জকিগঞ্জে কমেছে টমেটো চাষ

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৩৩
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৫

জকিগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন কমছে টমেটো চাষ। চলতি শতাব্দীর শুরুতে আবাদি জমির প্রায় ৩৩ ভাগেই টমেটো চাষ হতো। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে বাজারজাত করতে না পারা, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং সংরক্ষণের অভাবে এ উৎপাদন বর্তমানে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসিত জানান, ২০০৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে চার হাজার আট শ টন এবং ২০০৫ সালে ১৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয়েছিল তিন হাজার সাত শ পঞ্চাশ টন টমেটো। তখন জকিগঞ্জে টমেটো বিক্রি হয়েছে পঞ্চাশ পয়সা কেজি পর্যন্ত। আর এখন ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

উপজেলায় এ বছর মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। জকিগঞ্জে ইপক, সুরক্ষা ও জেসিকা জাতের টমেটোর চাষ বেশি হচ্ছে। প্রতি মৌসুমে এখানে বর্তমানে দুই থেকে আড়াই হাজার টন টমেটো উৎপাদিত হয়। মৌসুমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৫০০ পরিবার টমেটো চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যার বাজার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। উপজেলার বারঠাকুরি ইউনিয়নের আমলশীদ এলাকায় সুরমা নদীর বুকে, সুলতানপুর, মানিকপুর, জকিগঞ্জ ও খলাছড়া ইউনিয়নে টমেটো আবাদ হয় বেশি।

মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল মতিন প্রথমবারের মতো ১৫ শতক জমিতে জেসিকা জাতের টমেটো চাষ করে বাম্পার ফলন পান দুই বছর আগে। তাঁকে অনুসরণ করে অনেকেই এ টমেটো চাষে লাভবান হয়েছেন।

পূর্ব মাইজকান্দি গ্রামের টমেটো চাষি মনু মিয়া বলেন-এবলা (এখন) ফলন কম অওনে দাম বেশি পাইয়ার আগে টমেটো বেশি অইত এর লাগি দাম কম পাইতাম। হুনছি ঠান্ডাগর (হিমাগার) অইলে টেমেটো পচে না। একান ঠান্ডা গর অইলে টেমেটো তইতাম পারতাম দাম বেশি পাইতাম, মাইনষে পলাইত (চাষ) বেশি।

কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, ভিটামিন এ ও সি যুক্ত টমেটো একটি পচনশীল সবজি। হিমাগার ছাড়া দীর্ঘদিন টমেটো সংরক্ষণ করা অসম্ভব। সুরমা-কুশিয়ারা বিধৌত জকিগঞ্জের দোআঁশ মাটি টমেটো চাষের খুবই উপযুক্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত