ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এই স্বাস্থ্যসমস্যা হৃদ্রোগ, মস্তিষ্ক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০২৩ সালের ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে পাঁচ বছর আগের বাংলাদেশে জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ বা ৪ কোটির বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ আক্রান্তের কথা জানেই না! আবার আক্রান্ত জানার পরও ওষুধ সেবন করে মাত্র ৩৬ শতাংশ।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে বিভিন্ন ভুল ধারণা। এর মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি হলো, উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া। কেউ কেউ আবার মনে করেন, খাবার লবণ তাওয়ায় ভেজে খেলে সমস্যা নেই।
এমন ধারণা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত?
এর আগে জেনে নেওয়া যাক, লবণ কীভাবে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে শরীরের পানিধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ রক্তে লবণের পরিমাণ বাড়লে এতে পানি বেড়ে গিয়ে ঘনত্ব কমে যায়। ফলে রক্তের মোট আয়তন (পরিমাণ) বেড়ে যায়। অতিরিক্ত পরিমাণের রক্ত হৃদ্যন্ত্রে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, এতে রক্তপ্রবাহে চাপও বাড়ে।
হৃদ্রোগের চিকিৎসা গবেষণা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভুল ধারণা খণ্ডন করেছে। এর মধ্যে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া নিয়েও আলোচনা করেছে তারা।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, খাবার লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড। সোডিয়াম লবণ কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তচাপ বাড়ায়। সোডিয়াম লবণ নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ কেবল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা নয়, বরং প্যাকেটজাত খাবারের ফুড লেবেলও দেখা। একজন ব্যক্তি দৈনিক যে পরিমাণ লবণ গ্রহণ করেন তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: টমেটো সস, স্যুপ, আচার, কৌটাজাত খাবার ইত্যাদি থেকে। এ কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ফুড লেবেল দেখা জরুরি। ফুড লেবেলে যদি সোডা, সোডিয়াম বা ‘Na’ (সোডিয়ামের প্রতীক) থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ওই খাবারে সোডিয়াম আছে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃত দিয়ে জানায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে দৈনিক ৫ গ্রামেরও কম লবণ গ্রহণ করা উচিত। প্রতি বছর ২৫ লাখ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব, যদি বৈশ্বিকভাবে লবণ গ্রহণের এই পরিমাণ মেনে চলা যায়। তবে এ জন্য কেবল কাঁচা লবণ পরিহার করাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবারের ফুড লেবেলও লক্ষ্য করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে লবণের উপস্থিতি থাকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য মতে, মানুষের দৈনন্দিন সোডিয়ামের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে যেসব খাবার থেকে, সেসব খাবারের মধ্যে আছে— পাউরুটি, পিৎজা, স্যান্ডউইচ, স্যুপ, চিপস, পপকর্ন, বিস্কুটসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার। আবার আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারেও বেশ লবণের উপস্থিতি থাকে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে— কোমল পানীয়, চকলেট, ক্যানডি ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার রক্তচাপ বাড়ানো ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক জটিলতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
অনেকের ধারণা, উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে কাঁচা লবণের পরিবর্তে লবণ ভেজে বা টেলে খেতে হবে। এই ধারণাটিও ভুল। কারণ:
খাবার লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক ৮০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর স্ফুটনাঙ্ক ১ হাজার ৪৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, লবণকে বাষ্পীভূত করতে প্রায় দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে উত্তপ্ত করতে হয়। যেখানে পানি বাষ্পীভূত হয় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সুতরাং, তাওয়ায় লবণ ভেজে নিলেও এর মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড অক্ষত থাকে। উল্টো প্যাকেটজাত খাবার লবণে আয়োডিনের মতো যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যোগ করা হয়, উদ্বায়ী পদার্থ হওয়ায় সামান্য তাপেই সেগুলো উড়ে যায়।
তাহলে দৈনন্দিন লবণ গ্রহণ কমানোর উপায় কী? এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে আছে—
উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এই স্বাস্থ্যসমস্যা হৃদ্রোগ, মস্তিষ্ক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০২৩ সালের ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে পাঁচ বছর আগের বাংলাদেশে জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ বা ৪ কোটির বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ আক্রান্তের কথা জানেই না! আবার আক্রান্ত জানার পরও ওষুধ সেবন করে মাত্র ৩৬ শতাংশ।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে বিভিন্ন ভুল ধারণা। এর মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি হলো, উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া। কেউ কেউ আবার মনে করেন, খাবার লবণ তাওয়ায় ভেজে খেলে সমস্যা নেই।
এমন ধারণা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত?
এর আগে জেনে নেওয়া যাক, লবণ কীভাবে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে শরীরের পানিধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ রক্তে লবণের পরিমাণ বাড়লে এতে পানি বেড়ে গিয়ে ঘনত্ব কমে যায়। ফলে রক্তের মোট আয়তন (পরিমাণ) বেড়ে যায়। অতিরিক্ত পরিমাণের রক্ত হৃদ্যন্ত্রে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, এতে রক্তপ্রবাহে চাপও বাড়ে।
হৃদ্রোগের চিকিৎসা গবেষণা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভুল ধারণা খণ্ডন করেছে। এর মধ্যে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া নিয়েও আলোচনা করেছে তারা।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, খাবার লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড। সোডিয়াম লবণ কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তচাপ বাড়ায়। সোডিয়াম লবণ নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ কেবল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা নয়, বরং প্যাকেটজাত খাবারের ফুড লেবেলও দেখা। একজন ব্যক্তি দৈনিক যে পরিমাণ লবণ গ্রহণ করেন তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: টমেটো সস, স্যুপ, আচার, কৌটাজাত খাবার ইত্যাদি থেকে। এ কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ফুড লেবেল দেখা জরুরি। ফুড লেবেলে যদি সোডা, সোডিয়াম বা ‘Na’ (সোডিয়ামের প্রতীক) থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ওই খাবারে সোডিয়াম আছে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃত দিয়ে জানায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে দৈনিক ৫ গ্রামেরও কম লবণ গ্রহণ করা উচিত। প্রতি বছর ২৫ লাখ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব, যদি বৈশ্বিকভাবে লবণ গ্রহণের এই পরিমাণ মেনে চলা যায়। তবে এ জন্য কেবল কাঁচা লবণ পরিহার করাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবারের ফুড লেবেলও লক্ষ্য করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে লবণের উপস্থিতি থাকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য মতে, মানুষের দৈনন্দিন সোডিয়ামের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে যেসব খাবার থেকে, সেসব খাবারের মধ্যে আছে— পাউরুটি, পিৎজা, স্যান্ডউইচ, স্যুপ, চিপস, পপকর্ন, বিস্কুটসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার। আবার আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারেও বেশ লবণের উপস্থিতি থাকে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে— কোমল পানীয়, চকলেট, ক্যানডি ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার রক্তচাপ বাড়ানো ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক জটিলতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
অনেকের ধারণা, উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে কাঁচা লবণের পরিবর্তে লবণ ভেজে বা টেলে খেতে হবে। এই ধারণাটিও ভুল। কারণ:
খাবার লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক ৮০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর স্ফুটনাঙ্ক ১ হাজার ৪৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, লবণকে বাষ্পীভূত করতে প্রায় দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে উত্তপ্ত করতে হয়। যেখানে পানি বাষ্পীভূত হয় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সুতরাং, তাওয়ায় লবণ ভেজে নিলেও এর মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড অক্ষত থাকে। উল্টো প্যাকেটজাত খাবার লবণে আয়োডিনের মতো যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যোগ করা হয়, উদ্বায়ী পদার্থ হওয়ায় সামান্য তাপেই সেগুলো উড়ে যায়।
তাহলে দৈনন্দিন লবণ গ্রহণ কমানোর উপায় কী? এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে আছে—
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
২ দিন আগেবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রায় ১ মিনিটের একটি বক্তব্যের ভিডিও দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে আসছে। গতকাল শনিবার একই ভিডিও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স–এ মিহাদ আহমেদ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করা হয়। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময় ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায়
৩ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় টাকা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১০০ টাকার নোটের দুটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিমুক্ত নতুন নোট আসতে শুরু করেছে।
৩ দিন আগে