নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কয়েক বছর ধরে অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া (হাইড্রোসিল) রোগে ভুগছিলেন রংপুরের গঙ্গাচড়ার হাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না নেওয়ায় সেটি মাত্রাতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে পরিবার, প্রতিবেশী ও সমাজে নানাভাবে অবমাননার শিকার হন ষাটোর্ধ্ব এই কৃষক। বেসরকারিভাবে একাধিকবার চিকিৎসার পরও সুস্থ না হওয়ায় একপর্যায়ে হতাশ হন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) উদ্যোগে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। আবারও সুস্থ জীবন ফিরে পান তিনি।
শুধু হাফিজুর নন দেশে অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া এমন ১৬ হাজারের বেশি রোগী নানাভাবে অবহেলার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অনেকে লজ্জার কারণে কাউকে অসুখের কথাও বলেন না। এ ছাড়া অস্ত্রোপচার ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে এ রোগের চিকিৎসাও করাতে পারেন না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এবং আইসিডিডিআরবির উদ্যোগে এখন পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ হাজার ৪১ রোগী।
আইসিডিডিআরবি বলছে, কিউলেক্স মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় পরজীবীঘটিত রোগ ফাইলেরিয়াসিস। আক্রান্ত অঙ্গের ফুলে যাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ঘন ঘন জ্বর হওয়া হলো এই রোগের প্রধান উপসর্গ। যা আক্রান্ত ব্যক্তির দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন মাত্রায় শারীরিক অক্ষমতার কারণ হতে পারে। ফাইলেরিয়াসিসে আক্রান্ত পুরুষ রোগীর অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে, যা হাইড্রোসিল নামে পরিচিত। নারীদের ক্ষেত্রে পা, যৌনাঙ্গ ফুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুরুষ।
অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগী শনাক্ত করতে, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা দুই বছর একটি সমীক্ষা চালায় আইসিডিডিআরবি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৫৭ হাজার ৪৩০ জন নারী ও পুরুষের কেস স্টাডি করে। আজ সোমবার সকালে এই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। সমীক্ষায় ৩২ হাজার ৬০৮ জনের ফাইলেরিয়াসিস পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ২৬ হাজার ৫১৬ জনের অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ পাওয়া গেছে। বাকিরা পা ফুলে যাওয়াসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
সমীক্ষায় দেখা যায়, তুলনামূলক অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ বেশি ছড়িয়েছে দেশের ৩৪ জেলায়। এর মধ্যে ১৯টি জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাকি ১৫টি জেলাকে তুলনামূলক কম প্রাদুর্ভাব এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকির জেলার মধ্যে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, বরগুনা বরিশাল, ঝালকাঠি পটুয়াখালী পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ।
এই রোগ প্রতিরোধে ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর শিশুদের ফাইলেরিয়ার একটি ট্যাবলেট খাওয়ানো হতো। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এই রোগে আক্রান্তের হার প্রতি লাখে একজনে নামিয়ে আনা। এই কর্মসূচির ফলে সেটি অর্জনও করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনো কিছু জেলায় এ রোগের প্রকোপ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগীরা আমাদের সমাজেরই মানুষ। কিন্তু তারা পরিবারেই নানাভাবে অবহেলিত। তাদের চিকিৎসায় প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকেই হয়। কিন্তু এ ধরনের রোগীরা সবকিছু গোপন করতে চান। গত ৫০ বছরে এই রোগের চিকিৎসার মান অনেক বেড়েছে। তবে আমাদেরও সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।’
কয়েক বছর ধরে অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া (হাইড্রোসিল) রোগে ভুগছিলেন রংপুরের গঙ্গাচড়ার হাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না নেওয়ায় সেটি মাত্রাতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে পরিবার, প্রতিবেশী ও সমাজে নানাভাবে অবমাননার শিকার হন ষাটোর্ধ্ব এই কৃষক। বেসরকারিভাবে একাধিকবার চিকিৎসার পরও সুস্থ না হওয়ায় একপর্যায়ে হতাশ হন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) উদ্যোগে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। আবারও সুস্থ জীবন ফিরে পান তিনি।
শুধু হাফিজুর নন দেশে অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া এমন ১৬ হাজারের বেশি রোগী নানাভাবে অবহেলার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অনেকে লজ্জার কারণে কাউকে অসুখের কথাও বলেন না। এ ছাড়া অস্ত্রোপচার ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে এ রোগের চিকিৎসাও করাতে পারেন না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এবং আইসিডিডিআরবির উদ্যোগে এখন পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ হাজার ৪১ রোগী।
আইসিডিডিআরবি বলছে, কিউলেক্স মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় পরজীবীঘটিত রোগ ফাইলেরিয়াসিস। আক্রান্ত অঙ্গের ফুলে যাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ঘন ঘন জ্বর হওয়া হলো এই রোগের প্রধান উপসর্গ। যা আক্রান্ত ব্যক্তির দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন মাত্রায় শারীরিক অক্ষমতার কারণ হতে পারে। ফাইলেরিয়াসিসে আক্রান্ত পুরুষ রোগীর অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে, যা হাইড্রোসিল নামে পরিচিত। নারীদের ক্ষেত্রে পা, যৌনাঙ্গ ফুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুরুষ।
অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগী শনাক্ত করতে, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা দুই বছর একটি সমীক্ষা চালায় আইসিডিডিআরবি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৫৭ হাজার ৪৩০ জন নারী ও পুরুষের কেস স্টাডি করে। আজ সোমবার সকালে এই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। সমীক্ষায় ৩২ হাজার ৬০৮ জনের ফাইলেরিয়াসিস পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ২৬ হাজার ৫১৬ জনের অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ পাওয়া গেছে। বাকিরা পা ফুলে যাওয়াসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
সমীক্ষায় দেখা যায়, তুলনামূলক অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ বেশি ছড়িয়েছে দেশের ৩৪ জেলায়। এর মধ্যে ১৯টি জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাকি ১৫টি জেলাকে তুলনামূলক কম প্রাদুর্ভাব এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকির জেলার মধ্যে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, বরগুনা বরিশাল, ঝালকাঠি পটুয়াখালী পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ।
এই রোগ প্রতিরোধে ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর শিশুদের ফাইলেরিয়ার একটি ট্যাবলেট খাওয়ানো হতো। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এই রোগে আক্রান্তের হার প্রতি লাখে একজনে নামিয়ে আনা। এই কর্মসূচির ফলে সেটি অর্জনও করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনো কিছু জেলায় এ রোগের প্রকোপ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগীরা আমাদের সমাজেরই মানুষ। কিন্তু তারা পরিবারেই নানাভাবে অবহেলিত। তাদের চিকিৎসায় প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকেই হয়। কিন্তু এ ধরনের রোগীরা সবকিছু গোপন করতে চান। গত ৫০ বছরে এই রোগের চিকিৎসার মান অনেক বেড়েছে। তবে আমাদেরও সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।’
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে