ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩০০ জনের মতো মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অন্য রোগীদের মধ্য আতঙ্ক বেড়েছে। রোগীদের বেশিরভাগ ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে এসেছেন।
বর্তমানে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন ইউনিটে ১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় আতঙ্কে অন্য রোগীরা। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড গঠনের কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সেবা নেওয়া ৩০০ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের স্থানীয় পাঁচজন রয়েছেন। অন্যরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর এক নারীসহ ১১ জন ডেঙ্গু রোগী মমেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
তবে ১০ দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও দুজন নারী রয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের অবস্থা ভালো আছে। এ সময়ে বৃষ্টির কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের রাখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরেও থাকছেন না রোগীরা।
গতকাল দুপুরে মমেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নাহিদুল ইসলামের (২১) সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় থেকে পড়াশোনা করি। সম্প্রতি আমার জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করি। সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুর্গাপুরে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিন দিন আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হই। তবে এখন অবস্থার অবনতি বা উন্নতি কিছুই বুঝতে পারছি না।
একই ওয়ার্ডে ভর্তি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি বলেন, আমি ঢাকার উত্তরায় থেকে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করি। সম্প্রতি জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করলে বাড়িতে ফিরে আসি। গাজীপুরে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত রোববার এখানে ভর্তি হই। এখানে ভালো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি।
আমরা চাই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হোক।’ মমেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন কায়সার হাসান খান ইমরান বলেন, ১০ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যাঁরা ভর্তি হয়েছেন সবাই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কয়েকদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ছয়টি ইউনিটে অন্য সাধারণ রোগীদের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। তবে রোগী আরও বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক কুমার মজুমদার বলেন, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু সংক্রমণের খুব একটা আতঙ্ক না থাকলেও সিটি করপোরেশন কর্মপরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে। আমরা প্রতিদিন ৩৩টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সবাই সতর্ক থাকলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩০০ জনের মতো মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অন্য রোগীদের মধ্য আতঙ্ক বেড়েছে। রোগীদের বেশিরভাগ ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে এসেছেন।
বর্তমানে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন ইউনিটে ১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় আতঙ্কে অন্য রোগীরা। তবে রোগীর সংখ্যা বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড গঠনের কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সেবা নেওয়া ৩০০ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের স্থানীয় পাঁচজন রয়েছেন। অন্যরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর এক নারীসহ ১১ জন ডেঙ্গু রোগী মমেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
তবে ১০ দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও দুজন নারী রয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের অবস্থা ভালো আছে। এ সময়ে বৃষ্টির কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের রাখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরেও থাকছেন না রোগীরা।
গতকাল দুপুরে মমেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নাহিদুল ইসলামের (২১) সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় থেকে পড়াশোনা করি। সম্প্রতি আমার জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করি। সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুর্গাপুরে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিন দিন আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হই। তবে এখন অবস্থার অবনতি বা উন্নতি কিছুই বুঝতে পারছি না।
একই ওয়ার্ডে ভর্তি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি বলেন, আমি ঢাকার উত্তরায় থেকে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করি। সম্প্রতি জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভব করলে বাড়িতে ফিরে আসি। গাজীপুরে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত রোববার এখানে ভর্তি হই। এখানে ভালো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি।
আমরা চাই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হোক।’ মমেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন কায়সার হাসান খান ইমরান বলেন, ১০ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যাঁরা ভর্তি হয়েছেন সবাই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কয়েকদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ছয়টি ইউনিটে অন্য সাধারণ রোগীদের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। তবে রোগী আরও বাড়লে আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক কুমার মজুমদার বলেন, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু সংক্রমণের খুব একটা আতঙ্ক না থাকলেও সিটি করপোরেশন কর্মপরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে। আমরা প্রতিদিন ৩৩টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সবাই সতর্ক থাকলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে