মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট
ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা হালুয়াঘাট। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষের ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে শয্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। এতে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, জনবল বৃদ্ধি করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা হোক।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্তের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার সৃষ্ট পদ রয়েছে ১৭৯টি। অথচ কর্মরত রয়েছেন ১৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ডেপুটেশনে রয়েছেন ১৩ জন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষকে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন থাকার পরও জনবলের অভাবে তা চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের।
আরও জানা গেছে, ২০০১ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। চার বছর পর ২০০৫ সালে সেটির কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে সচল হয়নি সেটি। এখনো চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এদিকে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় ও সংযোগ সমস্যায় বন্ধ রয়েছে ইসিজি ও আলট্রাসনোগ্রামও।
এ ব্যাপারে স্টোরকিপার মাহবুব আলম জানান, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন সংযোগ ত্রুটিতে দীর্ঘদিন ধরে অচল রয়েছে। ইসিজি মেশিন তিনটার মধ্যে একটি অন্তর্বিভাগে, একটি জরুরি বিভাগে, আরেকটি স্টোরে মজুত রয়েছে। ফটোথেরাপি মেশিন একটি, অটোক্লেভ হাই প্রেশার মেশিন তিনটির মধ্যে সচল দুটি। আরেকটি স্থাপন করা হয়নি। প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন সচল থাকলেও জনবলের অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে বন্ধ রয়েছে জরুরি প্রসূতি সেবা ও সিজার অপারেশন কার্যক্রম। জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগের ইনচার্জ ও জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জেসমিন মান্দা বলেন, ‘গর্ভবতীদের নরমাল ডেলিভারিতে কোনো সমস্যা হয় না। যখন কোনো গর্ভবতীর সিজারের প্রয়োজন হয়, তখন অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সিজার করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ থাকার পরও জনবল না থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি নিয়ে অন্য হাসপাতালে সিজার করাতে হচ্ছে। দ্রুত জনবল নিয়োগ না দিলে দীর্ঘদিনের এ সব যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজন অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটির সময়েও কিছু চিকিৎসক বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। এ সময় তাঁরা জনবল বৃদ্ধি, এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য মেশিন দ্রুত চালু করে রোগীদের সেবাদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দা তানজিনা আফরিনা ইভা বলেন, ‘হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। এ জন্য কোনো চিকিৎসক থাকতে চান না। আসলেও চলে যেতে চান। এ জন্য আমরা চিকিৎসক সংকটে আছি। কর্মরত যে কয়েকজন চিকিৎসক আছি, আমরা চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।’
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনির আহমদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন এক্স-রেসহ আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা হালুয়াঘাট। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষের ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে শয্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। এতে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, জনবল বৃদ্ধি করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা হোক।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্তের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার সৃষ্ট পদ রয়েছে ১৭৯টি। অথচ কর্মরত রয়েছেন ১৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ডেপুটেশনে রয়েছেন ১৩ জন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষকে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন থাকার পরও জনবলের অভাবে তা চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের।
আরও জানা গেছে, ২০০১ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। চার বছর পর ২০০৫ সালে সেটির কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে সচল হয়নি সেটি। এখনো চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এদিকে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় ও সংযোগ সমস্যায় বন্ধ রয়েছে ইসিজি ও আলট্রাসনোগ্রামও।
এ ব্যাপারে স্টোরকিপার মাহবুব আলম জানান, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন সংযোগ ত্রুটিতে দীর্ঘদিন ধরে অচল রয়েছে। ইসিজি মেশিন তিনটার মধ্যে একটি অন্তর্বিভাগে, একটি জরুরি বিভাগে, আরেকটি স্টোরে মজুত রয়েছে। ফটোথেরাপি মেশিন একটি, অটোক্লেভ হাই প্রেশার মেশিন তিনটির মধ্যে সচল দুটি। আরেকটি স্থাপন করা হয়নি। প্রয়োজনীয় কিছু মেশিন সচল থাকলেও জনবলের অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে বন্ধ রয়েছে জরুরি প্রসূতি সেবা ও সিজার অপারেশন কার্যক্রম। জরুরি প্রসূতি সেবা বিভাগের ইনচার্জ ও জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জেসমিন মান্দা বলেন, ‘গর্ভবতীদের নরমাল ডেলিভারিতে কোনো সমস্যা হয় না। যখন কোনো গর্ভবতীর সিজারের প্রয়োজন হয়, তখন অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সিজার করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ থাকার পরও জনবল না থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি নিয়ে অন্য হাসপাতালে সিজার করাতে হচ্ছে। দ্রুত জনবল নিয়োগ না দিলে দীর্ঘদিনের এ সব যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজন অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটির সময়েও কিছু চিকিৎসক বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত থাকেন। এ সময় তাঁরা জনবল বৃদ্ধি, এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য মেশিন দ্রুত চালু করে রোগীদের সেবাদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দা তানজিনা আফরিনা ইভা বলেন, ‘হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা নেই। এ জন্য কোনো চিকিৎসক থাকতে চান না। আসলেও চলে যেতে চান। এ জন্য আমরা চিকিৎসক সংকটে আছি। কর্মরত যে কয়েকজন চিকিৎসক আছি, আমরা চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।’
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনির আহমদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ ৪৯টি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন এক্স-রেসহ আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে