সৌগত বসু, ঢাকা
রেলপথের স্লিপারে নাট-বল্টু নেই। কোনো কোনো স্থানে নাট-বল্টু থাকলেও ক্লিপ নেই। ক্লিপের পরিবর্তে সুতা পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে বল্টুতে, যাতে নাট খুলে না পড়ে। আবার কিছু জায়গায় চুরি হয়ে গেছে ফিশপ্লেট, নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপারের পুরোনো কাঠ। সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত কিছুদূর পরপর এমন বেহাল চিত্র চোখে পড়ে।
শুধু সিলেট-আখাউড়া রেলপথ নয়, এ ধরনের সমস্যা সারা দেশে আছে। বছরের অন্যান্য সময় কোনো না কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে চালানো গেলেও এপ্রিল থেকে জুনে সেটি আর কাজে আসে না। এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহে রেলপথ বেঁকে যায়, ঘটে দুর্ঘটনা।
গত শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনে রেলের পাত বেঁকে গিয়ে একটুর জন্য বড় অঘটন থেকে রক্ষা পায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। পরে দুই ঘণ্টা ধরে পানি ঢেলে বেঁকে যাওয়া পাত স্বাভাবিক করা হয়। যেদিন এ ঘটনা ঘটে, সেদিন ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে চলতি বছরের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর স্টেশনের কাছে প্রায় ১৫ ফুট পাত বেঁকে যায়। যদিও তখন এত গরম ছিল না। এ ছাড়া গত বছর এই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে পরপর দুই দিন পাত বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা অবশ্য এ জন্য পুরোনো পাতকে দায় দিচ্ছেন। আর গরমের সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকাভিত্তিক নির্দেশনা। তাতে করেও লাইনের দুর্বলতা ঢাকা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের পাত বেঁকে যাওয়ার ক্ষেত্রে মান বা তদারকির কোনো বিষয় নেই। রেলের নতুন ও পুরোনো লাইনের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকে। নতুন-পুরোনো লাইনের কথা মাথায় রেখেই সেফটি ইস্যু বিবেচনা করা হয়। গতি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। রেলপথ নতুন হলে ঝুঁকি কম থাকে। আর পুরোনো হলে গতি যা থাকে, তার অর্ধেক করে দেওয়া হয়।
সারা দেশে এখন রেলপথ আছে ৩ হাজার ৯৩ কিলোমিটার; আর রেললাইন আছে ৪ হাজার ৪৩৮ কিলোমিটার। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে নতুন করে ৮৪৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। সে হিসাবে বাকি পথ পুরোনো। পুরোনোর বড় অংশ ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা।
বর্তমানে দেশের রেলপথ দুই অঞ্চলে বিভক্ত—পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল। দুই অঞ্চল মিলিয়ে ১ হাজার কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে। কিছু কিছু রেলপথ আছে, যা ৩০ বছরেও সংস্কার হয়নি। বেশির ভাগ লাইনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে; আবার কোনোটি শেষ হওয়ার পথে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, ১৯৭৩ সালে রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। একটি রেললাইনের আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ থেকে ২৫ বছর। কিন্তু এই স্লিপার ও রেললাইনের বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি করে জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ লাইনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। লাইনে পর্যাপ্ত পাথর না থাকা, স্লিপারের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া, ফিশপ্লেট ও নাট-বল্টু না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের রেললাইনগুলো।
পূর্বাঞ্চলের যত সমস্যা
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথ, যা ১ হাজার ৩৩৩ কিলোমিটারের। এই অঞ্চলে রেললাইন আছে ২ হাজার ১৫১ কিলোমিটার।
রেলের ২০২৩ সালের সমীক্ষা মতে, পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলায় লাইনের সমস্যা বেশি। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ঢাকায় রেলপথে এসব সমস্যা রয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত রেলপথের বেশ কিছু স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ জোনেও রেলপথের অবস্থা খারাপ। এই জোনে ময়মনসিংহ থেকে শ্রীপুর, বিদ্যাগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, আঠারোবাড়ি, জারিয়া জাঞ্জাইল এবং ভৈরব রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ২০২ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেলপথের কোথাও কোথাও পচন ধরেছে কাঠের স্লিপারে। কোনো কোনো স্থানে আবার অস্তিত্বই নেই নাট-বল্টু ও হুকের। গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতুগুলোও বেহাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় তদারকি বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেনুয়াল করা হয়েছে; বাকিটা পুরাতন।
কী অবস্থা পশ্চিমাঞ্চলে
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে জেলা বিবেচনায় রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ২৩ জেলায় সমস্যা বেশি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা-চিলাহাটি-পঞ্চগড় ও রাজবাড়ী-ঢাকা রুটের রেলপথে কংক্রিট স্লিপার আছে। আর ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে আছে স্টিলের স্লিপার। বাকি পথে আছে প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো কাঠের স্লিপার। কাঠের স্লিপারের কারণে দুর্বল ট্র্যাকে ট্রেনে গতি আনা যাচ্ছে না। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে এসব রেলপথই বেশি বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে রেলপথ যাতে বেঁকে না যায়, সে জন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে নীলফামারীতে। সেখানে রেলপথ বেঁকে যাওয়া রোধে বালতি, চটের বস্তা, কচুরিপানা সংরক্ষণে রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ রেলের আয়ুষ্কাল শেষ। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলপথে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া প্রতিনিধি]
রেলপথের স্লিপারে নাট-বল্টু নেই। কোনো কোনো স্থানে নাট-বল্টু থাকলেও ক্লিপ নেই। ক্লিপের পরিবর্তে সুতা পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে বল্টুতে, যাতে নাট খুলে না পড়ে। আবার কিছু জায়গায় চুরি হয়ে গেছে ফিশপ্লেট, নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপারের পুরোনো কাঠ। সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত কিছুদূর পরপর এমন বেহাল চিত্র চোখে পড়ে।
শুধু সিলেট-আখাউড়া রেলপথ নয়, এ ধরনের সমস্যা সারা দেশে আছে। বছরের অন্যান্য সময় কোনো না কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে চালানো গেলেও এপ্রিল থেকে জুনে সেটি আর কাজে আসে না। এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহে রেলপথ বেঁকে যায়, ঘটে দুর্ঘটনা।
গত শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীতে বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনে রেলের পাত বেঁকে গিয়ে একটুর জন্য বড় অঘটন থেকে রক্ষা পায় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। পরে দুই ঘণ্টা ধরে পানি ঢেলে বেঁকে যাওয়া পাত স্বাভাবিক করা হয়। যেদিন এ ঘটনা ঘটে, সেদিন ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে চলতি বছরের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর স্টেশনের কাছে প্রায় ১৫ ফুট পাত বেঁকে যায়। যদিও তখন এত গরম ছিল না। এ ছাড়া গত বছর এই সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে পরপর দুই দিন পাত বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা অবশ্য এ জন্য পুরোনো পাতকে দায় দিচ্ছেন। আর গরমের সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকাভিত্তিক নির্দেশনা। তাতে করেও লাইনের দুর্বলতা ঢাকা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের পাত বেঁকে যাওয়ার ক্ষেত্রে মান বা তদারকির কোনো বিষয় নেই। রেলের নতুন ও পুরোনো লাইনের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকে। নতুন-পুরোনো লাইনের কথা মাথায় রেখেই সেফটি ইস্যু বিবেচনা করা হয়। গতি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। রেলপথ নতুন হলে ঝুঁকি কম থাকে। আর পুরোনো হলে গতি যা থাকে, তার অর্ধেক করে দেওয়া হয়।
সারা দেশে এখন রেলপথ আছে ৩ হাজার ৯৩ কিলোমিটার; আর রেললাইন আছে ৪ হাজার ৪৩৮ কিলোমিটার। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে নতুন করে ৮৪৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। সে হিসাবে বাকি পথ পুরোনো। পুরোনোর বড় অংশ ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা।
বর্তমানে দেশের রেলপথ দুই অঞ্চলে বিভক্ত—পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল। দুই অঞ্চল মিলিয়ে ১ হাজার কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে। কিছু কিছু রেলপথ আছে, যা ৩০ বছরেও সংস্কার হয়নি। বেশির ভাগ লাইনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে; আবার কোনোটি শেষ হওয়ার পথে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, ১৯৭৩ সালে রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। একটি রেললাইনের আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ থেকে ২৫ বছর। কিন্তু এই স্লিপার ও রেললাইনের বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি করে জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ লাইনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। লাইনে পর্যাপ্ত পাথর না থাকা, স্লিপারের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া, ফিশপ্লেট ও নাট-বল্টু না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের রেললাইনগুলো।
পূর্বাঞ্চলের যত সমস্যা
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথ, যা ১ হাজার ৩৩৩ কিলোমিটারের। এই অঞ্চলে রেললাইন আছে ২ হাজার ১৫১ কিলোমিটার।
রেলের ২০২৩ সালের সমীক্ষা মতে, পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলায় লাইনের সমস্যা বেশি। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ঢাকায় রেলপথে এসব সমস্যা রয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত রেলপথের বেশ কিছু স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ জোনেও রেলপথের অবস্থা খারাপ। এই জোনে ময়মনসিংহ থেকে শ্রীপুর, বিদ্যাগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, আঠারোবাড়ি, জারিয়া জাঞ্জাইল এবং ভৈরব রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ২০২ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেলপথের কোথাও কোথাও পচন ধরেছে কাঠের স্লিপারে। কোনো কোনো স্থানে আবার অস্তিত্বই নেই নাট-বল্টু ও হুকের। গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতুগুলোও বেহাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় তদারকি বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেনুয়াল করা হয়েছে; বাকিটা পুরাতন।
কী অবস্থা পশ্চিমাঞ্চলে
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে জেলা বিবেচনায় রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ২৩ জেলায় সমস্যা বেশি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা-চিলাহাটি-পঞ্চগড় ও রাজবাড়ী-ঢাকা রুটের রেলপথে কংক্রিট স্লিপার আছে। আর ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে আছে স্টিলের স্লিপার। বাকি পথে আছে প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো কাঠের স্লিপার। কাঠের স্লিপারের কারণে দুর্বল ট্র্যাকে ট্রেনে গতি আনা যাচ্ছে না। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে এসব রেলপথই বেশি বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে রেলপথ যাতে বেঁকে না যায়, সে জন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে নীলফামারীতে। সেখানে রেলপথ বেঁকে যাওয়া রোধে বালতি, চটের বস্তা, কচুরিপানা সংরক্ষণে রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ রেলের আয়ুষ্কাল শেষ। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলপথে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া প্রতিনিধি]
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে