টি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে প্রোগ্রামটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বা ‘বায়োটেকনোলজি’ নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়। এ বিভাগে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক অমিত সরদার।
পড়ার যোগ্যতা কী
‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অবশ্যই বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে পড়তে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০-৮. ০০ প্রয়োজন হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পছন্দের বিষয় হিসেবে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নির্বাচন করে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে বর্তমানে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম দিকের হওয়ায় এ বিষয়ে পড়তে হলে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় ভালো অবস্থানে থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পড়তে হলে অবশ্যই জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
এর পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা যায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামেও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রোগ্রামে কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
বায়োটেকনোলজি মূলত একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিষয়। এটি মূলত বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও জেনেটিকস ইত্যাদি বিষয়ের একটি সমন্বিত রূপ। ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রোগ্রামে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর বিষয় যেমন অ্যানিমেল সেল কালচার, প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি, জিন থেরাপি, জেনোম সিকুয়েন্সিং, ডেভেলপমেন্ট বায়োলজি, স্টেম সেল থেরাপি, ক্যানসার বায়োলজি, রিজেনারেটিভ মেডিসিন, ন্যানোটেকনোলজি, ড্রাগ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া পিসিআর, আরটিপিসিআর, এনএমআর, স্পেকট্রসকপি, মাইক্রোঅ্যারে, ফ্লো সাইটোমেট্রির মতো বিশেষায়িত প্রযুক্তি সম্পর্কেও পড়ানো হয়।

চাকরির সুযোগ কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বেইজড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি ও এনজিওগুলোতে বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বায়োটেক ডিভিশন’ নামে আলাদা একটি ডিভিশনই রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন অসংখ্য বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট। এ ছাড়া বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার মডার্নার মতো বিখ্যাত বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক গ্র্যাজুয়েট। পাশাপাশি বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে সহজেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বলা হয়ে থাকে, একবিংশ শতাব্দী হবে বায়োটেকনোলজিস্টদের। তাই বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে গবেষণার গুরুত্ব কতখানি। একটি ভ্যাকসিন ডেভেলপ করে বাজারজাত করার জন্য ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এই ফিল্ডের বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এত অল্প সময়ে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা সম্ভব হয়েছিল। সর্বোপরি একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজিস্টরা যথেষ্ট অবহেলিত। বাংলাদেশে যথেষ্টসংখ্যক বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও এবং কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রাখার সুযোগ থাকলেও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণে, স্বাস্থ্যসেবায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজিস্টরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এককথায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেন বায়োটেকনোলজিস্টরা।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার জন্য তেমন খরচ নেই বললেই চলে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ভর্তির পর স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করার জন্য সেমিস্টার ফি ও পরীক্ষার ফি হিসাবে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক কোর্সে পড়ার জন্য ৮-১২ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অবারিত সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বিষয়টি অবহেলিত হলেও উন্নত বিশ্বে এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেকোনো টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারা যাবে, সে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বায়োটেকনোলজি গবেষণায় কতটা সমৃদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর বায়োটেকনোলজি বা বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচুর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ওপরের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
অমিত সরদার, প্রভাষক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়টি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে প্রোগ্রামটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বা ‘বায়োটেকনোলজি’ নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়। এ বিভাগে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক অমিত সরদার।
পড়ার যোগ্যতা কী
‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অবশ্যই বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে পড়তে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০-৮. ০০ প্রয়োজন হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পছন্দের বিষয় হিসেবে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নির্বাচন করে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে বর্তমানে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম দিকের হওয়ায় এ বিষয়ে পড়তে হলে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় ভালো অবস্থানে থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পড়তে হলে অবশ্যই জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
এর পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা যায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামেও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রোগ্রামে কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
বায়োটেকনোলজি মূলত একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিষয়। এটি মূলত বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও জেনেটিকস ইত্যাদি বিষয়ের একটি সমন্বিত রূপ। ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রোগ্রামে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর বিষয় যেমন অ্যানিমেল সেল কালচার, প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি, জিন থেরাপি, জেনোম সিকুয়েন্সিং, ডেভেলপমেন্ট বায়োলজি, স্টেম সেল থেরাপি, ক্যানসার বায়োলজি, রিজেনারেটিভ মেডিসিন, ন্যানোটেকনোলজি, ড্রাগ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া পিসিআর, আরটিপিসিআর, এনএমআর, স্পেকট্রসকপি, মাইক্রোঅ্যারে, ফ্লো সাইটোমেট্রির মতো বিশেষায়িত প্রযুক্তি সম্পর্কেও পড়ানো হয়।

চাকরির সুযোগ কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বেইজড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি ও এনজিওগুলোতে বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বায়োটেক ডিভিশন’ নামে আলাদা একটি ডিভিশনই রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন অসংখ্য বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট। এ ছাড়া বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার মডার্নার মতো বিখ্যাত বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক গ্র্যাজুয়েট। পাশাপাশি বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে সহজেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বলা হয়ে থাকে, একবিংশ শতাব্দী হবে বায়োটেকনোলজিস্টদের। তাই বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে গবেষণার গুরুত্ব কতখানি। একটি ভ্যাকসিন ডেভেলপ করে বাজারজাত করার জন্য ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এই ফিল্ডের বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এত অল্প সময়ে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা সম্ভব হয়েছিল। সর্বোপরি একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজিস্টরা যথেষ্ট অবহেলিত। বাংলাদেশে যথেষ্টসংখ্যক বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও এবং কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রাখার সুযোগ থাকলেও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণে, স্বাস্থ্যসেবায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজিস্টরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এককথায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেন বায়োটেকনোলজিস্টরা।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার জন্য তেমন খরচ নেই বললেই চলে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ভর্তির পর স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করার জন্য সেমিস্টার ফি ও পরীক্ষার ফি হিসাবে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক কোর্সে পড়ার জন্য ৮-১২ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অবারিত সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বিষয়টি অবহেলিত হলেও উন্নত বিশ্বে এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেকোনো টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারা যাবে, সে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বায়োটেকনোলজি গবেষণায় কতটা সমৃদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর বায়োটেকনোলজি বা বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচুর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ওপরের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
অমিত সরদার, প্রভাষক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়টি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে প্রোগ্রামটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বা ‘বায়োটেকনোলজি’ নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়। এ বিভাগে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক অমিত সরদার।
পড়ার যোগ্যতা কী
‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অবশ্যই বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে পড়তে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০-৮. ০০ প্রয়োজন হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পছন্দের বিষয় হিসেবে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নির্বাচন করে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে বর্তমানে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম দিকের হওয়ায় এ বিষয়ে পড়তে হলে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় ভালো অবস্থানে থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পড়তে হলে অবশ্যই জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
এর পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা যায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামেও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রোগ্রামে কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
বায়োটেকনোলজি মূলত একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিষয়। এটি মূলত বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও জেনেটিকস ইত্যাদি বিষয়ের একটি সমন্বিত রূপ। ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রোগ্রামে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর বিষয় যেমন অ্যানিমেল সেল কালচার, প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি, জিন থেরাপি, জেনোম সিকুয়েন্সিং, ডেভেলপমেন্ট বায়োলজি, স্টেম সেল থেরাপি, ক্যানসার বায়োলজি, রিজেনারেটিভ মেডিসিন, ন্যানোটেকনোলজি, ড্রাগ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া পিসিআর, আরটিপিসিআর, এনএমআর, স্পেকট্রসকপি, মাইক্রোঅ্যারে, ফ্লো সাইটোমেট্রির মতো বিশেষায়িত প্রযুক্তি সম্পর্কেও পড়ানো হয়।

চাকরির সুযোগ কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বেইজড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি ও এনজিওগুলোতে বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বায়োটেক ডিভিশন’ নামে আলাদা একটি ডিভিশনই রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন অসংখ্য বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট। এ ছাড়া বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার মডার্নার মতো বিখ্যাত বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক গ্র্যাজুয়েট। পাশাপাশি বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে সহজেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বলা হয়ে থাকে, একবিংশ শতাব্দী হবে বায়োটেকনোলজিস্টদের। তাই বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে গবেষণার গুরুত্ব কতখানি। একটি ভ্যাকসিন ডেভেলপ করে বাজারজাত করার জন্য ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এই ফিল্ডের বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এত অল্প সময়ে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা সম্ভব হয়েছিল। সর্বোপরি একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজিস্টরা যথেষ্ট অবহেলিত। বাংলাদেশে যথেষ্টসংখ্যক বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও এবং কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রাখার সুযোগ থাকলেও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণে, স্বাস্থ্যসেবায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজিস্টরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এককথায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেন বায়োটেকনোলজিস্টরা।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার জন্য তেমন খরচ নেই বললেই চলে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ভর্তির পর স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করার জন্য সেমিস্টার ফি ও পরীক্ষার ফি হিসাবে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক কোর্সে পড়ার জন্য ৮-১২ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অবারিত সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বিষয়টি অবহেলিত হলেও উন্নত বিশ্বে এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেকোনো টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারা যাবে, সে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বায়োটেকনোলজি গবেষণায় কতটা সমৃদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর বায়োটেকনোলজি বা বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচুর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ওপরের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
অমিত সরদার, প্রভাষক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়টি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করলে ২০০৩ সালে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে প্রোগ্রামটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বা ‘বায়োটেকনোলজি’ নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়। এ বিভাগে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক অমিত সরদার।
পড়ার যোগ্যতা কী
‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অবশ্যই বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে পড়তে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০-৮. ০০ প্রয়োজন হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পছন্দের বিষয় হিসেবে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ নির্বাচন করে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে বর্তমানে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম দিকের হওয়ায় এ বিষয়ে পড়তে হলে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় ভালো অবস্থানে থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পড়তে হলে অবশ্যই জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
এর পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা যায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামেও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রোগ্রামে কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
বায়োটেকনোলজি মূলত একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিষয়। এটি মূলত বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও জেনেটিকস ইত্যাদি বিষয়ের একটি সমন্বিত রূপ। ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রোগ্রামে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর বিষয় যেমন অ্যানিমেল সেল কালচার, প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি, জিন থেরাপি, জেনোম সিকুয়েন্সিং, ডেভেলপমেন্ট বায়োলজি, স্টেম সেল থেরাপি, ক্যানসার বায়োলজি, রিজেনারেটিভ মেডিসিন, ন্যানোটেকনোলজি, ড্রাগ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া পিসিআর, আরটিপিসিআর, এনএমআর, স্পেকট্রসকপি, মাইক্রোঅ্যারে, ফ্লো সাইটোমেট্রির মতো বিশেষায়িত প্রযুক্তি সম্পর্কেও পড়ানো হয়।

চাকরির সুযোগ কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী বিষয়। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক বিভাগ, বায়োটেকনোলজি বেইজড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি ও এনজিওগুলোতে বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বায়োটেক ডিভিশন’ নামে আলাদা একটি ডিভিশনই রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন অসংখ্য বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট। এ ছাড়া বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতেও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার মডার্নার মতো বিখ্যাত বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি কোম্পানিতে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক গ্র্যাজুয়েট। পাশাপাশি বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে সহজেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
বলা হয়ে থাকে, একবিংশ শতাব্দী হবে বায়োটেকনোলজিস্টদের। তাই বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে গবেষণার গুরুত্ব কতখানি। একটি ভ্যাকসিন ডেভেলপ করে বাজারজাত করার জন্য ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এই ফিল্ডের বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এত অল্প সময়ে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা সম্ভব হয়েছিল। সর্বোপরি একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজিস্টরা যথেষ্ট অবহেলিত। বাংলাদেশে যথেষ্টসংখ্যক বায়োটেকনোলজিস্ট ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও এবং কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রাখার সুযোগ থাকলেও সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণে, স্বাস্থ্যসেবায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজিস্টরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এককথায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেন বায়োটেকনোলজিস্টরা।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার জন্য তেমন খরচ নেই বললেই চলে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ভর্তির পর স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করার জন্য সেমিস্টার ফি ও পরীক্ষার ফি হিসাবে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক কোর্সে পড়ার জন্য ৮-১২ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অবারিত সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে বিষয়টি অবহেলিত হলেও উন্নত বিশ্বে এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেকোনো টপ র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারা যাবে, সে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বায়োটেকনোলজি গবেষণায় কতটা সমৃদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর বায়োটেকনোলজি বা বায়োটেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচুর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ওপরের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
অমিত সরদার, প্রভাষক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

জীববিজ্ঞানের একটি অত্যাধুনিক শাখা হলো বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমান বিশ্বে মানবকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এটি। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে সর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫