ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ফুল, ফুলের সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ পছন্দ করে না এমন মানুষের দেখা পাওয়া ভার। আর সে ফুল যদি হয় হাসনাহেনা, মাতাল ঘ্রাণে বুঁদ হয়ে নির্ঘুম রাত পার করাও বিচিত্র নয়! তবে এ ভালো লাগার সঙ্গে ফুলপ্রেমী মানুষের মধ্যে কাজ করে ভয়ও। কারণ যুগ যুগ ধরে সমাজে প্রচলিত ধারণা, এই ফুলের ঘ্রাণে বিষাক্ত সাপ আসে। তাই অনেকেই বসতবাড়ির পাশে হাসনাহেনার গাছ লাগাতে চান না। এমনকি সাপের ভয়ে হাসনাহেনা গাছের ধারেকাছে ঘেঁষতে চান না অনেকে।
কিন্তু হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে আসলেই কি সাপ আসে? সাপও কি মানুষের মতো হাসনাহেনার ঘ্রাণে মাতাল হয়ে ছুটে আসে?
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক হাসনাহেনা ফুল সম্পর্কে। হাসনাহেনা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম সেস্ট্রাম নক্টার্নাম। এটি আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল জাতীয় উদ্ভিদ। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ফুলটি দেখা যায়। এই উদ্ভিদের ফুল সন্ধ্যায় ফোটে এবং ভোরের আলো ফোটার পরে ঝরে যায়। এই ফুল তীব্র সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়ায়, যা কীটপতঙ্গ আকর্ষণ করে। কিন্তু এই ঘ্রাণে সাপ আকৃষ্ট হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
বরং হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে সাপ আসার প্রচলিত বিশ্বাসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবহমানকালের সাংস্কৃতিক চর্চা ও কুসংস্কার। সাপ দীর্ঘকাল ধরে মানুষের কল্পনায় নানাভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে সাপ ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে।
যেমন, খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০–৩০০০ অব্দের সুমেরীয় শিল্পকলায় দুটি প্যাঁচানো সাপের প্রতীকী উপস্থাপনা দেখা যায়। মিসরের ফারাওদের প্রতীক ছিল সাপ এবং ইগল। এ ছাড়া মিসরীয়দের ভূদেবতার মাথা সর্পাকৃতির। এই দেবতা সব সাপের অধিষ্ঠাতা দেবতা বলে বিশ্বাস করা হতো।
প্রাচীন মিসরীয় সংস্কৃতিতে সর্প দেবতা ওয়াদজেতকে সুরক্ষা এবং রাজকীয় প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। অনুরূপভাবে মধ্যযুগের লোককাহিনি নির্ভর মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র সর্পদেবী মনসা। তিনি মূলত লোকায়ত দেবী। বাংলাদেশসহ ভারতের কিছু অংশে আষাঢ়–শ্রাবণ মাসে দেবী মনসার পূজা করা হয়।
এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রচলিত বিশ্বাস হলো—কিছু গাছপালার নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বা সুবাসের কারণে সাপ আকৃষ্ট হয় বা দূরে সরে দেয়। আর সাপ নিয়ে প্রচলিত লোককাহিনি এবং উপাখ্যান এই বিশ্বাসকে আরও বদ্ধমূল করেছে যে, হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে সাপ আসে।
সাপের ঘ্রাণশক্তি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। এ নিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সাপ গবেষকেরা বলেন, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং সীমিত শ্রবণশক্তির বিকল্প হিসেবে বেশির ভাগ সাপের চমৎকার ঘ্রাণশক্তি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুবিদ্যা এবং বিবর্তন জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক কার্ট শোয়েঙ্ক বলেন, সাপের নাক আছে এবং এর মাধ্যমে তারা ঘ্রাণ নিতে পারে।
একই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেসও বলছে, মানুষের মতোই সাপের নাসারন্ধ্ৰ রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা শ্বাস ও ঘ্রাণ নিতে পারে।
তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এই ধারণাটিকে সমর্থন করে না যে, গাছপালা সাপকে আকর্ষণ করতে পারে। অপরদিকে সাপের চলাফেরার বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, সাপ প্রজাতি ভেদে নিশাচর ও দিবাচর হয়ে থাকে। এ ছাড়া সাপ সাধারণত পরিবেশ এবং জৈবিক চাহিদা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের বাসস্থান নির্বাচন করে।
এসবের মধ্যে যে বিষয়গুলো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে তার মধ্যে আছে—
তাপ: সাপ সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে উষ্ণ পরিবেশের সন্ধান করে।
শিকারের প্রাপ্যতা: পর্যাপ্ত শিকারের প্রাপ্যতা সাপকে আকর্ষণ করে।
নিরাপত্তা: সাপ ইট–পাথরের ফাটল, ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ স্থানে লুকানোর জায়গা খোঁজে।
পানি: শরীরে পানি এবং তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার জন্য সাপ সাধারণত জলাধারের আশপাশ এলাকা খুঁজে নেয়।
অর্থাৎ, সাপের আচরণ নির্ধারিত হয় সম্পূর্ণ জৈবিক চাহিদার ওপর। শিকারের প্রাপ্যতা, আশ্রয় এবং পরিবেশগত অবস্থার মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এরা বাসস্থান বা বিচরণক্ষেত্র নির্ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে হাসনাহেনার এর মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য নেই, যা সাপকে আকৃষ্ট করবে।
হাসনাহেনা ফুলের সঙ্গে সাপের সম্পর্ক
হাসনাহেনা ফুলের সঙ্গে সাপের সম্পর্ক বুঝতে হলে খাদ্যশৃঙ্খল সম্পর্কে জানতে হবে। একটি হাসনাহেনা গাছকে ঘিরে তিন স্তরের খাদ্যশৃঙ্খল গড়ে ওঠে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, হাসনাহেনা ফুল সন্ধ্যায় ফোটে। এ ফুলের তীব্র ঘ্রাণ রয়েছে, যা পরাগায়নকারী কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে। এসব পোকামাকড় আবার ব্যাঙ, টিকটিকি ইত্যাদির খাবার। ব্যাঙ, মাকড়সা, টিকটিকি এসব প্রাণী পতঙ্গভুক। সাপের পছন্দের তালিকার খাবার হলো—ব্যাঙ, টিকটিকি এবং কীটপতঙ্গ। গোখরা বা এ ধরনের বিষধর সাপ সাধারণত নিশাচর হয়। এরা রাতের বেলা শিকারে বের হয়। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক শিকার পেতে এরা চলে আসে ফুলে ফুলে ছেয়ে যাওয়া হাসনাহেনা গাছের কাছে। হাসনাহেনার কাছে সাপের আসা–যাওয়ার এটিই কারণ।
এতে স্পষ্ট যে, সাপেরা ফুলের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে হাসনাহেনার কাছে ছুটে আসার মতো রোমান্টিক নয়! এর সঙ্গে সাপের প্রজনন ইচ্ছারও কোনো সম্পর্ক নেই। এরা রাতের অন্ধকরে হাসনাহেনার নিচে ঘাপটি মেরে থাকে শিকারের আশায়। ফুলের গন্ধে হাসনাহেনার কাছে সাপ আসার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসা একটি প্রচলিত মিথ বা শ্রুতি কথা।
ফুল, ফুলের সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ পছন্দ করে না এমন মানুষের দেখা পাওয়া ভার। আর সে ফুল যদি হয় হাসনাহেনা, মাতাল ঘ্রাণে বুঁদ হয়ে নির্ঘুম রাত পার করাও বিচিত্র নয়! তবে এ ভালো লাগার সঙ্গে ফুলপ্রেমী মানুষের মধ্যে কাজ করে ভয়ও। কারণ যুগ যুগ ধরে সমাজে প্রচলিত ধারণা, এই ফুলের ঘ্রাণে বিষাক্ত সাপ আসে। তাই অনেকেই বসতবাড়ির পাশে হাসনাহেনার গাছ লাগাতে চান না। এমনকি সাপের ভয়ে হাসনাহেনা গাছের ধারেকাছে ঘেঁষতে চান না অনেকে।
কিন্তু হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে আসলেই কি সাপ আসে? সাপও কি মানুষের মতো হাসনাহেনার ঘ্রাণে মাতাল হয়ে ছুটে আসে?
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক হাসনাহেনা ফুল সম্পর্কে। হাসনাহেনা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম সেস্ট্রাম নক্টার্নাম। এটি আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল জাতীয় উদ্ভিদ। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ফুলটি দেখা যায়। এই উদ্ভিদের ফুল সন্ধ্যায় ফোটে এবং ভোরের আলো ফোটার পরে ঝরে যায়। এই ফুল তীব্র সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়ায়, যা কীটপতঙ্গ আকর্ষণ করে। কিন্তু এই ঘ্রাণে সাপ আকৃষ্ট হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
বরং হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে সাপ আসার প্রচলিত বিশ্বাসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবহমানকালের সাংস্কৃতিক চর্চা ও কুসংস্কার। সাপ দীর্ঘকাল ধরে মানুষের কল্পনায় নানাভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে সাপ ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে।
যেমন, খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০–৩০০০ অব্দের সুমেরীয় শিল্পকলায় দুটি প্যাঁচানো সাপের প্রতীকী উপস্থাপনা দেখা যায়। মিসরের ফারাওদের প্রতীক ছিল সাপ এবং ইগল। এ ছাড়া মিসরীয়দের ভূদেবতার মাথা সর্পাকৃতির। এই দেবতা সব সাপের অধিষ্ঠাতা দেবতা বলে বিশ্বাস করা হতো।
প্রাচীন মিসরীয় সংস্কৃতিতে সর্প দেবতা ওয়াদজেতকে সুরক্ষা এবং রাজকীয় প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। অনুরূপভাবে মধ্যযুগের লোককাহিনি নির্ভর মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র সর্পদেবী মনসা। তিনি মূলত লোকায়ত দেবী। বাংলাদেশসহ ভারতের কিছু অংশে আষাঢ়–শ্রাবণ মাসে দেবী মনসার পূজা করা হয়।
এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রচলিত বিশ্বাস হলো—কিছু গাছপালার নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বা সুবাসের কারণে সাপ আকৃষ্ট হয় বা দূরে সরে দেয়। আর সাপ নিয়ে প্রচলিত লোককাহিনি এবং উপাখ্যান এই বিশ্বাসকে আরও বদ্ধমূল করেছে যে, হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে সাপ আসে।
সাপের ঘ্রাণশক্তি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। এ নিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সাপ গবেষকেরা বলেন, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং সীমিত শ্রবণশক্তির বিকল্প হিসেবে বেশির ভাগ সাপের চমৎকার ঘ্রাণশক্তি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুবিদ্যা এবং বিবর্তন জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক কার্ট শোয়েঙ্ক বলেন, সাপের নাক আছে এবং এর মাধ্যমে তারা ঘ্রাণ নিতে পারে।
একই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেসও বলছে, মানুষের মতোই সাপের নাসারন্ধ্ৰ রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা শ্বাস ও ঘ্রাণ নিতে পারে।
তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এই ধারণাটিকে সমর্থন করে না যে, গাছপালা সাপকে আকর্ষণ করতে পারে। অপরদিকে সাপের চলাফেরার বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, সাপ প্রজাতি ভেদে নিশাচর ও দিবাচর হয়ে থাকে। এ ছাড়া সাপ সাধারণত পরিবেশ এবং জৈবিক চাহিদা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের বাসস্থান নির্বাচন করে।
এসবের মধ্যে যে বিষয়গুলো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে তার মধ্যে আছে—
তাপ: সাপ সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে উষ্ণ পরিবেশের সন্ধান করে।
শিকারের প্রাপ্যতা: পর্যাপ্ত শিকারের প্রাপ্যতা সাপকে আকর্ষণ করে।
নিরাপত্তা: সাপ ইট–পাথরের ফাটল, ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ স্থানে লুকানোর জায়গা খোঁজে।
পানি: শরীরে পানি এবং তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার জন্য সাপ সাধারণত জলাধারের আশপাশ এলাকা খুঁজে নেয়।
অর্থাৎ, সাপের আচরণ নির্ধারিত হয় সম্পূর্ণ জৈবিক চাহিদার ওপর। শিকারের প্রাপ্যতা, আশ্রয় এবং পরিবেশগত অবস্থার মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এরা বাসস্থান বা বিচরণক্ষেত্র নির্ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে হাসনাহেনার এর মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য নেই, যা সাপকে আকৃষ্ট করবে।
হাসনাহেনা ফুলের সঙ্গে সাপের সম্পর্ক
হাসনাহেনা ফুলের সঙ্গে সাপের সম্পর্ক বুঝতে হলে খাদ্যশৃঙ্খল সম্পর্কে জানতে হবে। একটি হাসনাহেনা গাছকে ঘিরে তিন স্তরের খাদ্যশৃঙ্খল গড়ে ওঠে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, হাসনাহেনা ফুল সন্ধ্যায় ফোটে। এ ফুলের তীব্র ঘ্রাণ রয়েছে, যা পরাগায়নকারী কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে। এসব পোকামাকড় আবার ব্যাঙ, টিকটিকি ইত্যাদির খাবার। ব্যাঙ, মাকড়সা, টিকটিকি এসব প্রাণী পতঙ্গভুক। সাপের পছন্দের তালিকার খাবার হলো—ব্যাঙ, টিকটিকি এবং কীটপতঙ্গ। গোখরা বা এ ধরনের বিষধর সাপ সাধারণত নিশাচর হয়। এরা রাতের বেলা শিকারে বের হয়। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক শিকার পেতে এরা চলে আসে ফুলে ফুলে ছেয়ে যাওয়া হাসনাহেনা গাছের কাছে। হাসনাহেনার কাছে সাপের আসা–যাওয়ার এটিই কারণ।
এতে স্পষ্ট যে, সাপেরা ফুলের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে হাসনাহেনার কাছে ছুটে আসার মতো রোমান্টিক নয়! এর সঙ্গে সাপের প্রজনন ইচ্ছারও কোনো সম্পর্ক নেই। এরা রাতের অন্ধকরে হাসনাহেনার নিচে ঘাপটি মেরে থাকে শিকারের আশায়। ফুলের গন্ধে হাসনাহেনার কাছে সাপ আসার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসা একটি প্রচলিত মিথ বা শ্রুতি কথা।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
২০ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগে