সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ উপজেলায় ছয়টি সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় চলছে মাত্র একজন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে। এক অফিসে দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম করতে গিয়ে অন্য উপজেলা বা অফিসে অনুপস্থিত থাকছেন তিনি। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রয়-বিক্রি করতে পারছেন না সেবাপ্রার্থীরা। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।
জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর, ভূল্লী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গির লাহিড়ী এবং হরিপুরে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়। এর মধ্যে গত ২৬ জুন পিআরএলে যান ঠাকুরগাঁও সদরের সাবরেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ, ২ মার্চ পিআরএলে যান পীরগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার রবিউল আলম। ২০২২ সালের ৭ জুন বদলি হন বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার লাহিড়ী হাটের সাবরেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ বদলি হন সদর উপজেলার ভূল্লী থানার সাবরেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমান ও ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বদলি হন হরিপুর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার সোহেল রানা।
বদলি ও পিআরএলে যাওয়ার পর নতুন করে এসব কার্যালয়ে সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় রাণীশংকৈল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মো. শফি আকরামুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এই ছয়টি কার্যালয়ে। এর কোনোটিতে এক দিন আবার কোনোটিতে এক দিনের অর্ধেক সময় ভাগ করে অফিস করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার বলেন, ‘সপ্তাহে রোববার পুরো দিন ও সোমবার অর্ধেক সময় সাবরেজিস্ট্রার আসেন সদর অফিসের কার্যালয়ে। এ সময় প্রায় ৫০০ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রস্তুত থাকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দেড় শ থেকে ২০০টি দলিল রেজিস্ট্রি করেন তিনি। বাকি তিন শ দলিলই রেজিস্ট্রি হয় না। এতে আমরা দলিল লেখকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ দলিল না করলে মানুষ তো টাকা-পয়সা দেয় না। অন্যদিকে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’
জমি বিক্রি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য রেজিস্ট্রি করতে আসেন সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও সাবিরুল আলম। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের একটি জমি গত বুধবার দলিল করতে যাই। গিয়ে দেখি অফিস খোলা হলেও সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে নেই। পরে জানতে পারলাম তিনি মাত্র দেড় দিন অফিস করেন। পরে দলিল না করে চলে আসতে হলো।’
সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের সহকারী রবিউল কবির বলেন, সপ্তাহে দেড় দিন দলিল নিবন্ধন হওয়ায় চার দিনের বাড়তি চাপ সামলাতে হয়। ওই সময় গভীর রাত পর্যন্ত অফিস করতে হয়। এ সময়ে প্রায় ১২০টি দলিল যাচাই-বাছাই করতে হয়। প্রতিটি দলিল ৫ মিনিট করে দেখলেও প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। কারণ দলিলে কোনো ভুল হলে পরে এটি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। দ্রুত সাবরেজিস্ট্রার পেলে কাজগুলো গুছিয়ে করা সম্ভব হবে।
ছয়টি কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রাণীশংকৈল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মো. শফি আকরামুজ্জামান বলেন, ‘যেদিন যেখানে অফিস করি, ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলিলের কাজগুলো সম্পাদন করার চেষ্টা করি। তবে একসঙ্গে সব দলিল রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবুও সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি ছাড়া বাকি পাঁচটি অফিসে সাবরেজিস্ট্রার না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই নতুন সাবরেজিস্ট্রার পাওয়া যাবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ উপজেলায় ছয়টি সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় চলছে মাত্র একজন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে। এক অফিসে দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম করতে গিয়ে অন্য উপজেলা বা অফিসে অনুপস্থিত থাকছেন তিনি। ফলে জরুরি প্রয়োজনে জমি ক্রয়-বিক্রি করতে পারছেন না সেবাপ্রার্থীরা। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।
জেলা রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর, ভূল্লী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গির লাহিড়ী এবং হরিপুরে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়। এর মধ্যে গত ২৬ জুন পিআরএলে যান ঠাকুরগাঁও সদরের সাবরেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ, ২ মার্চ পিআরএলে যান পীরগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার রবিউল আলম। ২০২২ সালের ৭ জুন বদলি হন বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার লাহিড়ী হাটের সাবরেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০২১ সালের ৩ মার্চ বদলি হন সদর উপজেলার ভূল্লী থানার সাবরেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমান ও ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বদলি হন হরিপুর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার সোহেল রানা।
বদলি ও পিআরএলে যাওয়ার পর নতুন করে এসব কার্যালয়ে সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় রাণীশংকৈল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মো. শফি আকরামুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এই ছয়টি কার্যালয়ে। এর কোনোটিতে এক দিন আবার কোনোটিতে এক দিনের অর্ধেক সময় ভাগ করে অফিস করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার বলেন, ‘সপ্তাহে রোববার পুরো দিন ও সোমবার অর্ধেক সময় সাবরেজিস্ট্রার আসেন সদর অফিসের কার্যালয়ে। এ সময় প্রায় ৫০০ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য প্রস্তুত থাকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দেড় শ থেকে ২০০টি দলিল রেজিস্ট্রি করেন তিনি। বাকি তিন শ দলিলই রেজিস্ট্রি হয় না। এতে আমরা দলিল লেখকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ দলিল না করলে মানুষ তো টাকা-পয়সা দেয় না। অন্যদিকে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’
জমি বিক্রি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য রেজিস্ট্রি করতে আসেন সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও সাবিরুল আলম। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের একটি জমি গত বুধবার দলিল করতে যাই। গিয়ে দেখি অফিস খোলা হলেও সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে নেই। পরে জানতে পারলাম তিনি মাত্র দেড় দিন অফিস করেন। পরে দলিল না করে চলে আসতে হলো।’
সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের সহকারী রবিউল কবির বলেন, সপ্তাহে দেড় দিন দলিল নিবন্ধন হওয়ায় চার দিনের বাড়তি চাপ সামলাতে হয়। ওই সময় গভীর রাত পর্যন্ত অফিস করতে হয়। এ সময়ে প্রায় ১২০টি দলিল যাচাই-বাছাই করতে হয়। প্রতিটি দলিল ৫ মিনিট করে দেখলেও প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। কারণ দলিলে কোনো ভুল হলে পরে এটি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। দ্রুত সাবরেজিস্ট্রার পেলে কাজগুলো গুছিয়ে করা সম্ভব হবে।
ছয়টি কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রাণীশংকৈল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মো. শফি আকরামুজ্জামান বলেন, ‘যেদিন যেখানে অফিস করি, ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলিলের কাজগুলো সম্পাদন করার চেষ্টা করি। তবে একসঙ্গে সব দলিল রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবুও সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি ছাড়া বাকি পাঁচটি অফিসে সাবরেজিস্ট্রার না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই নতুন সাবরেজিস্ট্রার পাওয়া যাবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪