ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘মাথার ভেতরে ছিল এলভিস প্রিসলি, খাতার ভেতর তোমার নাম’, অঞ্জন দত্তের ম্যারি অ্যান গানের লাইন এটি। এতেই বোঝা যায় প্রিসলি মার্কিল মুলুকের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর ভারতীয় উপমহাদেশেও কতোটা প্রভাব ফেলেছেন। রক অ্যান্ড রোলের সেই রমরমার যুগে এলভিস প্রিসলি ছিলেন এক কিংবদন্তি।
একই সময়ে একই দেশে শোবিজ দুনিয়া দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইতিহাসের লাস্যময়ী তারকাদের একজন মেরিলিন মনরো। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা। এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরো স্ব স্ব ক্ষেত্রের দুটি বড় নাম। মনরো ছিলেন প্রিসলির নয় বছরের বড়। তাঁদের কী কখনো দেখা হয়েছিল?
এ প্রসঙ্গে এলভিস প্রিসলির ঘনিষ্ঠ বন্ধু জো এস্পোসিটো এলভিস প্রিসলির জীবনীমূলক ওয়েবসাইটে এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরোর মধ্যে দেখা হওয়া নিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থা প্যারামাউন্ট স্টুডিওতে আমি আর প্রিসলি ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটছিলাম। ওই সময় মনরো আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন এবং তাঁদের দুজনের মধ্যে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা হয়, খুব সম্ভবত তিন মিনিট। এই সময় প্রিসলি মনরোকে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁদের মধ্যে অল্প-বিস্তর কথা হয়।’
প্রিসলি ও মনরোর কখনো দেখা হয়েছিল কি না বা তাঁদের কোনো গ্রুপ ছবি আছে কি না সে ব্যাপারে আর কোনো নথিপত্র পাওয়া যায় না বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপস। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিটি এলো কোত্থেকে?
স্নোপস ভুয়া তথ্য শনাক্ত নিয়ে কাজ করা এক্স অ্যাকাউন্ট ফেক হিস্ট্রি হান্টারের বরাত দিয়ে জানায়, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরোর দুটি আলাদা ছবি জুড়ে দিয়ে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ফেক হিস্ট্রি হান্টারের মতে, মনরোর ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের শ্রাইন অডিটোরিয়ামে। ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন চিত্রগ্রাহক ফিল স্টার্ন। ফিল স্টার্নের ওয়েবসাইটে মেরিলিন মনরোর সেদিনের আরও কিছু ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়।
আর দুজনের ভাইরাল গ্রুপ ছবিটিতে এলভিস প্রিসলির যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি তোলা হয় ১৯৬০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ট্রেনে, ‘জিআই ব্লুজ’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু করার মুহূর্তে। এলভিস প্রিসলির ওইদিনের ধারণকৃত আরও কিছু ছবি দেখুন এখানে। তার মানে, মেরিলিন মনরো–এলভিস প্রিসলির ভাইরাল ছবিটি এডিটেড।
এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরো
১৯৫০ থেকে ৭০–এর দশকে জেল হাউজ রক, ক্যান্ট হেল্প ফল ইন লাভ, হার্ট ব্রেক হোটেল, ক্যান্টাকি রেইন, মিস্ট্রি ট্রেন–এর মতো মঞ্চ কাঁপানো সব গান দিয়ে ওই সময়ের তরুণ–তরুণীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন এলভিস প্রিসলি। তবে ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ খ্যাত এই তারকার জীবনের শুরুটা ছিল খুবই সাদামাটা, আর্থিক টানাপোড়েনে। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের মিসিপিসিতে। এলভিস প্রিসলির ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ১৯৫০–এর মাঝামাঝিতে। ওই সময় থেকে তিনি রেডিও, টিভি, টেলিভিশন এবং মঞ্চে পারফর্ম করতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম একক গান ছিল ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত ‘দ্যাটস অলরাইট।’
প্রিসলির গান গাওয়ার ভিন্ন ধাঁচ, আবেদনময় দৈহিক গড়ন ও সুদর্শন চেহারার জন্য ১৯৫৫ সাল থেকে তাঁর বিপুল ভক্ত তৈরি হতে শুরু করে। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি প্রিসলিকে। গান, অভিনয় সব জায়গায় ছিল তাঁর জয়জয়কার। এর পরের বছর ১৯৫৬ সালে প্রথম ও বক্স অফিস হিট চলচ্চিত্র লাভ মি টেন্ডার–এ অভিনয় করেন। ক্যারিয়ারজুড়ে প্রিসলি আমেরিকায় রক অ্যান্ড রোল মিউজিক জনপ্রিয় করতে কাজ করে গেছেন, তিনবার জিতেছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ১৯৭৭ সালে মাত্র ৪২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’।
এলভিস প্রিসলির মতো মেরিলিন মনরোর জীবনের শুরুটাও ছিল যুদ্ধের। সেই যুদ্ধ জয় করে মনরো হয়ে ওঠেন বিশ্বের অন্যতম ‘যৌনতার প্রতীক’। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো ২০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করেছে। নাট্যকার আর্থার মিলার, যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল খেলোয়াড় জো ডিমাজিও এবং দেশটির প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মতো বিখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে আছে। তাঁর বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র হচ্ছে— দ্য অ্যাসফল্ট জাঙ্গল, অল অ্যাবাউট ইভ, নায়াগ্রা, জেন্টলম্যান প্রেফার ব্লন্ডিস ইত্যাদি। এর মধ্যে ‘জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস’ সিনেমার আয় ছিল নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ। তাঁর ‘হাউ টু ম্যারি এ মিলিয়নেয়ার’ সিনেমাটিও বক্স অফিসে সাড়া ফেলে। তবে মনরোও ছিলেন ক্ষণজন্মা। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মাত্রাতিরিক্ত মাদকগ্রহণে তাঁর মৃত্যু হয়।
‘মাথার ভেতরে ছিল এলভিস প্রিসলি, খাতার ভেতর তোমার নাম’, অঞ্জন দত্তের ম্যারি অ্যান গানের লাইন এটি। এতেই বোঝা যায় প্রিসলি মার্কিল মুলুকের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর ভারতীয় উপমহাদেশেও কতোটা প্রভাব ফেলেছেন। রক অ্যান্ড রোলের সেই রমরমার যুগে এলভিস প্রিসলি ছিলেন এক কিংবদন্তি।
একই সময়ে একই দেশে শোবিজ দুনিয়া দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইতিহাসের লাস্যময়ী তারকাদের একজন মেরিলিন মনরো। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা। এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরো স্ব স্ব ক্ষেত্রের দুটি বড় নাম। মনরো ছিলেন প্রিসলির নয় বছরের বড়। তাঁদের কী কখনো দেখা হয়েছিল?
এ প্রসঙ্গে এলভিস প্রিসলির ঘনিষ্ঠ বন্ধু জো এস্পোসিটো এলভিস প্রিসলির জীবনীমূলক ওয়েবসাইটে এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরোর মধ্যে দেখা হওয়া নিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থা প্যারামাউন্ট স্টুডিওতে আমি আর প্রিসলি ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটছিলাম। ওই সময় মনরো আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন এবং তাঁদের দুজনের মধ্যে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা হয়, খুব সম্ভবত তিন মিনিট। এই সময় প্রিসলি মনরোকে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁদের মধ্যে অল্প-বিস্তর কথা হয়।’
প্রিসলি ও মনরোর কখনো দেখা হয়েছিল কি না বা তাঁদের কোনো গ্রুপ ছবি আছে কি না সে ব্যাপারে আর কোনো নথিপত্র পাওয়া যায় না বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপস। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিটি এলো কোত্থেকে?
স্নোপস ভুয়া তথ্য শনাক্ত নিয়ে কাজ করা এক্স অ্যাকাউন্ট ফেক হিস্ট্রি হান্টারের বরাত দিয়ে জানায়, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরোর দুটি আলাদা ছবি জুড়ে দিয়ে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ফেক হিস্ট্রি হান্টারের মতে, মনরোর ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের শ্রাইন অডিটোরিয়ামে। ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন চিত্রগ্রাহক ফিল স্টার্ন। ফিল স্টার্নের ওয়েবসাইটে মেরিলিন মনরোর সেদিনের আরও কিছু ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়।
আর দুজনের ভাইরাল গ্রুপ ছবিটিতে এলভিস প্রিসলির যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি তোলা হয় ১৯৬০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ট্রেনে, ‘জিআই ব্লুজ’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু করার মুহূর্তে। এলভিস প্রিসলির ওইদিনের ধারণকৃত আরও কিছু ছবি দেখুন এখানে। তার মানে, মেরিলিন মনরো–এলভিস প্রিসলির ভাইরাল ছবিটি এডিটেড।
এলভিস প্রিসলি ও মেরিলিন মনরো
১৯৫০ থেকে ৭০–এর দশকে জেল হাউজ রক, ক্যান্ট হেল্প ফল ইন লাভ, হার্ট ব্রেক হোটেল, ক্যান্টাকি রেইন, মিস্ট্রি ট্রেন–এর মতো মঞ্চ কাঁপানো সব গান দিয়ে ওই সময়ের তরুণ–তরুণীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন এলভিস প্রিসলি। তবে ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ খ্যাত এই তারকার জীবনের শুরুটা ছিল খুবই সাদামাটা, আর্থিক টানাপোড়েনে। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের মিসিপিসিতে। এলভিস প্রিসলির ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ১৯৫০–এর মাঝামাঝিতে। ওই সময় থেকে তিনি রেডিও, টিভি, টেলিভিশন এবং মঞ্চে পারফর্ম করতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম একক গান ছিল ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত ‘দ্যাটস অলরাইট।’
প্রিসলির গান গাওয়ার ভিন্ন ধাঁচ, আবেদনময় দৈহিক গড়ন ও সুদর্শন চেহারার জন্য ১৯৫৫ সাল থেকে তাঁর বিপুল ভক্ত তৈরি হতে শুরু করে। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি প্রিসলিকে। গান, অভিনয় সব জায়গায় ছিল তাঁর জয়জয়কার। এর পরের বছর ১৯৫৬ সালে প্রথম ও বক্স অফিস হিট চলচ্চিত্র লাভ মি টেন্ডার–এ অভিনয় করেন। ক্যারিয়ারজুড়ে প্রিসলি আমেরিকায় রক অ্যান্ড রোল মিউজিক জনপ্রিয় করতে কাজ করে গেছেন, তিনবার জিতেছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ১৯৭৭ সালে মাত্র ৪২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’।
এলভিস প্রিসলির মতো মেরিলিন মনরোর জীবনের শুরুটাও ছিল যুদ্ধের। সেই যুদ্ধ জয় করে মনরো হয়ে ওঠেন বিশ্বের অন্যতম ‘যৌনতার প্রতীক’। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো ২০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করেছে। নাট্যকার আর্থার মিলার, যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল খেলোয়াড় জো ডিমাজিও এবং দেশটির প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মতো বিখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে আছে। তাঁর বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র হচ্ছে— দ্য অ্যাসফল্ট জাঙ্গল, অল অ্যাবাউট ইভ, নায়াগ্রা, জেন্টলম্যান প্রেফার ব্লন্ডিস ইত্যাদি। এর মধ্যে ‘জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস’ সিনেমার আয় ছিল নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ। তাঁর ‘হাউ টু ম্যারি এ মিলিয়নেয়ার’ সিনেমাটিও বক্স অফিসে সাড়া ফেলে। তবে মনরোও ছিলেন ক্ষণজন্মা। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মাত্রাতিরিক্ত মাদকগ্রহণে তাঁর মৃত্যু হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৩ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১৮ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে