ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কদিন ধরেই দেশে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। এই আলোচনায় উঠে আসছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক–বর্তমান বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারীর নাম। ইতিমধ্যে পিএসসির অধীন বিসিএসের ক্যাডার এবং নন–ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক–বর্তমান ১৭ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসব আলোচনার মধ্যেই পিএসসির কর্মকর্তা দাবিতে ফেসবুকে এক ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি লাল রঙের পাঞ্জাবি পরে আছেন, তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। ওই নারীর গলা, হাত ও কপাল ভারী স্বর্ণালংকারে আবৃত। নারীটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, তিনি লাল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত কথিত পিএসসি কর্মকর্তার স্ত্রী। ভাইরাল এ ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকে কথিত পিএসসি কর্মকর্তা ও ভারী স্বর্ণালংকার পরিহিত তাঁর সঙ্গে থাকা নারীর আরও বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। চলতি জুলাইয়ের শুরুতে তাঁদের এসব ছবি ভাইরাল হয়। এর মধ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে দুজনের ছবি ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার কারণ ছিল, কনের চেয়ে অনেক বেশি গয়না পরে ছিলেন নারীটি। এ নিয়ে নেটিজেনরা ট্রল করেন।
গত ৭ জুলাই ‘বিলাস–১৯৯৮’ নামের একটি ফেসবুক পেজে তাঁদের এসব ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, ‘এই আপু বোধ হয় সব মামাতো বোনের বিয়েতেই এভাবে যায়। কিন্তু সে কানের দুল না পরে কানের প্রতি ইনজাস্টিস করে ফেলেছে।’
এসব পোস্টের মন্তব্য সূত্রে ছবির নারী ও কথিত পিএসসি কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক পাওয়া যায়। ছবির নারীটির নাম নাহিদা পিংকি। প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি পেশায় চিকিৎসক। ঢাকার মিরপুরে একটি ডেন্টাল কেয়ারে জ্যেষ্ঠ দন্ত্যচিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া রয়েছে জামালপুরের সদর উপজেলা।
কথিত পিএসসি কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর নাম বুলবুল আশরাফুল। তিনি জামালপুরের বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের মালিক এবং পরিচালক। হজরত শাহ জামাল (রহ.) জেনারেল হাসপাতাল নামে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া তথ্য থেকে তাঁর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বুলবুল আশরাফুলের ফেসবুক প্রোফাইলটি ঘুরে নাহিদা পিংকির সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। এসব ছবির ক্যাপশন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভাইরাল ছবির নারীটি তাঁর স্ত্রী।
বুলবুল আশরাফুল কি পিএসসি কর্মকর্তা?
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টগুলো থেকে বুলবুল আশরাফুল পিএসসিতে কোন পদে কর্মরত সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা রয়েছে। এ তালিকা খুঁজে বুলবুল আশরাফুল নামে কোনো কর্মকর্তার নাম পাওয়া যায় নেই।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বুলবুল আশরাফুলের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে তাঁকে ট্যাগ করে ‘রাশিদুল ইসলাম পল্লব’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। গতকাল শনিবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় দেওয়া পোস্টটিতে বুলবুল আশরাফুলকে পিএসসি কর্মকর্তা দাবিতে প্রচারিত ব্যাপারটি গুজব উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ফেসবুক একটা গুজবের জায়গাও বটে। মানুষের একটা অংশ কিছু তথ্য যাচাই–বাছাই না করেই ভাইরাল করে সম্মানিত লোকের সম্মানহানি ঘটান।’
পোস্টটিতে বুলবুল আশরাফুল সম্পর্কে বলা হয়, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের দাতা সদস্য এবং বিভাগটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বুলবুল আশরাফুল বুলবুল জেনারেল হাসপাতাল, শাহ জামাল হাসপাতাল, আলফা অটোব্রিকস–সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর স্ত্রী ডা. নাহিদা পিংকি জামালপুর শহরের আনন্দ বেকারির মালিকের মেয়ে, তিনি পৈতৃকসূত্রেই কোটি কোটি টাকার মালিক। তাঁদের নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্লিজ কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাই না করে প্রচার করবেন না।
বুলবুল আশরাফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি পিএসসিতে কর্মরত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি কোনো সরকারি চাকরি করি না। আমি বুলবুল আশরাফুল নামে একটি হাসপাতালের মালিক। আমার ফেসবুক প্রোফাইলেই সব বিস্তারিত আছে। জামালপুর পৌরসভার মেয়র আমার খালাতো ভাই। তাঁর বোনের বিয়েতে গেছিলাম। বিয়েতে গেলে বউ স্বাভাবিকভাবেই একটু গয়নাগাটি পরে। আমার বউ গয়না পরছে, তাতে কী আসে যায়! এটার ছবিটা কে বা কারা ভাইরাল করেছে।’
কদিন ধরেই দেশে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। এই আলোচনায় উঠে আসছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক–বর্তমান বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারীর নাম। ইতিমধ্যে পিএসসির অধীন বিসিএসের ক্যাডার এবং নন–ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক–বর্তমান ১৭ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসব আলোচনার মধ্যেই পিএসসির কর্মকর্তা দাবিতে ফেসবুকে এক ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি লাল রঙের পাঞ্জাবি পরে আছেন, তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী। ওই নারীর গলা, হাত ও কপাল ভারী স্বর্ণালংকারে আবৃত। নারীটি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, তিনি লাল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত কথিত পিএসসি কর্মকর্তার স্ত্রী। ভাইরাল এ ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকে কথিত পিএসসি কর্মকর্তা ও ভারী স্বর্ণালংকার পরিহিত তাঁর সঙ্গে থাকা নারীর আরও বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। চলতি জুলাইয়ের শুরুতে তাঁদের এসব ছবি ভাইরাল হয়। এর মধ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে দুজনের ছবি ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার কারণ ছিল, কনের চেয়ে অনেক বেশি গয়না পরে ছিলেন নারীটি। এ নিয়ে নেটিজেনরা ট্রল করেন।
গত ৭ জুলাই ‘বিলাস–১৯৯৮’ নামের একটি ফেসবুক পেজে তাঁদের এসব ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, ‘এই আপু বোধ হয় সব মামাতো বোনের বিয়েতেই এভাবে যায়। কিন্তু সে কানের দুল না পরে কানের প্রতি ইনজাস্টিস করে ফেলেছে।’
এসব পোস্টের মন্তব্য সূত্রে ছবির নারী ও কথিত পিএসসি কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক পাওয়া যায়। ছবির নারীটির নাম নাহিদা পিংকি। প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি পেশায় চিকিৎসক। ঢাকার মিরপুরে একটি ডেন্টাল কেয়ারে জ্যেষ্ঠ দন্ত্যচিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া রয়েছে জামালপুরের সদর উপজেলা।
কথিত পিএসসি কর্মকর্তার ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর নাম বুলবুল আশরাফুল। তিনি জামালপুরের বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের মালিক এবং পরিচালক। হজরত শাহ জামাল (রহ.) জেনারেল হাসপাতাল নামে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া তথ্য থেকে তাঁর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বুলবুল আশরাফুলের ফেসবুক প্রোফাইলটি ঘুরে নাহিদা পিংকির সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। এসব ছবির ক্যাপশন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভাইরাল ছবির নারীটি তাঁর স্ত্রী।
বুলবুল আশরাফুল কি পিএসসি কর্মকর্তা?
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টগুলো থেকে বুলবুল আশরাফুল পিএসসিতে কোন পদে কর্মরত সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা রয়েছে। এ তালিকা খুঁজে বুলবুল আশরাফুল নামে কোনো কর্মকর্তার নাম পাওয়া যায় নেই।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বুলবুল আশরাফুলের ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে তাঁকে ট্যাগ করে ‘রাশিদুল ইসলাম পল্লব’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। গতকাল শনিবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় দেওয়া পোস্টটিতে বুলবুল আশরাফুলকে পিএসসি কর্মকর্তা দাবিতে প্রচারিত ব্যাপারটি গুজব উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ফেসবুক একটা গুজবের জায়গাও বটে। মানুষের একটা অংশ কিছু তথ্য যাচাই–বাছাই না করেই ভাইরাল করে সম্মানিত লোকের সম্মানহানি ঘটান।’
পোস্টটিতে বুলবুল আশরাফুল সম্পর্কে বলা হয়, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের দাতা সদস্য এবং বিভাগটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বুলবুল আশরাফুল বুলবুল জেনারেল হাসপাতাল, শাহ জামাল হাসপাতাল, আলফা অটোব্রিকস–সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর স্ত্রী ডা. নাহিদা পিংকি জামালপুর শহরের আনন্দ বেকারির মালিকের মেয়ে, তিনি পৈতৃকসূত্রেই কোটি কোটি টাকার মালিক। তাঁদের নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্লিজ কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাই না করে প্রচার করবেন না।
বুলবুল আশরাফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি পিএসসিতে কর্মরত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি কোনো সরকারি চাকরি করি না। আমি বুলবুল আশরাফুল নামে একটি হাসপাতালের মালিক। আমার ফেসবুক প্রোফাইলেই সব বিস্তারিত আছে। জামালপুর পৌরসভার মেয়র আমার খালাতো ভাই। তাঁর বোনের বিয়েতে গেছিলাম। বিয়েতে গেলে বউ স্বাভাবিকভাবেই একটু গয়নাগাটি পরে। আমার বউ গয়না পরছে, তাতে কী আসে যায়! এটার ছবিটা কে বা কারা ভাইরাল করেছে।’
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
২ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
৬ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৩ দিন আগে