অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
নতুন বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ডিজিটাল হাতিয়ারের কল্যাণে ওষুধের উদ্ভাবন ও বিকাশে রোগীর যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার বিজনেস মডেলে আসবে অভূতপূর্ব অগ্রগতি। ২০২৪ সাল হবে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে এক চাঞ্চল্যকর অগ্রযাত্রার বছর।
হেলথ কেয়ার অনবরত বদলে চলা এক ক্ষেত্র। অনেক পরিবর্তন আর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এই সেবা। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। সেসব মানুষের দীর্ঘায়ু লাভে কোনো না কোনোভাবে কাজ করছে। এতে রোগসেবায় চিকিৎসক কীভাবে নিজেদের নিয়োজিত করবেন, রোগ নির্ণয় করবেন আর চিকিৎসা করবেন, সেসব ব্যাপারে আসবে প্রধান বদল।
যেসব বদল আসতে পারে
সেন্সরভিত্তিক ডেটা সংগ্রহ
বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি হয়েছে যে বিশেষ করে দৈনন্দিন পরামর্শ আর প্রতিদিনের ডেটা সংগ্রহ করা হবে রোগীর ঘর থেকে। এই উদ্ভাবন রোগীর জীবনে অনেক ধকল কমাবে। বিভিন্ন হেলথ কেয়ার সেবাদানকারীর কাছ থেকে তথ্য সমন্বয় করা হবে। এতে রোগীর স্বাস্থ্যের যত্নের পথ আরও সুগম ও মসৃণ হবে। প্রযুক্তির এই লাইন বদলের ফলে অতিরিক্ত ও বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর করতে হবে না। চিকিৎসক এখন ব্যাপক তথ্যের নাগাল পাবেন। তাতে রোগনির্ণয় হবে দ্রুত।
এআইয়ের খেলা হবে
প্রযুক্তির বিবর্তন স্পর্শ করবে রোগীর মনিটরিং বা তদারকি পর্যন্ত। হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রোগী ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার সিগন্যাল চলে যাবে মনিটরে। শরীরের ভেতরে তড়িৎ সংকেত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত ও ব্যাখ্যা করা শুরু হবে। রূপান্তরের এই দৃশ্যপটে মূল ভূমিকায় থাকবে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ ধরনের প্রযুক্তি দ্রুত চিহ্নিত করবে রোগ, স্ট্রোকের মতো রোগ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই সমন্বিত, বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই হচ্ছে এখন চিকিৎসার মূল স্তম্ভ। স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান এআইভিত্তিক হলে তা একদিকে দেবে দ্রুত সুস্থ হওয়ার নিশ্চয়তা, অন্যদিকে ইমেজিং ও ইন্টারভেনশনের মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে এনেছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যেহেতু এলগারিদম নির্বিঘ্নে এআইয়ের সঙ্গে সমন্বিত হয়, সে জন্য ভবিষ্যতে আরও নির্ভুল রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত হবে। হেলথ কেয়ারের এই রূপান্তরযাত্রায় এআই হবে মূল চালিকাশক্তি।
প্রিসিশন মেডিসিন
অনকোলজির মতো নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে জেনেটিক স্টাডি খুলে দিয়েছে প্রিসিশন মেডিসিনের দুয়ার। এতে স্বাস্থ্যসেবা হবে অনেকটা লক্ষ্য নির্দিষ্ট বা টার্গেটেড। ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে সফলতা আসবে বেশি। এর প্রয়োগ হবে জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে। রোগীর জেনেটিক ঝুঁকি আগেভাগে জানিয়ে দেওয়ায় কমে আসবে স্বাস্থ্যসেবার খরচ আর জীবনের মান হবে উন্নত। এই প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ বা নির্ভুল বা স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি বেশি প্রয়োগ হবে অনকোলজিতে। তাতে কার্যকর হবে ক্যানসার চিকিৎসা।
প্রিভেনটিভ কেয়ার
ভবিষ্যতে সেবা অ্যাকটিভ কেয়ার থেকে সরে আসবে প্রিভেনটিভ কেয়ারে। রূপান্তরকারী এই হেলথ কেয়ার সাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তুলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ভার্চুয়াল হেলথ কেয়ার সহকারীরা সহায়তা করবে রোগী ও চিকিৎসক— উভয়কে। ডিজিটাল টুইন্স বাস্তব পৃথিবীর বায়োলজির সমরূপ হয়ে থেরাপি দেবে। হেলথ কেয়ারের দৃষ্টিভঙ্গি হবে উপযোগী। রিমোট ডায়াগনোসিস ও মনিটরিং, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সেবাকে সমৃদ্ধ করবে।
এসব আগত প্রযুক্তির সঙ্গে নিজদের খাপ খাওয়াতে হলে চিকিৎসকদের এই উদ্ভূত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে, যাতে তাঁরা থাকতে পারেন রোগীর সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে। তাই জেনেটিকস আর মলিকুলার বায়োলজি অধ্যয়ন করতে হবে চিকিৎসকদের। জেনেটিকস আর মলিকুলার বায়োলজি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে তাঁরা ইনফরমড ডায়াগনোসিস করতে পারবেন। এতে কাটিং এজ চিকিৎসা দেওয়া সহজ হবে বিশেষ করে প্রিসিশন অনকোলজিতে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
নতুন বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর ডিজিটাল হাতিয়ারের কল্যাণে ওষুধের উদ্ভাবন ও বিকাশে রোগীর যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার বিজনেস মডেলে আসবে অভূতপূর্ব অগ্রগতি। ২০২৪ সাল হবে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে এক চাঞ্চল্যকর অগ্রযাত্রার বছর।
হেলথ কেয়ার অনবরত বদলে চলা এক ক্ষেত্র। অনেক পরিবর্তন আর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এই সেবা। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। সেসব মানুষের দীর্ঘায়ু লাভে কোনো না কোনোভাবে কাজ করছে। এতে রোগসেবায় চিকিৎসক কীভাবে নিজেদের নিয়োজিত করবেন, রোগ নির্ণয় করবেন আর চিকিৎসা করবেন, সেসব ব্যাপারে আসবে প্রধান বদল।
যেসব বদল আসতে পারে
সেন্সরভিত্তিক ডেটা সংগ্রহ
বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি হয়েছে যে বিশেষ করে দৈনন্দিন পরামর্শ আর প্রতিদিনের ডেটা সংগ্রহ করা হবে রোগীর ঘর থেকে। এই উদ্ভাবন রোগীর জীবনে অনেক ধকল কমাবে। বিভিন্ন হেলথ কেয়ার সেবাদানকারীর কাছ থেকে তথ্য সমন্বয় করা হবে। এতে রোগীর স্বাস্থ্যের যত্নের পথ আরও সুগম ও মসৃণ হবে। প্রযুক্তির এই লাইন বদলের ফলে অতিরিক্ত ও বাড়তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর করতে হবে না। চিকিৎসক এখন ব্যাপক তথ্যের নাগাল পাবেন। তাতে রোগনির্ণয় হবে দ্রুত।
এআইয়ের খেলা হবে
প্রযুক্তির বিবর্তন স্পর্শ করবে রোগীর মনিটরিং বা তদারকি পর্যন্ত। হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রোগী ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার সিগন্যাল চলে যাবে মনিটরে। শরীরের ভেতরে তড়িৎ সংকেত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত ও ব্যাখ্যা করা শুরু হবে। রূপান্তরের এই দৃশ্যপটে মূল ভূমিকায় থাকবে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ ধরনের প্রযুক্তি দ্রুত চিহ্নিত করবে রোগ, স্ট্রোকের মতো রোগ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই সমন্বিত, বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই হচ্ছে এখন চিকিৎসার মূল স্তম্ভ। স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান এআইভিত্তিক হলে তা একদিকে দেবে দ্রুত সুস্থ হওয়ার নিশ্চয়তা, অন্যদিকে ইমেজিং ও ইন্টারভেনশনের মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে এনেছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যেহেতু এলগারিদম নির্বিঘ্নে এআইয়ের সঙ্গে সমন্বিত হয়, সে জন্য ভবিষ্যতে আরও নির্ভুল রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত হবে। হেলথ কেয়ারের এই রূপান্তরযাত্রায় এআই হবে মূল চালিকাশক্তি।
প্রিসিশন মেডিসিন
অনকোলজির মতো নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে জেনেটিক স্টাডি খুলে দিয়েছে প্রিসিশন মেডিসিনের দুয়ার। এতে স্বাস্থ্যসেবা হবে অনেকটা লক্ষ্য নির্দিষ্ট বা টার্গেটেড। ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে সফলতা আসবে বেশি। এর প্রয়োগ হবে জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে। রোগীর জেনেটিক ঝুঁকি আগেভাগে জানিয়ে দেওয়ায় কমে আসবে স্বাস্থ্যসেবার খরচ আর জীবনের মান হবে উন্নত। এই প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ বা নির্ভুল বা স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি বেশি প্রয়োগ হবে অনকোলজিতে। তাতে কার্যকর হবে ক্যানসার চিকিৎসা।
প্রিভেনটিভ কেয়ার
ভবিষ্যতে সেবা অ্যাকটিভ কেয়ার থেকে সরে আসবে প্রিভেনটিভ কেয়ারে। রূপান্তরকারী এই হেলথ কেয়ার সাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তুলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ভার্চুয়াল হেলথ কেয়ার সহকারীরা সহায়তা করবে রোগী ও চিকিৎসক— উভয়কে। ডিজিটাল টুইন্স বাস্তব পৃথিবীর বায়োলজির সমরূপ হয়ে থেরাপি দেবে। হেলথ কেয়ারের দৃষ্টিভঙ্গি হবে উপযোগী। রিমোট ডায়াগনোসিস ও মনিটরিং, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সেবাকে সমৃদ্ধ করবে।
এসব আগত প্রযুক্তির সঙ্গে নিজদের খাপ খাওয়াতে হলে চিকিৎসকদের এই উদ্ভূত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে, যাতে তাঁরা থাকতে পারেন রোগীর সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে। তাই জেনেটিকস আর মলিকুলার বায়োলজি অধ্যয়ন করতে হবে চিকিৎসকদের। জেনেটিকস আর মলিকুলার বায়োলজি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে তাঁরা ইনফরমড ডায়াগনোসিস করতে পারবেন। এতে কাটিং এজ চিকিৎসা দেওয়া সহজ হবে বিশেষ করে প্রিসিশন অনকোলজিতে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১৭ ঘণ্টা আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১৭ ঘণ্টা আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১৭ ঘণ্টা আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে