আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট অংশের ভাঙা অংশ অবশেষে সংস্কার হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইট ও বালি দিয়ে সড়কের ছোট-বড় ১২টি গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে এখনো পিচ ঢালাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। সে কাজও দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের হোগলাডাঙা, পাঁচবাড়িয়া, পাঁচকাটিয়া ও হাজির হাট বাজার অংশের সড়ক ধসে সৃষ্টি হওয়া ছোটবড় গর্তগুলো আর নেই। কয়েক দিন আগে ঠিকাদর খোয়া ও বালি দিয়ে সেগুলো সংস্কার করেছেন। গত ১১ মাস ধরে সড়কটি ছিল পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদ।
পাঁচবাড়িয়া এলাকার বৃদ্ধ রুপচাঁদ মণ্ডল বলেন, ‘১৫ দিন হবে গর্তগুলো ঠিক করে দেছে। শুনিছি পিচ ঢালাই করে দেবে, কিন্তু এখনো দেয়নি।’
রুপচাঁদ মণ্ডল বলেন, ‘সড়কটি আগে এমন ছিল না। গত বছর পিচ দেওয়ার আগে পাশের পুকুরের পাড়ের মাটি কেটে বাস্তার দুপাশ বাঁধাই করেছে। এ জন্য পিচ দেওয়ার পরপরই রাস্তা ধসে পুকুরে মিশে গেছে। এবার দেখিছি, ট্রাকে করে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার দুপাশ ঠিক করেছে।’
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী ছিল মনিরামপুর-নওয়াপাড়া ১৭ কিলোমিটার সড়ক; যার অর্ধেক মনিরামপুরের অংশে। ১ বছর আগে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির মনিরামপুর অংশের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট ব্রিজের অপর পাশ পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ হয়। এরপর এক মাস না যেতেই সড়কটির হাজিরহাট বাজারের দুপাশে, পাঁচবাড়িয়া কলেজের সামনে ও পাঁচবাড়িয়া বাজারসহ কয়েক জায়গায় ভেঙে ১০-১২টি ছোটবড় গর্ত হয়। ফলে সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি শুরু হয় পথচারীদের।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘মাস না যেতেই দেবে গেল’, ‘৯ মাস ধরে সড়ক বেহাল’, ‘সড়ক সংস্কার হয়নি ১০ মাসেও’ শিরোনামে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর, ২৬ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের। এর আগে কাজ শেষের এক মাসের মাথায় সড়ক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ ভরাট করা হয়েছিল। সেই অংশগুলো পরে ভেঙে বড় হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
জানা গেছে, মনিরামপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক। নওয়াপাড়ায় থেকে এ সড়কে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা-বেনাপোলে পারাপার করা যায়।
বহু বছর সড়কটি অবহেলিত ছিল। পুরোনো পিচ ও খোয়া উঠে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিল সড়কটি। সর্বশেষ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্ব পান শাহারুল ইসলাম নামে যশোরের এক ঠিকাদার। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে গত মার্চে রাস্তার কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে মাস না ঘুরতেই সড়কের এ অংশে ৫-৬ স্থানে ধসে বড় বড় গর্ত হয়ে যায়।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে বলেন, ‘ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছেমতো কাজ করেছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করেছে। আমরা বাঁধা দিয়েছি। প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বারবার জানিয়েছি। তাঁরা অভিযোগ শোনেনি। কাজ চলা অবস্থায় কেউ সড়কটি দেখতেও আসেননি।’
মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট সেতু পর্যন্ত সংস্কারকাজের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়ামত হোসেন।
নিয়ামত হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার সড়টির খারাপ অংশ ঠিক করে দিচ্ছেন। দ্রুত ভাঙা অংশে পিচ দেওয়া হবে। ঠিকাদারের জামানতের মেয়াদ এখনো আছে। পিচ ঢালাই না দেওয়া পর্যন্ত আমরা তাঁর জামানত ফেরত দেব না।’
যশোরের মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট অংশের ভাঙা অংশ অবশেষে সংস্কার হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইট ও বালি দিয়ে সড়কের ছোট-বড় ১২টি গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে এখনো পিচ ঢালাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। সে কাজও দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের হোগলাডাঙা, পাঁচবাড়িয়া, পাঁচকাটিয়া ও হাজির হাট বাজার অংশের সড়ক ধসে সৃষ্টি হওয়া ছোটবড় গর্তগুলো আর নেই। কয়েক দিন আগে ঠিকাদর খোয়া ও বালি দিয়ে সেগুলো সংস্কার করেছেন। গত ১১ মাস ধরে সড়কটি ছিল পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদ।
পাঁচবাড়িয়া এলাকার বৃদ্ধ রুপচাঁদ মণ্ডল বলেন, ‘১৫ দিন হবে গর্তগুলো ঠিক করে দেছে। শুনিছি পিচ ঢালাই করে দেবে, কিন্তু এখনো দেয়নি।’
রুপচাঁদ মণ্ডল বলেন, ‘সড়কটি আগে এমন ছিল না। গত বছর পিচ দেওয়ার আগে পাশের পুকুরের পাড়ের মাটি কেটে বাস্তার দুপাশ বাঁধাই করেছে। এ জন্য পিচ দেওয়ার পরপরই রাস্তা ধসে পুকুরে মিশে গেছে। এবার দেখিছি, ট্রাকে করে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার দুপাশ ঠিক করেছে।’
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী ছিল মনিরামপুর-নওয়াপাড়া ১৭ কিলোমিটার সড়ক; যার অর্ধেক মনিরামপুরের অংশে। ১ বছর আগে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির মনিরামপুর অংশের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট ব্রিজের অপর পাশ পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ হয়। এরপর এক মাস না যেতেই সড়কটির হাজিরহাট বাজারের দুপাশে, পাঁচবাড়িয়া কলেজের সামনে ও পাঁচবাড়িয়া বাজারসহ কয়েক জায়গায় ভেঙে ১০-১২টি ছোটবড় গর্ত হয়। ফলে সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি শুরু হয় পথচারীদের।
এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘মাস না যেতেই দেবে গেল’, ‘৯ মাস ধরে সড়ক বেহাল’, ‘সড়ক সংস্কার হয়নি ১০ মাসেও’ শিরোনামে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর, ২৬ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের। এর আগে কাজ শেষের এক মাসের মাথায় সড়ক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ ভরাট করা হয়েছিল। সেই অংশগুলো পরে ভেঙে বড় হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
জানা গেছে, মনিরামপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক। নওয়াপাড়ায় থেকে এ সড়কে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা-বেনাপোলে পারাপার করা যায়।
বহু বছর সড়কটি অবহেলিত ছিল। পুরোনো পিচ ও খোয়া উঠে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিল সড়কটি। সর্বশেষ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্ব পান শাহারুল ইসলাম নামে যশোরের এক ঠিকাদার। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে গত মার্চে রাস্তার কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে মাস না ঘুরতেই সড়কের এ অংশে ৫-৬ স্থানে ধসে বড় বড় গর্ত হয়ে যায়।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে বলেন, ‘ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছেমতো কাজ করেছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করেছে। আমরা বাঁধা দিয়েছি। প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বারবার জানিয়েছি। তাঁরা অভিযোগ শোনেনি। কাজ চলা অবস্থায় কেউ সড়কটি দেখতেও আসেননি।’
মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট সেতু পর্যন্ত সংস্কারকাজের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়ামত হোসেন।
নিয়ামত হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার সড়টির খারাপ অংশ ঠিক করে দিচ্ছেন। দ্রুত ভাঙা অংশে পিচ দেওয়া হবে। ঠিকাদারের জামানতের মেয়াদ এখনো আছে। পিচ ঢালাই না দেওয়া পর্যন্ত আমরা তাঁর জামানত ফেরত দেব না।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে