দুই বছর পর নবীনদের পদচারণে মুখর ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) দীর্ঘ দুই বছর পর নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হলেও করোনার কারণে এবার দুই বছর পর শুরু হলো নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

গতকাল রোববার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ, ইংরেজি, বাংলা, লোক প্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, আইন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ম্যানেজমেন্ট, আইসিটি, কেমিস্ট্রিসহ অন্যান্য বিভাগে পৃথকভাবে বিভাগীয় প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। এতে বিভাগের শিক্ষক ও নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এর আগে গত শনিবার সারা রাত বিভিন্ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষ সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকের কাছেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন স্বপ্নের মতো। নবীনেরা অনেকে প্রথমবারের মতো পরিবার ছেড়ে এত দূরে এসেছে। তাঁরা যেন মনে না করে পরিবার থেকে দূরে এসে রয়েছে, সে জন্যই এই আয়োজন।

এ ছাড়া নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সকাল সাড়ে নয়টায় স্বাগত মিছিল করে।

নবাগতদের রজনীগন্ধা, গোলাপ ফুল আর সিলেবাস উপহার দেওয়ার মাধ্যমে বরণ করে নেয় বিভিন্ন বিভাগ। এ সময় শিক্ষকেরা নবীনদের উদ্দেশ্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।

ক্যাম্পাসের প্রথম দিন সম্পর্কে অর্থনীতি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক বলেন, ‘আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে আনন্দিত। শিক্ষক এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক আন্তরিক। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দিনগুলো সুন্দর হবে।

বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা কিছুটা দেরি করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ করেছি। সামনেই দিনে নতুন কিছু শিখতে পারব বলে আশা রাখি।’

অর্থনীতি বিভাগের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন যোগদান করে নবীনদের কুবিতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন উন্নতমানের গবেষণা হয়। আমি আশা করি শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধা দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’