ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রামযুক্ত শিক্ষামূলক আধেয় প্রচারকারী বিভিন্ন পেজ থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১২৩ তম, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’
শিক্ষামূলক এসব পেজের মধ্যে রয়েছে— ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সংবাদ’, ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’, ‘এডুকেশন নিউজ (Education News)’। তথ্যটি বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে ভাইরাল এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুক পোস্টগুলোর কমেন্টবক্স যাচাই করে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। যদিও কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে বিগত ২০২২, ২০২৩ সালেও তথ্যটি প্রচার হতে দেখা গেছে। যেমন, ২০২৩ সালের ১৪ মে ‘বাংলায় আইইএলটিএস (Banglay IELTS)’ নামের একটি পেজ থেকে একই তথ্য পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টা দেশের মধ্যে ১২৩ তম। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে দাবি করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টা দেশের মধ্যে ১২২ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’
দীর্ঘদিন ধরে তথ্যটি প্রচার হয়ে এলেও এর সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণে ২০২২ সালের ১৭ জুন ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
এতে তিনটি বৈশ্বিক শিক্ষা সূচকে ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, শিক্ষার মান তুলে ধরে এমন তিনটি বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ খারাপ। এর মধ্যে দুটি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। বৈশ্বিক শিক্ষা সূচক তিনটি হলো— বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক, বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স।
এর মধ্যে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ২০২১ সালে ১৫৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২০ তম। সাতটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তৈরি এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল যথাক্রমে পাকিস্তান (১২৩), নেপাল (১২৮) ও আফগানিস্তান (১৫১)। দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা (৮৬)। ভারত ও ভুটান ছিল যথাক্রমে ৯৭ ও ১০৮ তম স্থানে ৷
গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স, যেটি ফ্রান্সভিত্তিক বিজনেস স্কুল ‘ইনসিড’ ও ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘পোর্টল্যান্ড ইনস্টিটিউট’ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালের এই ইনডেক্সে ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৩ তম। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সবার নীচে। এই অঞ্চলে শীর্ষে ছিল ভারত (৮৮)। এরপর ছিল শ্রীলঙ্কা (৯৩), পাকিস্তান (১০৭) ও নেপাল (১১৩) ৷
জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের প্রকাশিত ২০২১ সালের বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ১৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬ নম্বরে। এই সূচকেও তখন্ দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে ছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান ছিল— ভারত (৪৬), শ্রীলঙ্কা (৯৫), পাকিস্তান (৯৯) ও নেপাল (১১১)।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে বৈশ্বিক শিক্ষা সূচক তিনটিতে বাংলাদেশের সবশেষ অবস্থান খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
এর মধ্যে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক ২০২৩ এ ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে পাকিস্তান, সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১১৭ তম। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে নেপাল, দেশটির অবস্থান ১০১ তম। ভারতের অবস্থান ৯৫ তম, ভূটান ৯৩ তম এবং শ্রীলঙ্কা ৯১ তম। সূচকে মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের অবস্থান নেই। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছয়টি দেশের মধ্যে পঞ্চম।
বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক ২০২৩ থেকে দেখা যায়, এই সূচকে ১৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫ তম। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে নেপাল। সূচকে নেপালের অবস্থান ১০৮ তম। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, দেশটির অবস্থান ৯০ তম। পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮ তম, ভারতের অবস্থান ৪০ তম। সূচকে ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের অবস্থান নেই। সূচকে পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ।
গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স ২০২৩ এ ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তান (১০৯), ভারত (১০৩), নেপাল (১০৭) এবং শ্রীলঙ্কা (৯০)। এই সূচকেও ভূটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের কোনো অবস্থান নেই এবং বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচটি দেশের মধ্যে সবার নিচে।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে দাবিটির সূত্রপাত খোঁজার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দেখা যায়, এ দাবির সম্ভাব্য সূত্রপাত মূলত ২০২০ সালের বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক থেকে। ওই বছরের এই সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১১২ তম অবস্থানে ছিল এবং সেসময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সবার নিচে। ধারণা করা যায়, এ তথ্যটিই বিকৃত হয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট, কোনো দেশের শিক্ষার মান তুলে ধরা হয় প্রধানত তিনটি বৈশ্বিক সূচকের আলোকে। কিন্তু এ সূচকগুলোর কোনোটিই উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১২৩তম এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রামযুক্ত শিক্ষামূলক আধেয় প্রচারকারী বিভিন্ন পেজ থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১২৩ তম, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’
শিক্ষামূলক এসব পেজের মধ্যে রয়েছে— ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সংবাদ’, ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’, ‘এডুকেশন নিউজ (Education News)’। তথ্যটি বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে ভাইরাল এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুক পোস্টগুলোর কমেন্টবক্স যাচাই করে কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। যদিও কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে বিগত ২০২২, ২০২৩ সালেও তথ্যটি প্রচার হতে দেখা গেছে। যেমন, ২০২৩ সালের ১৪ মে ‘বাংলায় আইইএলটিএস (Banglay IELTS)’ নামের একটি পেজ থেকে একই তথ্য পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টা দেশের মধ্যে ১২৩ তম। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে দাবি করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টা দেশের মধ্যে ১২২ তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।’
দীর্ঘদিন ধরে তথ্যটি প্রচার হয়ে এলেও এর সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণে ২০২২ সালের ১৭ জুন ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
এতে তিনটি বৈশ্বিক শিক্ষা সূচকে ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, শিক্ষার মান তুলে ধরে এমন তিনটি বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ খারাপ। এর মধ্যে দুটি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। বৈশ্বিক শিক্ষা সূচক তিনটি হলো— বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক, বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স।
এর মধ্যে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ২০২১ সালে ১৫৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২০ তম। সাতটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তৈরি এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল যথাক্রমে পাকিস্তান (১২৩), নেপাল (১২৮) ও আফগানিস্তান (১৫১)। দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা (৮৬)। ভারত ও ভুটান ছিল যথাক্রমে ৯৭ ও ১০৮ তম স্থানে ৷
গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স, যেটি ফ্রান্সভিত্তিক বিজনেস স্কুল ‘ইনসিড’ ও ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘পোর্টল্যান্ড ইনস্টিটিউট’ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালের এই ইনডেক্সে ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৩ তম। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সবার নীচে। এই অঞ্চলে শীর্ষে ছিল ভারত (৮৮)। এরপর ছিল শ্রীলঙ্কা (৯৩), পাকিস্তান (১০৭) ও নেপাল (১১৩) ৷
জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের প্রকাশিত ২০২১ সালের বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ১৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬ নম্বরে। এই সূচকেও তখন্ দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে ছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান ছিল— ভারত (৪৬), শ্রীলঙ্কা (৯৫), পাকিস্তান (৯৯) ও নেপাল (১১১)।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে বৈশ্বিক শিক্ষা সূচক তিনটিতে বাংলাদেশের সবশেষ অবস্থান খুঁজে দেখে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
এর মধ্যে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক ২০২৩ এ ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে পাকিস্তান, সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১১৭ তম। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে নেপাল, দেশটির অবস্থান ১০১ তম। ভারতের অবস্থান ৯৫ তম, ভূটান ৯৩ তম এবং শ্রীলঙ্কা ৯১ তম। সূচকে মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের অবস্থান নেই। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছয়টি দেশের মধ্যে পঞ্চম।
বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক ২০২৩ থেকে দেখা যায়, এই সূচকে ১৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫ তম। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে নেপাল। সূচকে নেপালের অবস্থান ১০৮ তম। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, দেশটির অবস্থান ৯০ তম। পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮ তম, ভারতের অবস্থান ৪০ তম। সূচকে ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের অবস্থান নেই। সূচকে পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ।
গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স ২০২৩ এ ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তান (১০৯), ভারত (১০৩), নেপাল (১০৭) এবং শ্রীলঙ্কা (৯০)। এই সূচকেও ভূটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের কোনো অবস্থান নেই এবং বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচটি দেশের মধ্যে সবার নিচে।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে দাবিটির সূত্রপাত খোঁজার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এতে দেখা যায়, এ দাবির সম্ভাব্য সূত্রপাত মূলত ২০২০ সালের বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক থেকে। ওই বছরের এই সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১১২ তম অবস্থানে ছিল এবং সেসময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সবার নিচে। ধারণা করা যায়, এ তথ্যটিই বিকৃত হয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট, কোনো দেশের শিক্ষার মান তুলে ধরা হয় প্রধানত তিনটি বৈশ্বিক সূচকের আলোকে। কিন্তু এ সূচকগুলোর কোনোটিই উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের শিক্ষার মান ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১২৩তম এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
৬ ঘণ্টা আগেভোলার বোরহানউদ্দিনে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে অর্ধশত স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিকাগুলো ‘বিষাক্ত’ ছিল। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
১০ ঘণ্টা আগেদাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ‘ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মন্তব্যে দাবি করা হচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার–উজ–জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের লাশের বন্যা ও মৃত্যু চাননি। তাই তিনি পদত্যাগ না করেই ভারতে চলে যান।
৩ দিন আগে