নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যে বয়সে আট-দশটা শিশু হাঁটতে পারে, সে বয়সে রায়হানকে বসিয়ে দিতে হয়। ২২ মাস বয়সী এই শিশু ওঠাবসা করতে পারে না। চিকিৎসকদের ভাষায়, স্পাইনাল মাসক্যুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) নামে স্নায়ুরোগে ভুগছে মানিকগঞ্জ সদরের সৌদিপ্রবাসী বাবার সন্তান রায়হান।
তারা বলছেন, বিরল এই জটিল রোগ জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগীদের স্বাভাবিক বুদ্ধি থাকলেও ঘাড় শক্ত হয় না, শরীর তেমন নড়াচড়া করাতে পারে না। তাঁরা বসতে বা দাঁড়াতে পারে না; ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এতে করে শিশুর মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়, এক পর্যায়ে রোগীর মৃত্যু হয়।
জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও শিশু নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মনির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরল এই রোগে আমাদের দেশে বহু শিশু আক্রান্ত। তবে চিকিৎসা নিয়ে নানা জটিলতা ছিল। যেহেতু এটা জিনগত রোগ, তাই চিকিৎসাটা ভিন্ন। কোনো শিশু এসএমএ রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা ও পর্যালোচনা করতে হয়। সে অনুযায়ী রায়হানকে আমরা সাসপেক্টেটেড হিসেবে ধরি। গতকাল সোমবার তার জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সে সুস্থ আছে। যেহেতু চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তাই প্রথম রোগীকে এই চিকিৎসা দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’
এই হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক ডা. গালিব জানান, বিশ্বে ২ হাজার ৩০০ জন রোগীকে জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশ আমেরিকার। বাংলাদেশে এটাই প্রথম। জন্মের পর থেকে শিশুরা ঠিকমতো নড়াচড়া করছে কিনা, ঘাড় শক্ত কিনা বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। বাবা-মায়ের মাধ্যমে না হলেও প্রথম সন্তান এ রোগের শিকার হলে পরবর্তী সন্তানেরা ঝুঁকিতে থাকে।
সম্প্রতি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস এই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য জোলগেনসমা (zolgensma) নামের এই জিন থেরাপি তৈরি করেছে। এটি কেবল দুই বছরের শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এই ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। একটি মাত্র ডোজের এই থেরাপির ব্যয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। নোভার্টিস ম্যানেজড এক্সেস প্রোগ্রামের আওতায় বিনামূল্যে এই থেরাপি দিচ্ছে নোভার্টিস।
বাংলাদেশে শিশু স্নায়ু রোগীর সঠিক সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য নেই চিকিৎসকদের কাছে। রাজধানীর জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বর্তমানে ৫০ জন শিশু চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্তত ৩০ জন স্নায়ুরোগের শিশু আসে।
এর বাইরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালেও এই ধরনের শিশুরা চিকিৎসার জন্য আসে।
যে বয়সে আট-দশটা শিশু হাঁটতে পারে, সে বয়সে রায়হানকে বসিয়ে দিতে হয়। ২২ মাস বয়সী এই শিশু ওঠাবসা করতে পারে না। চিকিৎসকদের ভাষায়, স্পাইনাল মাসক্যুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) নামে স্নায়ুরোগে ভুগছে মানিকগঞ্জ সদরের সৌদিপ্রবাসী বাবার সন্তান রায়হান।
তারা বলছেন, বিরল এই জটিল রোগ জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগীদের স্বাভাবিক বুদ্ধি থাকলেও ঘাড় শক্ত হয় না, শরীর তেমন নড়াচড়া করাতে পারে না। তাঁরা বসতে বা দাঁড়াতে পারে না; ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এতে করে শিশুর মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়, এক পর্যায়ে রোগীর মৃত্যু হয়।
জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও শিশু নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মনির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিরল এই রোগে আমাদের দেশে বহু শিশু আক্রান্ত। তবে চিকিৎসা নিয়ে নানা জটিলতা ছিল। যেহেতু এটা জিনগত রোগ, তাই চিকিৎসাটা ভিন্ন। কোনো শিশু এসএমএ রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা ও পর্যালোচনা করতে হয়। সে অনুযায়ী রায়হানকে আমরা সাসপেক্টেটেড হিসেবে ধরি। গতকাল সোমবার তার জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সে সুস্থ আছে। যেহেতু চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তাই প্রথম রোগীকে এই চিকিৎসা দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’
এই হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক ডা. গালিব জানান, বিশ্বে ২ হাজার ৩০০ জন রোগীকে জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশ আমেরিকার। বাংলাদেশে এটাই প্রথম। জন্মের পর থেকে শিশুরা ঠিকমতো নড়াচড়া করছে কিনা, ঘাড় শক্ত কিনা বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। বাবা-মায়ের মাধ্যমে না হলেও প্রথম সন্তান এ রোগের শিকার হলে পরবর্তী সন্তানেরা ঝুঁকিতে থাকে।
সম্প্রতি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস এই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য জোলগেনসমা (zolgensma) নামের এই জিন থেরাপি তৈরি করেছে। এটি কেবল দুই বছরের শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এই ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। একটি মাত্র ডোজের এই থেরাপির ব্যয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। নোভার্টিস ম্যানেজড এক্সেস প্রোগ্রামের আওতায় বিনামূল্যে এই থেরাপি দিচ্ছে নোভার্টিস।
বাংলাদেশে শিশু স্নায়ু রোগীর সঠিক সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য নেই চিকিৎসকদের কাছে। রাজধানীর জাতীয় নিউরো সায়েন্সেস ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বর্তমানে ৫০ জন শিশু চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্তত ৩০ জন স্নায়ুরোগের শিশু আসে।
এর বাইরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালেও এই ধরনের শিশুরা চিকিৎসার জন্য আসে।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে