ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে তিন নারীর সাদাকালো একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, বুয়েটে পড়ার জন্য তাঁদের মামলা করতে হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, সে সময় বুয়েটে মেয়েদের পড়া নিষিদ্ধ ছিল।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ১৯৬৪ সালের দিকে দোরা রহমান, মনোয়ারা ও চুমকি নামের এই তিন বাঙালি নারী বুয়েটে পড়তে না পারার কারণে কোর্টে মামলা ঠুকে দেন। মামলায় জয়ী হয়ে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁরা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পান।
ফ্যাক্টচেক
ভাইরাল হওয়া ছবি ও কি-ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে অনুসন্ধান করলে ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত 'আমাদের দেখতে ভিড় লেগে যেত' শিরোনামে একটি প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদনে সম্প্রতি ভাইরাল ছবির তিন নারী প্রকৌশলীর একজন খালেদা শাহারিয়ার কবির (ডোরা রহমান) প্রথম আলোর সঙ্গে সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অপর দুই নারীর একজন শিরীন সুলতানা, এখন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। আর মনোয়ারা বেগম ২০০২ সালে মারা গেছেন।
আলাপচারিতায় খালেদা শাহারিয়ার জানান, সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে ওই সময় বুয়েটে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হতো না। বুয়েট তখন ইপুয়েট নামে পরিচিত ছিল।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোরা রহমান বলেন, ‘আমি আর শিরীন তখন ইডেন কলেজে পড়ি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ইঞ্জিনিয়ারই হব। আমাদের ইচ্ছার কথা হলিক্রস কলেজের মনোয়ারার কানে পৌঁছাল। তিনজন মেয়ে দেখে স্যাররা রাজি হলেন। তখন প্রথম বর্ষে একটিই সাধারণ বিভাগ ছিল। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে পুর, তড়িৎ, যন্ত্রকৌশল বিভাগ ভাগ হতো।'
খালেদা শাহরিয়ার আরও বলেন, পুরকৌশলে সে সময় মেয়েদের পড়তে দেওয়া হতো না। এর কারণ হিসাবে তিনি জানান, এই বিভাগে পড়লে সাভারে এক মাসের জন্য থাকতে হবে সার্ভের জন্য। ফলে তাদের তিনজনকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পুরকৌশলে পড়তে পারবেন না এবং এই শর্ত মেনেই ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা।
শিক্ষকেরা শুরুতে নিমরাজি থাকলেও ওই তিন নারীর আত্মবিশ্বাসের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। তাঁরা শিক্ষকদের বলেছিলেন, ‘সংবিধানে তো বলা নেই পুরকৌশলে মেয়েরা পড়তে পারবে না। তাই আপনারা পড়তে না দিলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারব।’ পরে তিন নারী প্রচলিত নিয়মেই বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মামলা করতে হয়নি।
ফেসবুকে ছড়ানো গুজবের প্রসঙ্গটিও এসেছিল ওই প্রতিবেদনে। এর জবাবে খালেদা শাহরিয়ার বলেন, 'তথ্য বিকৃতি করে কারা যেন এ কথা ছড়িয়েছে। আমাদের মামলা করতে হয়নি।'
১৯৬৮ সালে খালেদা শাহারিয়ার কবির ও শিরীন সুলতানা বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে মনোয়ারা বেগম কেমিকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি পান।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবির তিন নারী প্রচলিত নিয়মেই বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। বুয়েটে পড়ার জন্য তাঁদের মামলা করতে হয়েছিল, এ তথ্য সঠিক নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা— [email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে তিন নারীর সাদাকালো একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, বুয়েটে পড়ার জন্য তাঁদের মামলা করতে হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, সে সময় বুয়েটে মেয়েদের পড়া নিষিদ্ধ ছিল।
পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ১৯৬৪ সালের দিকে দোরা রহমান, মনোয়ারা ও চুমকি নামের এই তিন বাঙালি নারী বুয়েটে পড়তে না পারার কারণে কোর্টে মামলা ঠুকে দেন। মামলায় জয়ী হয়ে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁরা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পান।
ফ্যাক্টচেক
ভাইরাল হওয়া ছবি ও কি-ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে অনুসন্ধান করলে ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত 'আমাদের দেখতে ভিড় লেগে যেত' শিরোনামে একটি প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদনে সম্প্রতি ভাইরাল ছবির তিন নারী প্রকৌশলীর একজন খালেদা শাহারিয়ার কবির (ডোরা রহমান) প্রথম আলোর সঙ্গে সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অপর দুই নারীর একজন শিরীন সুলতানা, এখন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। আর মনোয়ারা বেগম ২০০২ সালে মারা গেছেন।
আলাপচারিতায় খালেদা শাহারিয়ার জানান, সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে ওই সময় বুয়েটে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হতো না। বুয়েট তখন ইপুয়েট নামে পরিচিত ছিল।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোরা রহমান বলেন, ‘আমি আর শিরীন তখন ইডেন কলেজে পড়ি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ইঞ্জিনিয়ারই হব। আমাদের ইচ্ছার কথা হলিক্রস কলেজের মনোয়ারার কানে পৌঁছাল। তিনজন মেয়ে দেখে স্যাররা রাজি হলেন। তখন প্রথম বর্ষে একটিই সাধারণ বিভাগ ছিল। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে পুর, তড়িৎ, যন্ত্রকৌশল বিভাগ ভাগ হতো।'
খালেদা শাহরিয়ার আরও বলেন, পুরকৌশলে সে সময় মেয়েদের পড়তে দেওয়া হতো না। এর কারণ হিসাবে তিনি জানান, এই বিভাগে পড়লে সাভারে এক মাসের জন্য থাকতে হবে সার্ভের জন্য। ফলে তাদের তিনজনকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পুরকৌশলে পড়তে পারবেন না এবং এই শর্ত মেনেই ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা।
শিক্ষকেরা শুরুতে নিমরাজি থাকলেও ওই তিন নারীর আত্মবিশ্বাসের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। তাঁরা শিক্ষকদের বলেছিলেন, ‘সংবিধানে তো বলা নেই পুরকৌশলে মেয়েরা পড়তে পারবে না। তাই আপনারা পড়তে না দিলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারব।’ পরে তিন নারী প্রচলিত নিয়মেই বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মামলা করতে হয়নি।
ফেসবুকে ছড়ানো গুজবের প্রসঙ্গটিও এসেছিল ওই প্রতিবেদনে। এর জবাবে খালেদা শাহরিয়ার বলেন, 'তথ্য বিকৃতি করে কারা যেন এ কথা ছড়িয়েছে। আমাদের মামলা করতে হয়নি।'
১৯৬৮ সালে খালেদা শাহারিয়ার কবির ও শিরীন সুলতানা বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে পুরকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে মনোয়ারা বেগম কেমিকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি পান।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবির তিন নারী প্রচলিত নিয়মেই বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন। বুয়েটে পড়ার জন্য তাঁদের মামলা করতে হয়েছিল, এ তথ্য সঠিক নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা— [email protected]
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত মুখ। ব্যক্তিগত জীবন ও চলচ্চিত্রকর্ম নিয়ে তিনি প্রায়ই আলোচনায় আসেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নববধূর সাজে কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি তার দ্বিতীয় বিয়ের ছবি।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর জণসাধারণের আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-
৩ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এই ঘটনার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রসঙ্গে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের খবর সামনে এসেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়ে
৪ দিন আগেচলতি বছরের জুনে হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিল–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। এ রায়ের পর কোটা সংস্কার দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে সরকার বাধা দিলে তা সংঘাত ও সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে...
৬ দিন আগে