অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
আজ ১১ জুলাই ২০২৪ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এই দিনকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গসমতা, দারিদ্র, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করছে।
বছরের প্রতিপাদ্যের প্রথম অংশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজ নিজ জায়গা থেকে আশপাশের সবার জন্য যেটুকু সম্ভব কাজ করে যেতে হবে। চলতি সময়ে অটিজম নিয়ে মানুষ সচেতন হচ্ছে। এই সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে নয়, ব্যক্তিগত জায়গা থেকে। অটিজম নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো যেন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে ও অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা যেন স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুবিধাটুকু পায় তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে জনগনকেই।
বাংলাদেশের মানুষদের গড় আয়ু ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০৫০ সালে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স হবে ৬৫ এর উর্ধ্বে। ফলে যদি বর্তমানে চোখ রাখি তাহলে দেখা যায়, এখনই বৈশ্বিক চালচিত্রে প্রতি ৩ সেকেন্ডে ১ জন একজন যেমন স্মৃতি ভ্রষ্টতা বা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনি একই হারে আত্মহত্যাও করছেন। এবার প্রতিপাদ্য়ের শেষ অংশ একটু বিশদভাবে খুলে দেখি। বলা হয়েছে, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি। এই সাম্যতা কি শুধুমাত্র সুস্থ মানুষটার জন্য? নিরাময়অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত বা বিষণ্নতায় ভুগছেন যে মানুষগুলো তাদের কাছে কি এই সাম্যতা প্রাপ্তির সুযোগ, সক্ষমতা, সামর্থ রয়েছে? ফলে এখনই সময় সচেতন হওয়ার।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে যদি কেবল স্বাস্থ্য় ও চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকেই চোখ রাখি তাহলে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বর্তমানে ৮ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৮০ হাজারের বেশি শিশুর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদা রয়েছে। অথচ এই সেবা ব্যবস্থা ভয়ংকর ভাবে ঢাকা কেন্দ্রিক। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারী পুরুষ এবং শিশুদের জন্য হাসপাতালে ১০০টিও কম বিছানা আছে।
ক্রমাগত উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্লাস্টিকের উপস্থিতি, বাতাসে তীব্রমাত্রার সীসা আমাদের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এসবই হচ্ছে নির্মম বাস্তবতা। কিন্তু আমাদেরকে সচেতন হতে হবে নিজেদের প্রয়োজনে। অন্যথায় এমন করে একটা দিবস আসবে আর চলে যাবে। কোন লাভ হবে না। আজ বা আগামীকাল যদি আপনি বা আমি, অথবা আপনার বা আমার পরিবারের কেউ ভবিষ্যতে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত হই বা হন, তাহলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করে সাম্যের ভিত্তিতে কতটুকু সহনশীল সেবা দিতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত?
এবার নিজেদের কথা বলি তাহলে বলতে হবে, ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও এ বিষয়ে বিস্তর জানতে হবে। বাংলাদেশের মতো সীমিত আয়ের দেশে সরকারের পক্ষে হয়ত সব করা সম্ভব নয়। আমার দেশের জন্য আমি কি করছি? আঙ্গুলটি প্রথমে নিজের দিকে তোলা এখন সময়ের দাবী।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
আজ ১১ জুলাই ২০২৪ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এই দিনকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গসমতা, দারিদ্র, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করছে।
বছরের প্রতিপাদ্যের প্রথম অংশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজ নিজ জায়গা থেকে আশপাশের সবার জন্য যেটুকু সম্ভব কাজ করে যেতে হবে। চলতি সময়ে অটিজম নিয়ে মানুষ সচেতন হচ্ছে। এই সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে নয়, ব্যক্তিগত জায়গা থেকে। অটিজম নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো যেন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে ও অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা যেন স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুবিধাটুকু পায় তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে জনগনকেই।
বাংলাদেশের মানুষদের গড় আয়ু ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০৫০ সালে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স হবে ৬৫ এর উর্ধ্বে। ফলে যদি বর্তমানে চোখ রাখি তাহলে দেখা যায়, এখনই বৈশ্বিক চালচিত্রে প্রতি ৩ সেকেন্ডে ১ জন একজন যেমন স্মৃতি ভ্রষ্টতা বা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনি একই হারে আত্মহত্যাও করছেন। এবার প্রতিপাদ্য়ের শেষ অংশ একটু বিশদভাবে খুলে দেখি। বলা হয়েছে, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি। এই সাম্যতা কি শুধুমাত্র সুস্থ মানুষটার জন্য? নিরাময়অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত বা বিষণ্নতায় ভুগছেন যে মানুষগুলো তাদের কাছে কি এই সাম্যতা প্রাপ্তির সুযোগ, সক্ষমতা, সামর্থ রয়েছে? ফলে এখনই সময় সচেতন হওয়ার।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে যদি কেবল স্বাস্থ্য় ও চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকেই চোখ রাখি তাহলে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বর্তমানে ৮ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৮০ হাজারের বেশি শিশুর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদা রয়েছে। অথচ এই সেবা ব্যবস্থা ভয়ংকর ভাবে ঢাকা কেন্দ্রিক। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারী পুরুষ এবং শিশুদের জন্য হাসপাতালে ১০০টিও কম বিছানা আছে।
ক্রমাগত উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্লাস্টিকের উপস্থিতি, বাতাসে তীব্রমাত্রার সীসা আমাদের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এসবই হচ্ছে নির্মম বাস্তবতা। কিন্তু আমাদেরকে সচেতন হতে হবে নিজেদের প্রয়োজনে। অন্যথায় এমন করে একটা দিবস আসবে আর চলে যাবে। কোন লাভ হবে না। আজ বা আগামীকাল যদি আপনি বা আমি, অথবা আপনার বা আমার পরিবারের কেউ ভবিষ্যতে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত হই বা হন, তাহলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করে সাম্যের ভিত্তিতে কতটুকু সহনশীল সেবা দিতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত?
এবার নিজেদের কথা বলি তাহলে বলতে হবে, ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও এ বিষয়ে বিস্তর জানতে হবে। বাংলাদেশের মতো সীমিত আয়ের দেশে সরকারের পক্ষে হয়ত সব করা সম্ভব নয়। আমার দেশের জন্য আমি কি করছি? আঙ্গুলটি প্রথমে নিজের দিকে তোলা এখন সময়ের দাবী।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
এমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
১ দিন আগেসারা বিশ্বে হাম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। হামের টিকা প্রদা
১ দিন আগেশীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
১ দিন আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
১ দিন আগে