অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বার্ধক্যজনিত নানা রোগও বাড়ছে। এসব রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে।
ইদানীং আলঝেইমার নিয়ে দুর্দান্ত সব গবেষণা প্রকাশিত হচ্ছে। এসব গবেষণা তথ্য জানাচ্ছে যে, এসব রোগ সম্পর্কে নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
গবেষণা বলছে, বিভিন্ন রোগের ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য ২০২০ সাল একটি যুগান্তকারী দশক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এরই মধ্যে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল একটি যুগান্তকারী কাজ করেছে। তারা আলঝেইমারের ওষুধ আবিষ্কারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আলঝেইমারের সবচেয়ে বড় কারণ ডিমেনশিয়া। অন্তত ৭০ শতাংশ ডিমেনশিয়ার রোগী শেষ পর্যন্ত আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে ২৪ মিলিয়ন মানুষ আলঝেইমারে আক্রান্ত এবং এই সংখ্যা প্রতি ২০ বছরে দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সার্কাডিয়ান রাইম (শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনের ২৪ ঘণ্টার চক্র) ও আলঝেইমারের মধ্যে এক ধরনের যোগসূত্র রয়েছে। এটি বোঝা যায় রোগীর ঘুমের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা রোগপ্রতিরোধী কোষের সার্কাডিয়ান রাইম বিশ্লেষণ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার আণবিক ‘টাইমার’ খুঁজে বের করেছেন। সার্কাডিয়ান রাইম ও আলঝেইমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রোটিন তৈরি করতে দেয় না—এমন একটি পথও তাঁরা আবিষ্কার করেছেন এই টাইমারের মাধ্যমে।
তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে আগে থেকেই আলঝেইমারের সংকেত দেবে? কয়েকটি উপায় আছে—ঘুমের ধরন বিশ্লেষণ করে, দাঁতের মাড়ির রোগ দেখে, মুখে উচ্চারিত শব্দ বাছাইয়ের মাধ্যমে এবং অ্যামাইলেয়েড প্ল্যাকার্স বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
ভবিষ্যতে অটিজমের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ওষুধ আবিষ্কার ও রোগ শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সেসকো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিসের গবেষকেরা এমন একটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্ল্যাকার্সের পদ্ধতি পরিমাপ করতে পারে এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যও শনাক্ত করতে পারে। পদ্ধতিটি অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক।
এদিকে স্নায়ুবিজ্ঞান, অন্ত্রের স্বাস্থ্য, ঘুমজনিত সমস্যা এবং ভাষা বিজ্ঞানের গবেষণায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এসব অগ্রগতির পেছনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবদান আছে।
আলঝেইমার রোগ নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন। চিকিৎসকেরা নিজেদের সাধারণ জ্ঞান, মস্তিষ্কের ইমেজিং এবং রোগীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে আলঝেইমার শনাক্ত করেন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তবে ২০২৭ সালের মধ্যে এই রোগ শনাক্তকরণে বিরাট পরিবর্তন আসবে। কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা ব্যবহার করে ৭০ শতাংশ নির্ভুলভাবে আলঝেইমারের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বার্ধক্যজনিত নানা রোগও বাড়ছে। এসব রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে।
ইদানীং আলঝেইমার নিয়ে দুর্দান্ত সব গবেষণা প্রকাশিত হচ্ছে। এসব গবেষণা তথ্য জানাচ্ছে যে, এসব রোগ সম্পর্কে নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
গবেষণা বলছে, বিভিন্ন রোগের ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য ২০২০ সাল একটি যুগান্তকারী দশক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এরই মধ্যে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল একটি যুগান্তকারী কাজ করেছে। তারা আলঝেইমারের ওষুধ আবিষ্কারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আলঝেইমারের সবচেয়ে বড় কারণ ডিমেনশিয়া। অন্তত ৭০ শতাংশ ডিমেনশিয়ার রোগী শেষ পর্যন্ত আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে ২৪ মিলিয়ন মানুষ আলঝেইমারে আক্রান্ত এবং এই সংখ্যা প্রতি ২০ বছরে দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সার্কাডিয়ান রাইম (শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনের ২৪ ঘণ্টার চক্র) ও আলঝেইমারের মধ্যে এক ধরনের যোগসূত্র রয়েছে। এটি বোঝা যায় রোগীর ঘুমের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা রোগপ্রতিরোধী কোষের সার্কাডিয়ান রাইম বিশ্লেষণ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার আণবিক ‘টাইমার’ খুঁজে বের করেছেন। সার্কাডিয়ান রাইম ও আলঝেইমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রোটিন তৈরি করতে দেয় না—এমন একটি পথও তাঁরা আবিষ্কার করেছেন এই টাইমারের মাধ্যমে।
তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে আগে থেকেই আলঝেইমারের সংকেত দেবে? কয়েকটি উপায় আছে—ঘুমের ধরন বিশ্লেষণ করে, দাঁতের মাড়ির রোগ দেখে, মুখে উচ্চারিত শব্দ বাছাইয়ের মাধ্যমে এবং অ্যামাইলেয়েড প্ল্যাকার্স বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
ভবিষ্যতে অটিজমের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ওষুধ আবিষ্কার ও রোগ শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সেসকো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিসের গবেষকেরা এমন একটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্ল্যাকার্সের পদ্ধতি পরিমাপ করতে পারে এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যও শনাক্ত করতে পারে। পদ্ধতিটি অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক।
এদিকে স্নায়ুবিজ্ঞান, অন্ত্রের স্বাস্থ্য, ঘুমজনিত সমস্যা এবং ভাষা বিজ্ঞানের গবেষণায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এসব অগ্রগতির পেছনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবদান আছে।
আলঝেইমার রোগ নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন। চিকিৎসকেরা নিজেদের সাধারণ জ্ঞান, মস্তিষ্কের ইমেজিং এবং রোগীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে আলঝেইমার শনাক্ত করেন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তবে ২০২৭ সালের মধ্যে এই রোগ শনাক্তকরণে বিরাট পরিবর্তন আসবে। কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা ব্যবহার করে ৭০ শতাংশ নির্ভুলভাবে আলঝেইমারের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে