তীর সংরক্ষণ বাঁধে ভাঙন ৮০ মিটার ব্লক বিলীন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
Thumbnail image

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের লালগোলা এলাকায় ভাঙনে সিসি ব্লকের প্রায় ৮০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, বরাট ইউনিয়নের লালগোলা এলাকায় ৮০ মিটার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায়ও নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এই এলাকার কৃষিজমি ভেঙে যাচ্ছে পদ্মায়। এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে উচ্ছে, পটোল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, মাষকলাইসহ বিভিন্ন ফসলি খেত। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আরও অনেক কৃষক ফসলি জমি হারাবেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার লালগোলা এলাকায় সিসি ব্লকের ৪০ মিটার এলাকা পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এরপর গত শনিবার রাত থেকে আবার একই স্থানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়ে ৪০ মিটার সিসি ব্লক বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয় ইয়াছিন মোল্লা বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন দেখা দিছে। অনেক স্থানে ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙনের সময় শুধু জিও ব্যাগ ফেলে। এই এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী নদীশাসনের ব্যবস্থা করা; কিন্তু সেটা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

সবুর মোল্লা বলেন, ‘পদ্মার পানি কমায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এই এলাকার অনেকেই ভিটেহারা হবেন।

কৃষক মোন্তাজ মোল্লা বলেন, দুই দশক আগেও তাঁর ২০ বিঘা ফসলি জমি ছিল। নদী ভেঙে এখন অবশিষ্ট আছে বিঘাচারেক। নদীর পাড়ে এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেছিলেন; কিন্তু কয়েক দিন ধরে পদ্মার ভাঙনে তাঁর জমির কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী শহর রক্ষায় পদ্মা নদীর তীরে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের কাজ হয়েছে সাত কিলোমিটার এলাকায়। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া শহর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০২১ বছরের ৩১ মে। এতে ব্যয় হয় ৩৭৬ কোটি টাকা। কাজটি সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ভাঙন দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আশা করছি, নতুন করে আর ভাঙন হবে না। লালগোলা এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

এ ছাড়া চরসিলিমপুরসহ যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে, সেখানেই ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত