ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘ওনার জন্যই শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিল’—এমন শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে রাজকীয় পোশাকে সজ্জিত এক নারীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ‘বিংশ শতাব্দী’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ১৭ মিনিটে দেওয়া এমন একটি পোস্টে প্রায় ৩ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। ছবিটিতে মন্তব্য পড়েছে চার শর কাছাকাছি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
অনন্যা মজুমদার নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো রূপ খোঁজে না। সুন্দর চেহারা দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা মনের ব্যাপার।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘ভালোবাসা সুন্দর, রংহীন।’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যে ভালোবেসেছিল কেবল সেই জানে, তার কাছে সে কতটা মূল্যবান ছিল।’
ছবিটি কি সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে স্টক ফটোর ওয়েবসাইট অ্যালামিতে সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ছবিটির পরিচয়ে বলা হয়েছে, রাজকীয় পোশাকে সজ্জিত এই নারীর নাম শাহ জাহান বেগম। তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের রানি ছিলেন। তিনি ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক নিবন্ধিত দাতব্য সংস্থা রয়্যাল কালেকশন ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ছবিটির পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছবিতে থাকা নারীর নাম সুলতান শাহজাহান বেগম।
ছবিটির বিবরণে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজত্বের সঙ্গে ভারতের শাসকদের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ব্রিটেনের তৎকালীন রানি ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে বড় ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস আলবার্ট এডওয়ার্ড ১৮৭৫ সালের অক্টোবরে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরে আসেন। ওই সময় তিনি ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেপালের ২১টি শহর এবং রাজ্য পরিদর্শন করেন। ১৮৭৬ সালের মে মাসে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান।
এই সফরের ছয়টি ছবির অ্যালবাম তৈরি করা হয়েছিল। সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের দাবিতে ভাইরাল ছবিটি এমনই একটি অ্যালবাম থেকে নেওয়া। ছবিটি তুলেছিল ভারতের কলকাতা, মুম্বাই এবং সিমলাতে ছবির স্টুডিও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বোর্ন ও শেফার্ড।
ভাইরাল ছবিটির নারীর পরিচয় প্রসঙ্গে পাকিস্তান ভিত্তিক দ্য ফ্রাইডে টাইমস নামের একটি সাপ্তাহিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ ভাইরাল ছবিটি সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের না। এটি ভারতের ভোপালের শাসক শাহজাহান বেগমের।
সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহল
অনুসন্ধানে তাজমহলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের ছবি পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটে মমতাজ মহলের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ১৫৯৩ সালের এপ্রিলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আর্জুমান্দ বানু বেগম। তিনি ১৬৩১ সালের ১৭ জুন মারা যান। তাঁর সমাধিকে কেন্দ্র করেই তাজমহল নির্মাণ করেন সম্রাট শাহজাহান।
‘ওনার জন্যই শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিল’—এমন শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে রাজকীয় পোশাকে সজ্জিত এক নারীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ‘বিংশ শতাব্দী’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ১৭ মিনিটে দেওয়া এমন একটি পোস্টে প্রায় ৩ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। ছবিটিতে মন্তব্য পড়েছে চার শর কাছাকাছি। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
অনন্যা মজুমদার নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো রূপ খোঁজে না। সুন্দর চেহারা দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা মনের ব্যাপার।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘ভালোবাসা সুন্দর, রংহীন।’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যে ভালোবেসেছিল কেবল সেই জানে, তার কাছে সে কতটা মূল্যবান ছিল।’
ছবিটি কি সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে স্টক ফটোর ওয়েবসাইট অ্যালামিতে সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ছবিটির পরিচয়ে বলা হয়েছে, রাজকীয় পোশাকে সজ্জিত এই নারীর নাম শাহ জাহান বেগম। তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের রানি ছিলেন। তিনি ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক নিবন্ধিত দাতব্য সংস্থা রয়্যাল কালেকশন ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে ছবিটির পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছবিতে থাকা নারীর নাম সুলতান শাহজাহান বেগম।
ছবিটির বিবরণে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজত্বের সঙ্গে ভারতের শাসকদের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ব্রিটেনের তৎকালীন রানি ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে বড় ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস আলবার্ট এডওয়ার্ড ১৮৭৫ সালের অক্টোবরে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরে আসেন। ওই সময় তিনি ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেপালের ২১টি শহর এবং রাজ্য পরিদর্শন করেন। ১৮৭৬ সালের মে মাসে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যান।
এই সফরের ছয়টি ছবির অ্যালবাম তৈরি করা হয়েছিল। সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজের দাবিতে ভাইরাল ছবিটি এমনই একটি অ্যালবাম থেকে নেওয়া। ছবিটি তুলেছিল ভারতের কলকাতা, মুম্বাই এবং সিমলাতে ছবির স্টুডিও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বোর্ন ও শেফার্ড।
ভাইরাল ছবিটির নারীর পরিচয় প্রসঙ্গে পাকিস্তান ভিত্তিক দ্য ফ্রাইডে টাইমস নামের একটি সাপ্তাহিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ ভাইরাল ছবিটি সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের না। এটি ভারতের ভোপালের শাসক শাহজাহান বেগমের।
সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহল
অনুসন্ধানে তাজমহলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের ছবি পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটে মমতাজ মহলের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ১৫৯৩ সালের এপ্রিলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আর্জুমান্দ বানু বেগম। তিনি ১৬৩১ সালের ১৭ জুন মারা যান। তাঁর সমাধিকে কেন্দ্র করেই তাজমহল নির্মাণ করেন সম্রাট শাহজাহান।
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১৫ ঘণ্টা আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগে