ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। আনুমানিক ২২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং মহাপ্রাচীরটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরবর্তী সম্রাটেরা চীনের প্রতিরক্ষায় এই প্রাচীরকে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ২২০ অব্দ থেকে মিং শাসনামলের ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই প্রাচীর বহুবার নির্মাণ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরটির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার বা ১৩ হাজার ১৭১ মাইল এবং প্রশস্ত গড়ে প্রায় ৪–৫ মিটার। অবশ্য এর অনেকটাই এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীরকে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেসকো। চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
আসলেই কি তাই?
ব্রিটিশ সাময়িকী বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট এমন দাবিকে ‘জনপ্রিয় মিথ’ বলে অভিহিত করেছে। ম্যাগাজিনটি জানায়, প্রকৃতপক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর মহাকাশ থেকে খালি চোখে দেখা যায় না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। মিথটি মহাকাশে মানুষের যাত্রার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। যেমন, ১৭৫৪ সালে খ্যাতিমান ইংরেজ বিজ্ঞানী এবং পুরাতাত্ত্বিক রেভ. উইলিয়াম স্টুকলি তাঁর এক ব্যক্তিগত চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকে দেখা যেতে পারে।
এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয় ১৯৬০–এর দশকে অ্যাপোলো মিশনের সময়। অ্যাপোলো ১২–এর লুনার মডিউল পাইলট অ্যালান বিন বলেন, ‘চাঁদ থেকে আপনি যা দেখতে পারেন তা হলো একটি সুন্দর গোলক—প্রধানত সাদা, কিছুটা নীল, হলুদ আর মাঝে মাঝে সবুজ। এখান থেকে কোনো মানবসৃষ্ট বস্তু দৃশ্যমান নয়।
তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যাবে কি? মার্কিন মহাকাশচারী এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার লেরয় চিয়াও ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর পৃথিবীর নিকটস্থ কক্ষপথ থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি ধারণ করেছিলেন। ছবিটি ধারণ করা হয়েছিল ১৮০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে।
ছবিটি সম্পর্কে নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছবিটিতে চীনের মহাপ্রাচীর ও মঙ্গোলিয়া দেখা যায়। প্রচলিত মিথের বিপরীতে সত্য হলো, চাঁদ থেকে প্রাচীরটি দৃশ্যমান নয় এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেন্স ছাড়া পৃথিবীর নিকটববর্তী কক্ষপথ থেকেও এটি দেখা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) মহাকাশচারী থমাস পেসকেট তাঁর দ্বিতীয় মিশন আলফার অংশ হিসেবে ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁর ওই সময়ের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে। মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকালে অবসরে অন্য অনেক মহাকাশচারীর মতো পেসকেটও কাপোলা উইন্ডো (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা নির্মিত একটি পর্যবেক্ষণ মডিউল) দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ওই সময় তিনি চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তুলেছিলেন।
থমাস ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবাই জানতে চায় যে, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় কি না। তাদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, এটি দেখা যায় না। তবে মহাকাশে অবস্থানকারী কেউ যদি জানেন এটি কোথায়? তাহলে তাঁর পক্ষে মহাপ্রাচীরের ছবি তোলা সম্ভব। ক্যামেরার ছোট ভিউফাইন্ডারে এটি দেখা অসম্ভব। কিন্তু ক্যামেরার জিওগ্রাফিক্যাল ফিচার ব্যবহার করে সঠিক স্থানে লেন্স স্থাপন করতে পারলে মহাকাশচারী চোখ বন্ধ করেই চীনের প্রাচীরের ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার আরেক মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গার্স্ট ২০১৮ সালের ১৯ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি গার্স্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি অবশেষে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমরা কি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে পাই? খালি চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে আমি ৮০০ মিলিমিটার টেলি লেন্স দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাও খুঁজে পাওয়া কঠিন!’
শুধু ইউরোপীয় মহাকাশচারীরাই নন, চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়েইও নিশ্চিত করেছেন, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় না। ইয়াং লিওয়েই ২০০৩ সালের অক্টোবরে চীনের মহাকাশ সংস্থার শেনঝু–৫ মিশনে পৃথিবীকে ১৪ বার প্রদক্ষিণ করেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইয়াং লিওয়েই বলেছিলেন, ‘মহাকাশ থেকে পৃথিবী খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল, কিন্তু আমি আমাদের মহাপ্রাচীরটি দেখিনি।’
চাঁদ থেকে মহাপ্রাচীর দেখা যাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে নাসার শাটল অ্যাস্ট্রোনট জে অ্যাপট বলেন, ‘আমরা চীনের প্রাচীর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও মহাকাশ স্টেশন থেকে বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো ছোট অবকাঠামোও কিছুটা দেখতে পারি, কিন্তু চীনের প্রাচীরের নির্মাণ উপাদান এবং এর আশপাশের মাটির রং একই হওয়ায় এটিকে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। চাঁদ থেকেও দেখা যায় এমন জনপ্রিয় গল্প থাকলেও, চীনের প্রাচীর পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮০ মাইল ওপর থেকেই দেখা মশকিল।’
মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর কেন দেখা যায় না?
চীনের মহাপ্রাচীরের প্রস্থ সর্বাধিক ৯ দশমিক ১ মিটার বা ৩০ ফুট এবং প্রাচীরটির বেশির ভাগ অংশের রং আশপাশের মাটি বা কাছাকাছি অঞ্চলের পাথরের রঙের মতোই। ফলে দূরে থেকে প্রাচীরটিকে আলাদা করা কঠিন; এমনকি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটেলাইট ছবিতেও স্পষ্ট বোঝা যায় না। মহাকাশ স্টেশন থেকে দেখলে পৃথিবীকে একটি সাদা–নীল ছোট গোলকের মতো দেখায়, সেখানে ৯ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের প্রাচীর তো দূরের কথা!
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কোনো স্থাপনা দেখা যায়?
মহাকাশ থেকে খালি চোখে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা না গেলেও অন্যান্য অনেক অবকাঠামো দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে— মিসরের গিজার পিরামিড, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এক্সপিডিশন ৩২–এর সময় এর ছবি তোলা হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা অসাধারণ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাতের পৃথিবী।
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। আনুমানিক ২২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং মহাপ্রাচীরটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরবর্তী সম্রাটেরা চীনের প্রতিরক্ষায় এই প্রাচীরকে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ২২০ অব্দ থেকে মিং শাসনামলের ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই প্রাচীর বহুবার নির্মাণ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরটির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার বা ১৩ হাজার ১৭১ মাইল এবং প্রশস্ত গড়ে প্রায় ৪–৫ মিটার। অবশ্য এর অনেকটাই এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীরকে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেসকো। চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
আসলেই কি তাই?
ব্রিটিশ সাময়িকী বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট এমন দাবিকে ‘জনপ্রিয় মিথ’ বলে অভিহিত করেছে। ম্যাগাজিনটি জানায়, প্রকৃতপক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর মহাকাশ থেকে খালি চোখে দেখা যায় না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। মিথটি মহাকাশে মানুষের যাত্রার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। যেমন, ১৭৫৪ সালে খ্যাতিমান ইংরেজ বিজ্ঞানী এবং পুরাতাত্ত্বিক রেভ. উইলিয়াম স্টুকলি তাঁর এক ব্যক্তিগত চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকে দেখা যেতে পারে।
এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয় ১৯৬০–এর দশকে অ্যাপোলো মিশনের সময়। অ্যাপোলো ১২–এর লুনার মডিউল পাইলট অ্যালান বিন বলেন, ‘চাঁদ থেকে আপনি যা দেখতে পারেন তা হলো একটি সুন্দর গোলক—প্রধানত সাদা, কিছুটা নীল, হলুদ আর মাঝে মাঝে সবুজ। এখান থেকে কোনো মানবসৃষ্ট বস্তু দৃশ্যমান নয়।
তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যাবে কি? মার্কিন মহাকাশচারী এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার লেরয় চিয়াও ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর পৃথিবীর নিকটস্থ কক্ষপথ থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি ধারণ করেছিলেন। ছবিটি ধারণ করা হয়েছিল ১৮০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে।
ছবিটি সম্পর্কে নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছবিটিতে চীনের মহাপ্রাচীর ও মঙ্গোলিয়া দেখা যায়। প্রচলিত মিথের বিপরীতে সত্য হলো, চাঁদ থেকে প্রাচীরটি দৃশ্যমান নয় এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেন্স ছাড়া পৃথিবীর নিকটববর্তী কক্ষপথ থেকেও এটি দেখা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) মহাকাশচারী থমাস পেসকেট তাঁর দ্বিতীয় মিশন আলফার অংশ হিসেবে ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁর ওই সময়ের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে। মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকালে অবসরে অন্য অনেক মহাকাশচারীর মতো পেসকেটও কাপোলা উইন্ডো (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা নির্মিত একটি পর্যবেক্ষণ মডিউল) দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ওই সময় তিনি চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তুলেছিলেন।
থমাস ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবাই জানতে চায় যে, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় কি না। তাদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, এটি দেখা যায় না। তবে মহাকাশে অবস্থানকারী কেউ যদি জানেন এটি কোথায়? তাহলে তাঁর পক্ষে মহাপ্রাচীরের ছবি তোলা সম্ভব। ক্যামেরার ছোট ভিউফাইন্ডারে এটি দেখা অসম্ভব। কিন্তু ক্যামেরার জিওগ্রাফিক্যাল ফিচার ব্যবহার করে সঠিক স্থানে লেন্স স্থাপন করতে পারলে মহাকাশচারী চোখ বন্ধ করেই চীনের প্রাচীরের ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার আরেক মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গার্স্ট ২০১৮ সালের ১৯ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি গার্স্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি অবশেষে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমরা কি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে পাই? খালি চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে আমি ৮০০ মিলিমিটার টেলি লেন্স দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাও খুঁজে পাওয়া কঠিন!’
শুধু ইউরোপীয় মহাকাশচারীরাই নন, চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়েইও নিশ্চিত করেছেন, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় না। ইয়াং লিওয়েই ২০০৩ সালের অক্টোবরে চীনের মহাকাশ সংস্থার শেনঝু–৫ মিশনে পৃথিবীকে ১৪ বার প্রদক্ষিণ করেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইয়াং লিওয়েই বলেছিলেন, ‘মহাকাশ থেকে পৃথিবী খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল, কিন্তু আমি আমাদের মহাপ্রাচীরটি দেখিনি।’
চাঁদ থেকে মহাপ্রাচীর দেখা যাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে নাসার শাটল অ্যাস্ট্রোনট জে অ্যাপট বলেন, ‘আমরা চীনের প্রাচীর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও মহাকাশ স্টেশন থেকে বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো ছোট অবকাঠামোও কিছুটা দেখতে পারি, কিন্তু চীনের প্রাচীরের নির্মাণ উপাদান এবং এর আশপাশের মাটির রং একই হওয়ায় এটিকে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। চাঁদ থেকেও দেখা যায় এমন জনপ্রিয় গল্প থাকলেও, চীনের প্রাচীর পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮০ মাইল ওপর থেকেই দেখা মশকিল।’
মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর কেন দেখা যায় না?
চীনের মহাপ্রাচীরের প্রস্থ সর্বাধিক ৯ দশমিক ১ মিটার বা ৩০ ফুট এবং প্রাচীরটির বেশির ভাগ অংশের রং আশপাশের মাটি বা কাছাকাছি অঞ্চলের পাথরের রঙের মতোই। ফলে দূরে থেকে প্রাচীরটিকে আলাদা করা কঠিন; এমনকি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটেলাইট ছবিতেও স্পষ্ট বোঝা যায় না। মহাকাশ স্টেশন থেকে দেখলে পৃথিবীকে একটি সাদা–নীল ছোট গোলকের মতো দেখায়, সেখানে ৯ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের প্রাচীর তো দূরের কথা!
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কোনো স্থাপনা দেখা যায়?
মহাকাশ থেকে খালি চোখে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা না গেলেও অন্যান্য অনেক অবকাঠামো দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে— মিসরের গিজার পিরামিড, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এক্সপিডিশন ৩২–এর সময় এর ছবি তোলা হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা অসাধারণ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাতের পৃথিবী।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
২ দিন আগেমাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘ডোনাল্ড জে ট্রাম্প আপডেট (Donald J. Trump Update)’ নামের একটি ভেরিফায়েড হ্যান্ডল থেকে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) তুলসী গ্যাবার্ডের ভিডিওটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা...
৩ দিন আগে