টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৯ বছর পরেও জরাজীর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন টাঙ্গাইলের ছয়আনি বাজারের ব্যবসায়ীরা। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি দোকানদার ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের। আর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জায়গায় একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮০ সালে পৌর এলাকার ছয়আনি বাজারে এই ভবন নির্মাণ করে পৌরসভা। দোতলা এই ভবনে ২৮৪ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০১৩ সালে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তবে নানা কারণে এটা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সেখানে ব্যবসা করছেন অনেক ব্যবসায়ী।
এসব ব্যবসায়ী বলছেন, ভবনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। রড বেরিয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তাঁদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বেশ কয়েকটি পিলারে ফাটল ধরেছে। অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। আবার ভবনের বিভিন্ন অংশে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। এরই মাঝে ব্যবসা করছেন ২৮৪ জন ব্যবসায়ী।
বাজারের ভেতরে দড়ি-রশি, সুতার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন এক ব্যবসায়ী। ঠিক তাঁর মাথার ওপরে ছাদের কিছু অংশের সিমেন্টের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পাশের দেয়ালটিও কিছুটা স্যাঁতসেঁতে। এর মধ্যেই বসে আছেন তারেক ভূঁইয়া নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, এই দোকান থেকেই তাঁর সংসার চলে, অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এখানেই ব্যবসা করছেন তিনি।
চাল-ডালের ব্যবসা করেন তুলসী সেন নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘এখন ভবনের অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ভয় নিয়ে দিন পার হচ্ছে। আমাদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করে এটা ভেঙে ফেলা প্রয়োজন।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এর মধ্যেই ব্যবসা করতে হচ্ছে। যাওয়ার তো জায়গা নাই। তাই বাধ্য হয়ে কষ্ট করে ব্যবসা করছি।’ কথা হয় আব্দুলাহ খান নামের এক দোকানমালিকের সঙ্গে।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে পড়ছে। ভয় নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে। কিন্তু অন্য কোথাও দোকান করার জায়গা নেই, তাই এখানেই পড়ে আছি।’
এ ছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সেলিম আল মামুনসহ অনেক দোকানমালিকই জানালেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ব্যবসা করছেন। তাঁদের দাবি, এখানকার ব্যবসায়ীদের অন্য কোথাও দোকান করার ব্যবস্থা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করুক পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ছয়আনি বাজার মার্কেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জটিলতায় ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দাবি, নতুন ভবন নির্মাণ করে যাঁরা এখন ব্যবসায়ী আছেন, তাঁদের আবার বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে পাঁচআনি-ছয়আনি বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহছান খান আছু বলেন, ভবনটির পিলার ও ছাদের বেশ কিছু অংশ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ভবনটি দ্রুত ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি।
পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক বলেন, ‘একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৯ বছর পরেও জরাজীর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন টাঙ্গাইলের ছয়আনি বাজারের ব্যবসায়ীরা। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি দোকানদার ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের। আর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জায়গায় একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮০ সালে পৌর এলাকার ছয়আনি বাজারে এই ভবন নির্মাণ করে পৌরসভা। দোতলা এই ভবনে ২৮৪ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০১৩ সালে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। তবে নানা কারণে এটা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সেখানে ব্যবসা করছেন অনেক ব্যবসায়ী।
এসব ব্যবসায়ী বলছেন, ভবনের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। রড বেরিয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তাঁদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বেশ কয়েকটি পিলারে ফাটল ধরেছে। অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। আবার ভবনের বিভিন্ন অংশে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে। এরই মাঝে ব্যবসা করছেন ২৮৪ জন ব্যবসায়ী।
বাজারের ভেতরে দড়ি-রশি, সুতার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন এক ব্যবসায়ী। ঠিক তাঁর মাথার ওপরে ছাদের কিছু অংশের সিমেন্টের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পাশের দেয়ালটিও কিছুটা স্যাঁতসেঁতে। এর মধ্যেই বসে আছেন তারেক ভূঁইয়া নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, এই দোকান থেকেই তাঁর সংসার চলে, অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে এখানেই ব্যবসা করছেন তিনি।
চাল-ডালের ব্যবসা করেন তুলসী সেন নামের অপর এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘এখন ভবনের অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ভয় নিয়ে দিন পার হচ্ছে। আমাদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করে এটা ভেঙে ফেলা প্রয়োজন।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এর মধ্যেই ব্যবসা করতে হচ্ছে। যাওয়ার তো জায়গা নাই। তাই বাধ্য হয়ে কষ্ট করে ব্যবসা করছি।’ কথা হয় আব্দুলাহ খান নামের এক দোকানমালিকের সঙ্গে।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে পড়ছে। ভয় নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে। কিন্তু অন্য কোথাও দোকান করার জায়গা নেই, তাই এখানেই পড়ে আছি।’
এ ছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সেলিম আল মামুনসহ অনেক দোকানমালিকই জানালেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ব্যবসা করছেন। তাঁদের দাবি, এখানকার ব্যবসায়ীদের অন্য কোথাও দোকান করার ব্যবস্থা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করুক পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ছয়আনি বাজার মার্কেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জটিলতায় ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দাবি, নতুন ভবন নির্মাণ করে যাঁরা এখন ব্যবসায়ী আছেন, তাঁদের আবার বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে পাঁচআনি-ছয়আনি বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহছান খান আছু বলেন, ভবনটির পিলার ও ছাদের বেশ কিছু অংশ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ভবনটি দ্রুত ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি।
পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক বলেন, ‘একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে