ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
তেঁতুলের নাম শুনলেই অনেকে জিভে জল চলে আসে। তেঁতুলের বৈজ্ঞানিক নাম টামারিনডাস ইন্ডিকা (Tamarindus indica)। তবে এ টক ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে আছে নানা নেতিবাচক ধারণা। যেমন, তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে যায়, রক্ত পানি হয়ে যায়, পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে পেটব্যথা করে আর বেশি রক্তস্রাব হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয় ইত্যাদি। আর এমন ধারণা থেকেই মুরব্বিরা ছোটদের তেঁতুল খেতে নিষেধ করেন। তেঁতুল নিয়ে এসব ধারণা কতটা সত্য?
তেঁতুলের কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ, মানবদেহে তেঁতুলের ইতিবাচক, নেতিবাচক দিক নিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে বলা হয়েছে, তেঁতুলে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এক কাপ বা ১২০ গ্রাম তেঁতুলে ২৬ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১৬ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৯ শতাংশ আয়রন, ৭ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ১১ শতাংশ ফসফরাস, সমপরিমাণ কপার, ৪৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, ১৪ শতাংশ বি২ এবং ১৫ শতাংশ বি৩ থাকে। এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৫ রয়েছে তেঁতুলে। একই পরিমাণ তেঁতুলে ৬ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন এবং ১ গ্রামের চেয়ে কিছু কম চর্বি থাকে। সব মিলিয়ে ১২০ গ্রাম তেঁতুলে ২৮৭ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুলের ব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় তেঁতুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পানীয় আকারে এটি সাধারণত ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর এবং ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। ক্ষত নিরাময়ের জন্য তেঁতুল গাছের বাকল এবং পাতা ব্যবহারের তথ্যও পাওয়া যায়। বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমন তথ্য রয়েছে।
তেঁতুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হৃদরোগ, ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
তুরস্কের মারমারা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ইন্টার্ন চিকিৎসক পিনার কুরু গবেষণা নিবন্ধটি লেখেন। নিবন্ধটি তেঁতুলের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রভাব নিয়ে। এতে তেঁতুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি সস্তা এবং সহজলভ্য একটি ফল, যা এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড (যা মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি করতে পারে না), ফাইটোকেমিক্যাল এবং ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য সরবরাহকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিতে তেঁতুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, মানুষ প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ হিসেবে তেঁতুল ব্যবহার করে আসছে। তবে রোগ নিরাময়ে এর ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তেঁতুলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুলের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, অ্যামিনো অ্যাসিড, টিস্যু তৈরি ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়, যা প্রোটিনে পাওয়া যায়। তেঁতুলে ট্রিপটোফান ছাড়া সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা একটি আদর্শ প্রোটিনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান পূরণ করে।
তেঁতুলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ডিএনএর ক্ষতি প্রতিরোধ করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ভিটামিন বি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুল ভিটামিন বি সমৃদ্ধ, বিশেষ করে থায়ামিন এবং ফোলেট। যদিও এতে বি ১২ নেই। পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই খনিজের অভাব দেখা যায়। বিপরীতে তেঁতুল ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে তেঁতুল এই অভাব পূরণ করতে পারে।
বিবিসি গুড ফুডের ওয়েবসাইট থেকেও তেঁতুলের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। যেমন, তেঁতুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, যকৃতের (লিভার) সুরক্ষামূলক এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণু নিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
তবে ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুল সবার জন্য নিরাপদ কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, তেঁতুল কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তেঁতুল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সাবধানতার সঙ্গে এটি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে এটি ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। জোলাপ কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে মলত্যাগ সহজ করে।
অরগানিক ফ্যাক্টস নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, যাদের রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁরা তেঁতুল খেলে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে পারেন। এ ছাড়া তেঁতুল অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধের সঙ্গেও বিক্রিয়া করতে করতে পারে। তেঁতুল রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
এ ছাড়া তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সে সঙ্গে বুদ্ধিও কমে—এগুলো নিছক কুসংস্কার বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করে। চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা তেঁতুল খেতে টক, পাকা ফল টক–মিষ্টির এক ভিন্ন স্বাদ। তেঁতুল খাবারে স্বাদ বাড়ায়। এ জন্য মাংসের রোস্ট, পোলাও, খিচুড়িতে ব্যবহার হয়। তেঁতুলের টক, ভর্তা, ডাল অনেকের প্রিয়। এ ছাড়া তেঁতুল তৈরি করা যায় আচার, সস, জ্যাম, চাটনিসহ আরও খাবার। এর বীজ নকশি শিল্পে ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সঙ্গে তেঁতুলের সম্পর্ককে মিথ বা প্রচলিত ধারণা উল্লেখ করে ইউনিসেফ জানায়, ঋতুকালে রক্তস্রাবের সঙ্গে খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই। পিরিয়ডের সময় খাওয়া যাবে না এমন কিছু নেই।
স্পষ্টত, তেঁতুল একটি পুষ্টিকর ফল। এটি খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, বুদ্ধি কমে যায় বা পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে পেটব্যথা করে এবং রক্তস্রাব বেশি হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয়—এসব দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
তেঁতুলের নাম শুনলেই অনেকে জিভে জল চলে আসে। তেঁতুলের বৈজ্ঞানিক নাম টামারিনডাস ইন্ডিকা (Tamarindus indica)। তবে এ টক ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে আছে নানা নেতিবাচক ধারণা। যেমন, তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে যায়, রক্ত পানি হয়ে যায়, পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে পেটব্যথা করে আর বেশি রক্তস্রাব হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয় ইত্যাদি। আর এমন ধারণা থেকেই মুরব্বিরা ছোটদের তেঁতুল খেতে নিষেধ করেন। তেঁতুল নিয়ে এসব ধারণা কতটা সত্য?
তেঁতুলের কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ, মানবদেহে তেঁতুলের ইতিবাচক, নেতিবাচক দিক নিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে বলা হয়েছে, তেঁতুলে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এক কাপ বা ১২০ গ্রাম তেঁতুলে ২৬ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১৬ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৯ শতাংশ আয়রন, ৭ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ১১ শতাংশ ফসফরাস, সমপরিমাণ কপার, ৪৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, ১৪ শতাংশ বি২ এবং ১৫ শতাংশ বি৩ থাকে। এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৫ রয়েছে তেঁতুলে। একই পরিমাণ তেঁতুলে ৬ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন এবং ১ গ্রামের চেয়ে কিছু কম চর্বি থাকে। সব মিলিয়ে ১২০ গ্রাম তেঁতুলে ২৮৭ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুলের ব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় তেঁতুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পানীয় আকারে এটি সাধারণত ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর এবং ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। ক্ষত নিরাময়ের জন্য তেঁতুল গাছের বাকল এবং পাতা ব্যবহারের তথ্যও পাওয়া যায়। বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমন তথ্য রয়েছে।
তেঁতুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হৃদরোগ, ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
তুরস্কের মারমারা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ইন্টার্ন চিকিৎসক পিনার কুরু গবেষণা নিবন্ধটি লেখেন। নিবন্ধটি তেঁতুলের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রভাব নিয়ে। এতে তেঁতুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি সস্তা এবং সহজলভ্য একটি ফল, যা এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড (যা মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি করতে পারে না), ফাইটোকেমিক্যাল এবং ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য সরবরাহকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিতে তেঁতুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, মানুষ প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ হিসেবে তেঁতুল ব্যবহার করে আসছে। তবে রোগ নিরাময়ে এর ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তেঁতুলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুলের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, অ্যামিনো অ্যাসিড, টিস্যু তৈরি ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়, যা প্রোটিনে পাওয়া যায়। তেঁতুলে ট্রিপটোফান ছাড়া সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা একটি আদর্শ প্রোটিনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান পূরণ করে।
তেঁতুলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ডিএনএর ক্ষতি প্রতিরোধ করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ভিটামিন বি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুল ভিটামিন বি সমৃদ্ধ, বিশেষ করে থায়ামিন এবং ফোলেট। যদিও এতে বি ১২ নেই। পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কিশোর এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই খনিজের অভাব দেখা যায়। বিপরীতে তেঁতুল ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে তেঁতুল এই অভাব পূরণ করতে পারে।
বিবিসি গুড ফুডের ওয়েবসাইট থেকেও তেঁতুলের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। যেমন, তেঁতুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, যকৃতের (লিভার) সুরক্ষামূলক এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণু নিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
তবে ওয়েবসাইটটিতে তেঁতুল সবার জন্য নিরাপদ কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, তেঁতুল কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তেঁতুল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সাবধানতার সঙ্গে এটি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে এটি ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। জোলাপ কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে মলত্যাগ সহজ করে।
অরগানিক ফ্যাক্টস নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, যাদের রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁরা তেঁতুল খেলে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে পারেন। এ ছাড়া তেঁতুল অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধের সঙ্গেও বিক্রিয়া করতে করতে পারে। তেঁতুল রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
এ ছাড়া তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সে সঙ্গে বুদ্ধিও কমে—এগুলো নিছক কুসংস্কার বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করে। চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা তেঁতুল খেতে টক, পাকা ফল টক–মিষ্টির এক ভিন্ন স্বাদ। তেঁতুল খাবারে স্বাদ বাড়ায়। এ জন্য মাংসের রোস্ট, পোলাও, খিচুড়িতে ব্যবহার হয়। তেঁতুলের টক, ভর্তা, ডাল অনেকের প্রিয়। এ ছাড়া তেঁতুল তৈরি করা যায় আচার, সস, জ্যাম, চাটনিসহ আরও খাবার। এর বীজ নকশি শিল্পে ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সঙ্গে তেঁতুলের সম্পর্ককে মিথ বা প্রচলিত ধারণা উল্লেখ করে ইউনিসেফ জানায়, ঋতুকালে রক্তস্রাবের সঙ্গে খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই। পিরিয়ডের সময় খাওয়া যাবে না এমন কিছু নেই।
স্পষ্টত, তেঁতুল একটি পুষ্টিকর ফল। এটি খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, বুদ্ধি কমে যায় বা পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে পেটব্যথা করে এবং রক্তস্রাব বেশি হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয়—এসব দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
২ দিন আগেবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রায় ১ মিনিটের একটি বক্তব্যের ভিডিও দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে। গতকাল শনিবার একই ভিডিও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স–এ মিহাদ আহমেদ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করা হয়। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায়
৩ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১০০ টাকার নোটের দুটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসতে শুরু করেছে।
৩ দিন আগে