রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নদীগুলো দিন দিন ছোট হচ্ছে, বড় হচ্ছে তীরের ফসলি জমি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দখলের কারণে প্রতিবছর নদীর প্রস্থ কমছে। ছোট্ট ফসলের জমি কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছে প্রশস্ত। নদীপাড়ের জমির মালিকেরা প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভরাট করে দখলের ফলে হুমকিতে পড়ছে উপজেলার চারটি নদী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শীতলক্ষ্যা, মাটিকাটা, খিরু, সুতিয়া নদীর তীরের জমিতে পুরোদমে বোরো ধান আবাদ চলছে। নদীর তীর ভরাট করে এসব খেত বানানো হয়েছে। ছোট ধানখেতগুলো কয়েক বছরের ব্যবধানে কয়েক গুণ বড় হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ের জমির মালিকেরা প্রতিবছর আস্তে আস্তে নদীর জমি ভরাট করে ফসলি জমি বড় করছেন। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাটিকাটা নদীর প্রবেশমুখে কালীমন্দিরের পাশের অংশ দখলের দিক থেকে এগিয়ে। এ ছাড়া এই নদীর বালিয়াপাড়া গ্রামের কয়েক কিলোমিটার, শীতলক্ষ্যা নদীর নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বড় একটি অংশ, সুতিয়া নদীর নান্দিয়া সাঙ্গুন অংশ ও খিরু নদীর ধামলই অংশে কয়েক কিলোমিটার তীর দখল করে বোরো আবাদ করা হয়েছে।
বরমী ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক নূরুল হক বলেন, মাটিকাটা নদীর তীরের জমি তাঁর, তাই একটু সুবিধা নিয়েছেন। প্রতিবছর খেতের আল ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আল বাঁধতে হয়। একটু এদিক-সেদিক হয়।
খিরু নদের তীরের কৃষক ওসমান আলী বলেন, ‘শুধু আমি না, ধামলই থেকে ভালুকা পর্যন্ত কমবেশি সবাই একটু একটু করে নিচে যাচ্ছে। আমিও তাদের দলেই।’ তাঁদের জমি বড় হয় কীভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানি কমে গেলে প্রতিবছর একটু একটু করে বাড়ানো হয়।
শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে বোরো আবাদ করেছেন কৃষক আব্দুস ছাত্তার। তিনি বলেন, ‘এসব নদীর জমি না। আমাদের কাগজপত্র আছে। হয়তো কিছু জমি ভরাট করা হয়েছে। বর্ষাকালে ভেঙে গেলে পুনরায় খেত ঠিক করতে গরমিল হয়। তা ছাড়া দখল তো আর আমি একা করছি না।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, নদী দখলের এটি একটি বাস্তব চিত্র। নদীগুলো রক্ষার জন্য নদীপাড়ের জমির মালিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে কাজ করছে। এ ধরনের দখল রোধে করণীয় ঠিক করে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে খননের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নদীগুলো দিন দিন ছোট হচ্ছে, বড় হচ্ছে তীরের ফসলি জমি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দখলের কারণে প্রতিবছর নদীর প্রস্থ কমছে। ছোট্ট ফসলের জমি কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছে প্রশস্ত। নদীপাড়ের জমির মালিকেরা প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভরাট করে দখলের ফলে হুমকিতে পড়ছে উপজেলার চারটি নদী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শীতলক্ষ্যা, মাটিকাটা, খিরু, সুতিয়া নদীর তীরের জমিতে পুরোদমে বোরো ধান আবাদ চলছে। নদীর তীর ভরাট করে এসব খেত বানানো হয়েছে। ছোট ধানখেতগুলো কয়েক বছরের ব্যবধানে কয়েক গুণ বড় হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ের জমির মালিকেরা প্রতিবছর আস্তে আস্তে নদীর জমি ভরাট করে ফসলি জমি বড় করছেন। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাটিকাটা নদীর প্রবেশমুখে কালীমন্দিরের পাশের অংশ দখলের দিক থেকে এগিয়ে। এ ছাড়া এই নদীর বালিয়াপাড়া গ্রামের কয়েক কিলোমিটার, শীতলক্ষ্যা নদীর নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বড় একটি অংশ, সুতিয়া নদীর নান্দিয়া সাঙ্গুন অংশ ও খিরু নদীর ধামলই অংশে কয়েক কিলোমিটার তীর দখল করে বোরো আবাদ করা হয়েছে।
বরমী ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক নূরুল হক বলেন, মাটিকাটা নদীর তীরের জমি তাঁর, তাই একটু সুবিধা নিয়েছেন। প্রতিবছর খেতের আল ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আল বাঁধতে হয়। একটু এদিক-সেদিক হয়।
খিরু নদের তীরের কৃষক ওসমান আলী বলেন, ‘শুধু আমি না, ধামলই থেকে ভালুকা পর্যন্ত কমবেশি সবাই একটু একটু করে নিচে যাচ্ছে। আমিও তাদের দলেই।’ তাঁদের জমি বড় হয় কীভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানি কমে গেলে প্রতিবছর একটু একটু করে বাড়ানো হয়।
শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে বোরো আবাদ করেছেন কৃষক আব্দুস ছাত্তার। তিনি বলেন, ‘এসব নদীর জমি না। আমাদের কাগজপত্র আছে। হয়তো কিছু জমি ভরাট করা হয়েছে। বর্ষাকালে ভেঙে গেলে পুনরায় খেত ঠিক করতে গরমিল হয়। তা ছাড়া দখল তো আর আমি একা করছি না।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, নদী দখলের এটি একটি বাস্তব চিত্র। নদীগুলো রক্ষার জন্য নদীপাড়ের জমির মালিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে কাজ করছে। এ ধরনের দখল রোধে করণীয় ঠিক করে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে খননের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে