ফারুক মেহেদী, ঢাকা
সরকারের সাধ আছে, কিন্তু সামর্থ্য কম। তাই এবারও ধারকর্জে ভর করেই দেওয়া হচ্ছে ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বড় বাজেট। জনতুষ্টির এই বাজেটে জনগণের করের অর্থে ৫ লাখ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার লক্ষ্য আছে সরকারের।
বাকি ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হবে। নির্বাচনের বছর হওয়ায় দাতা সংস্থা, ব্যাংক আর সঞ্চয়পত্র থেকে সুদে নেওয়া এই ধারের টাকার সিংহভাগই সামাজিক নিরাপত্তা ও সার, ডিজেল, বিদ্যুতের ভর্তুকিতে খরচ করতে চায় সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট-সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এনবিআরের সক্ষমতা কতটুকু, তা জানার পরও প্রতিবছরই তাদের ওপর বড় রাজস্ব আয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরে টেনেটুনেও ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয় না। বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আর অর্থের অভাবে উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট করে অর্থবছর শেষ করতে হয়। বাজেটে এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরেও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। অর্থবছর শেষে এই অঙ্ক ৫৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআই। এই বাস্তবতায় রীতি মেনে বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে এবারও।
আসছে বড় বাজেট অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় চাপ তৈরি করবে কি না জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থনীতির চাহিদার তুলনায় বাজেট বড় নয়। চ্যালেঞ্জ যেটা, সেটা হলো বৈশ্বিক পরিস্থিতি। এ ছাড়া কোনো চাপ নেই। আমরা পারব। সময়মতো বিদেশ থেকে অর্থও পাব। টাকার ঘাটতি হবে না। তবে সময় আর বাস্তবায়ন অদক্ষতা কিছুটা বাধা হবে।’
বাস্তবায়ন দক্ষতা না থাকলেও রাজনৈতিক কারণে বড় বাজেট দেওয়া হয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শুধু ধার নয়; অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে বাজেটের অর্থের সংস্থানে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ধারকর্জের বড় বাজেটের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় বাজেটের একটা রাজনৈতিক দিক আছে। মনে করা হয়, অঙ্কটা যত বড় করা যায়, মানুষকে তত খুশি করা যায়। পরে বাস্তবায়ন কী হলো, সেটা তো আর কেউ মনে রাখে না।’
বড় অঙ্কের ধারের বিষয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ধারের দুটি অংশ আছে। একটি অভ্যন্তরীণ, আরেকটি বিদেশি উৎস। বিদেশি ঋণ পেতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলেই কেবল ওই টাকা পাওয়া যাবে। আর বাজেট সহায়তার যে অংশ, সেটার জন্য নানান সংস্কার ও শর্ত পালন করতে হয়। মোটাদাগে পরিকল্পনা করলেই ঋণের সবটা পাওয়া যাবে, তা কিন্তু নয়। আর দেশের ভেতর থেকে যে ঋণ নেওয়া হবে, সেটার নানান ঝুঁকি রয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক থেকে নিলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। তাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সুতরাং সংকট সবদিকে। তাই ঘাটতি যত কম রাখা যায় এবং বিদেশি ঋণ যত বেশি কাজে লাগানো যায়, ততই ভালো।’
বাজেটের সঙ্গে জড়িত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নতুন বাজেটে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ ঘাটতি ধরা হয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সরকার যেসব খরচের পরিকল্পনা করেছে, সেগুলো মেটাতে হলে এর ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ধার করতে হবে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র থেকে। বাকি ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা নিতে হবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে। প্রায় ২ লাখ ২ হাজার কোটি ধারের টাকার বড় অংশই আবার খরচ হবে ভর্তুকি আর ধারের সুদ পরিশোধে। ভর্তুকিতে খরচ হবে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা আর সুদ পরিশোধে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে সার, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকিতে ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আসছে বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছিল, পরে তা ২৩ হাজার কোটিতে ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবার ভর্তুকি বাড়িয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করার চাহিদা দিয়েছে।
সরকার আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বড় অঙ্কের উন্নয়ন বাজেট প্রাক্কলন করেছে। এ টাকায় পদ্মা রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এর বাইরেও হাজারখানেক নতুন-পুরোনো প্রকল্প রয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে যেগুলোর কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এসব প্রকল্প চলমান রাখতে যে টাকা লাগবে, তা দেশি-বিদেশি দুই উৎস থেকেই সংস্থান করবে সরকার।
বিশ্লেষকেরা জানান, চলতি অর্থবছরে ঠিকমতো রাজস্ব আয় না হওয়ায় সরকার এরই মধ্যে বিরাট অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে।নতুন অর্থবছরে এর চেয়েও বড় অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে ধার করা হলে বেসরকারি খাত ঠিকমতো ঋণ পাবে না। এতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। আর বেশি ঋণ করার কারণে সরকারকে সুদ দিতে হবে, যা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ তৈরি করবে। বিদেশি ঋণের দায় শোধেও বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হবে। ডলারের উচ্চ মূল্যের কঠিন সময়ে এটিও সরকারের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের খরচ মেটাতে নিজস্ব উৎস তথা রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাট আর শুল্কহার বাড়িয়ে মানুষকে বেশি চাপ দিয়ে তা করা যাবে না। আয়কর থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় করতে হবে। প্রয়োজনে কর বিভাগকে সর্বশক্তি নিয়োগ দিয়ে আয়কর আদায়ে গতি আনতে হবে। এখনো বিপুলসংখ্যক সক্ষম করদাতা কর জালের বাইরে আছে।’
সরকারের সাধ আছে, কিন্তু সামর্থ্য কম। তাই এবারও ধারকর্জে ভর করেই দেওয়া হচ্ছে ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বড় বাজেট। জনতুষ্টির এই বাজেটে জনগণের করের অর্থে ৫ লাখ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার লক্ষ্য আছে সরকারের।
বাকি ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হবে। নির্বাচনের বছর হওয়ায় দাতা সংস্থা, ব্যাংক আর সঞ্চয়পত্র থেকে সুদে নেওয়া এই ধারের টাকার সিংহভাগই সামাজিক নিরাপত্তা ও সার, ডিজেল, বিদ্যুতের ভর্তুকিতে খরচ করতে চায় সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট-সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এনবিআরের সক্ষমতা কতটুকু, তা জানার পরও প্রতিবছরই তাদের ওপর বড় রাজস্ব আয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরে টেনেটুনেও ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয় না। বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আর অর্থের অভাবে উন্নয়ন প্রকল্প কাটছাঁট করে অর্থবছর শেষ করতে হয়। বাজেটে এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরেও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। অর্থবছর শেষে এই অঙ্ক ৫৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআই। এই বাস্তবতায় রীতি মেনে বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে এবারও।
আসছে বড় বাজেট অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় চাপ তৈরি করবে কি না জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থনীতির চাহিদার তুলনায় বাজেট বড় নয়। চ্যালেঞ্জ যেটা, সেটা হলো বৈশ্বিক পরিস্থিতি। এ ছাড়া কোনো চাপ নেই। আমরা পারব। সময়মতো বিদেশ থেকে অর্থও পাব। টাকার ঘাটতি হবে না। তবে সময় আর বাস্তবায়ন অদক্ষতা কিছুটা বাধা হবে।’
বাস্তবায়ন দক্ষতা না থাকলেও রাজনৈতিক কারণে বড় বাজেট দেওয়া হয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শুধু ধার নয়; অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে বাজেটের অর্থের সংস্থানে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ধারকর্জের বড় বাজেটের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় বাজেটের একটা রাজনৈতিক দিক আছে। মনে করা হয়, অঙ্কটা যত বড় করা যায়, মানুষকে তত খুশি করা যায়। পরে বাস্তবায়ন কী হলো, সেটা তো আর কেউ মনে রাখে না।’
বড় অঙ্কের ধারের বিষয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ধারের দুটি অংশ আছে। একটি অভ্যন্তরীণ, আরেকটি বিদেশি উৎস। বিদেশি ঋণ পেতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলেই কেবল ওই টাকা পাওয়া যাবে। আর বাজেট সহায়তার যে অংশ, সেটার জন্য নানান সংস্কার ও শর্ত পালন করতে হয়। মোটাদাগে পরিকল্পনা করলেই ঋণের সবটা পাওয়া যাবে, তা কিন্তু নয়। আর দেশের ভেতর থেকে যে ঋণ নেওয়া হবে, সেটার নানান ঝুঁকি রয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক থেকে নিলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। তাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সুতরাং সংকট সবদিকে। তাই ঘাটতি যত কম রাখা যায় এবং বিদেশি ঋণ যত বেশি কাজে লাগানো যায়, ততই ভালো।’
বাজেটের সঙ্গে জড়িত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নতুন বাজেটে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ ঘাটতি ধরা হয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সরকার যেসব খরচের পরিকল্পনা করেছে, সেগুলো মেটাতে হলে এর ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ধার করতে হবে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র থেকে। বাকি ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা নিতে হবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে। প্রায় ২ লাখ ২ হাজার কোটি ধারের টাকার বড় অংশই আবার খরচ হবে ভর্তুকি আর ধারের সুদ পরিশোধে। ভর্তুকিতে খরচ হবে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা আর সুদ পরিশোধে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে সার, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকিতে ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আসছে বাজেটে এ খাতে ভর্তুকি প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছিল, পরে তা ২৩ হাজার কোটিতে ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবার ভর্তুকি বাড়িয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করার চাহিদা দিয়েছে।
সরকার আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বড় অঙ্কের উন্নয়ন বাজেট প্রাক্কলন করেছে। এ টাকায় পদ্মা রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এর বাইরেও হাজারখানেক নতুন-পুরোনো প্রকল্প রয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে যেগুলোর কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এসব প্রকল্প চলমান রাখতে যে টাকা লাগবে, তা দেশি-বিদেশি দুই উৎস থেকেই সংস্থান করবে সরকার।
বিশ্লেষকেরা জানান, চলতি অর্থবছরে ঠিকমতো রাজস্ব আয় না হওয়ায় সরকার এরই মধ্যে বিরাট অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে।নতুন অর্থবছরে এর চেয়েও বড় অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে ধার করা হলে বেসরকারি খাত ঠিকমতো ঋণ পাবে না। এতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। আর বেশি ঋণ করার কারণে সরকারকে সুদ দিতে হবে, যা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ তৈরি করবে। বিদেশি ঋণের দায় শোধেও বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হবে। ডলারের উচ্চ মূল্যের কঠিন সময়ে এটিও সরকারের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের খরচ মেটাতে নিজস্ব উৎস তথা রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাট আর শুল্কহার বাড়িয়ে মানুষকে বেশি চাপ দিয়ে তা করা যাবে না। আয়কর থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় করতে হবে। প্রয়োজনে কর বিভাগকে সর্বশক্তি নিয়োগ দিয়ে আয়কর আদায়ে গতি আনতে হবে। এখনো বিপুলসংখ্যক সক্ষম করদাতা কর জালের বাইরে আছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে