ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ঠিক ১০০ বছর পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বসেছে অলিম্পিকের আসর। গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) ছিল আসরটির উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এ আসর ঘিরে দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, অবাধ যৌনতা ঠেকাতে প্যারিস অলিম্পিকে বিশেষ বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, কোভিডের কারণে ২০২০ সালের পরিবর্তে জাপানের রাজধানী টোকিওতে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসেও এমন বিছানার ব্যবস্থা ছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অ্যাথলেটদের কোভিডের হাত থেকে সুরক্ষায় কার্ডবোর্ড দিয়ে বিশেষ বিছানা তৈরি করেছিল টোকিও অলিম্পিক গেমস কর্তৃপক্ষ। যাতে এক বিছানায় দুজন উঠলেই ভেঙে পড়ে।
এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে কালবেলা, জাগোনিউজ ২৪, আরটিভি, যায় যায় দিন–সহ বেশি কিছু সংবাদমাধ্যম।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাপানে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে অবাধ যৌনতা প্রতিরোধে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ বা যৌনতা ঠেকাতে বিশেষ কোনো বিছানা ছিল না। দাবিটি ওই সময়ও ভাইরাল হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ওই সময় ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি ‘তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করে। দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের ফ্যাক্টচেক বিভাগে ওই সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টোকিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত খাটগুলো ৪৪১ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম ছিল। ফলে এক বিছানায় স্বাভাবিক ওজনের দুজন মার্কিন নাগরিক অনায়াসে থাকতে পারবেন। বিছানাগুলো চাপ নিতে পারে কিনা লাফালাফি করে সেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। ফলে একজনের বেশি বিছানায় উঠলে খাট ভেঙে পড়বে, এটি সত্য নয়।
প্যারিস অলিম্পিকেও একই ধরনের খাট আনা হয়েছে, এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এএফপির বরাত দিয়ে গত ১৮ জুলাই এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে ব্যবহৃত খাটগুলো ‘অ্যান্টি সেক্স’ বা যৌনতা প্রতিরোধী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক পোস্ট। পরে এটি অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজকেরা এ দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের জন্য তৈরি খাটগুলো কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি। কার্ডবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশের বিষয় বিবেচনায় রেখে, প্রতিযোগীদের যৌনতা থেকে বিরত রাখার জন্য নয়। অলিম্পিকের পর খাটগুলোর কাঠামো পুনর্ব্যবহার করা হবে এবং বিছানার ম্যাট্রেস এবং বালিশগুলো স্কুল বা বিভিন্ন সংগঠনকে দান করা হবে।
প্যারিস অলিম্পিকের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, টোকিও অলিম্পিকের সময়ও অনেক সংবাদমাধ্যম ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ নিয়ে অনেক মজা করেছে। তবে প্যারিস অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক ভিলেজের জন্য বিছানা তৈরিতে বিবেচনায় রাখা হয়েছে পরিবেশগত প্রভাব এবং পুনর্ব্যবহার নিশ্চিতের বিষয়টি। বিছানাগুলোর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে পুনর্ব্যবহৃত কার্ডবোর্ড থেকে। গত বছরের জুলাইয়ে খাটগুলোর প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় খাটগুলোর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারওয়েভের প্রতিষ্ঠাতা মোতোকুনি তাকাওকা খাটগুলোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দেখান যে, এগুলো দুজন মানুষের ভারে ভেঙে পড়ার মতো নয়।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, টোকিও অলিম্পিকের সময়ও একই দাবি ভাইরাল হয়েছিল এবং এ নিয়ে ওই সময় অ্যাথলেটরাও মজা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিজনেস সাময়িকী ফোর্বস গত ২৬ জুলাই একটি প্রতিবেদনে জানায়, প্যারিস অলিম্পিক ঘিরে টোকিও ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’–এর পুরোনো ভুয়া দাবি আবার সামনে এসেছে। ক্রীড়াবিদদের শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত রাখার জন্য খাটগুলো ডিজাইন করা হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়। প্যারিস অলিম্পিকের খাটগুলো এতটাই মজবুত যে, এগুলো ৪৪০ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, কালবেলা, জাগোনিউজ ২৪, আরটিভির শিরোনামে বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। আবার প্রতিবেদনের ভেতরে আয়ারল্যান্ডের জিমন্যাস্ট রাইস ম্যাকলেনাঘানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্যারিস অলিম্পিকে যৌনতা বিরোধী বিছানার খবর অসত্য। তবে শিরোনামে সেটি সরাসরি উল্লেখ না করা এবং প্রতিবেদনগুলোতে টোকিও অলিম্পিকের সময়ের ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে প্রতিবেদনগুলোকে ফ্যাক্টচেকের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
ঠিক ১০০ বছর পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বসেছে অলিম্পিকের আসর। গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) ছিল আসরটির উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এ আসর ঘিরে দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, অবাধ যৌনতা ঠেকাতে প্যারিস অলিম্পিকে বিশেষ বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, কোভিডের কারণে ২০২০ সালের পরিবর্তে জাপানের রাজধানী টোকিওতে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসেও এমন বিছানার ব্যবস্থা ছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অ্যাথলেটদের কোভিডের হাত থেকে সুরক্ষায় কার্ডবোর্ড দিয়ে বিশেষ বিছানা তৈরি করেছিল টোকিও অলিম্পিক গেমস কর্তৃপক্ষ। যাতে এক বিছানায় দুজন উঠলেই ভেঙে পড়ে।
এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে কালবেলা, জাগোনিউজ ২৪, আরটিভি, যায় যায় দিন–সহ বেশি কিছু সংবাদমাধ্যম।
তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাপানে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে অবাধ যৌনতা প্রতিরোধে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ বা যৌনতা ঠেকাতে বিশেষ কোনো বিছানা ছিল না। দাবিটি ওই সময়ও ভাইরাল হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ওই সময় ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি ‘তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করে। দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের ফ্যাক্টচেক বিভাগে ওই সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টোকিও অলিম্পিকে ব্যবহৃত খাটগুলো ৪৪১ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম ছিল। ফলে এক বিছানায় স্বাভাবিক ওজনের দুজন মার্কিন নাগরিক অনায়াসে থাকতে পারবেন। বিছানাগুলো চাপ নিতে পারে কিনা লাফালাফি করে সেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। ফলে একজনের বেশি বিছানায় উঠলে খাট ভেঙে পড়বে, এটি সত্য নয়।
প্যারিস অলিম্পিকেও একই ধরনের খাট আনা হয়েছে, এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এএফপির বরাত দিয়ে গত ১৮ জুলাই এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে ব্যবহৃত খাটগুলো ‘অ্যান্টি সেক্স’ বা যৌনতা প্রতিরোধী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক পোস্ট। পরে এটি অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজকেরা এ দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের জন্য তৈরি খাটগুলো কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি। কার্ডবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশের বিষয় বিবেচনায় রেখে, প্রতিযোগীদের যৌনতা থেকে বিরত রাখার জন্য নয়। অলিম্পিকের পর খাটগুলোর কাঠামো পুনর্ব্যবহার করা হবে এবং বিছানার ম্যাট্রেস এবং বালিশগুলো স্কুল বা বিভিন্ন সংগঠনকে দান করা হবে।
প্যারিস অলিম্পিকের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, টোকিও অলিম্পিকের সময়ও অনেক সংবাদমাধ্যম ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ নিয়ে অনেক মজা করেছে। তবে প্যারিস অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক ভিলেজের জন্য বিছানা তৈরিতে বিবেচনায় রাখা হয়েছে পরিবেশগত প্রভাব এবং পুনর্ব্যবহার নিশ্চিতের বিষয়টি। বিছানাগুলোর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে পুনর্ব্যবহৃত কার্ডবোর্ড থেকে। গত বছরের জুলাইয়ে খাটগুলোর প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় খাটগুলোর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারওয়েভের প্রতিষ্ঠাতা মোতোকুনি তাকাওকা খাটগুলোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দেখান যে, এগুলো দুজন মানুষের ভারে ভেঙে পড়ার মতো নয়।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, টোকিও অলিম্পিকের সময়ও একই দাবি ভাইরাল হয়েছিল এবং এ নিয়ে ওই সময় অ্যাথলেটরাও মজা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিজনেস সাময়িকী ফোর্বস গত ২৬ জুলাই একটি প্রতিবেদনে জানায়, প্যারিস অলিম্পিক ঘিরে টোকিও ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’–এর পুরোনো ভুয়া দাবি আবার সামনে এসেছে। ক্রীড়াবিদদের শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত রাখার জন্য খাটগুলো ডিজাইন করা হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়। প্যারিস অলিম্পিকের খাটগুলো এতটাই মজবুত যে, এগুলো ৪৪০ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, কালবেলা, জাগোনিউজ ২৪, আরটিভির শিরোনামে বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। আবার প্রতিবেদনের ভেতরে আয়ারল্যান্ডের জিমন্যাস্ট রাইস ম্যাকলেনাঘানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্যারিস অলিম্পিকে যৌনতা বিরোধী বিছানার খবর অসত্য। তবে শিরোনামে সেটি সরাসরি উল্লেখ না করা এবং প্রতিবেদনগুলোতে টোকিও অলিম্পিকের সময়ের ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে প্রতিবেদনগুলোকে ফ্যাক্টচেকের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
৪ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৩ দিন আগেবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রায় ১ মিনিটের একটি বক্তব্যের ভিডিও দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে। গতকাল শনিবার একই ভিডিও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স–এ মিহাদ আহমেদ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করা হয়। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায়
৩ দিন আগে