অনলাইন ডেস্ক
আনারস–দুধ একসঙ্গে খেতে নেই। আবার ফল খাওয়ার পরপর পানি খেতেও বারণ করেন মুরব্বিরা। এটি মানুষের দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। তবে হাতের কাছে একসঙ্গে অনেকগুলো রসালো ফল পেয়ে গেলে সাত–পাঁচ না ভেবে হাপুস–হুপুস খেয়ে ফেলা মানুষের সংখ্যাই বেশি। কারণ একাধিক ফলের সংমিশ্রণেও যে স্বাস্থ্য ক্ষতি হতে পারে সেটি অনেকেরই অজানা।
চিকিৎসকেরা বলেন, কিছু ভিন্ন প্রজাতির ফলের সংমিশ্রণ হজমের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে অসাবধানতা পাচনতন্ত্র এবং স্বাস্থ্যের ওপরও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও সব ধরনেরই ফলই অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।
ফলকে সাধারণত জৈব অ্যাসিড, উচ্চ জলীয় উপাদান, চিনি এবং নিরপেক্ষ—এই হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। অনেকে বেশি উপকার পেতে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি কেটে নিয়ে একটি পাত্রে মিশ্রিত করে খেয়ে থাকেন। ফল ও সবজি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে শাকসবজি এবং অন্যান্য ফল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদে পড়তে হতে পারে!
এখানে এমন কিছু ফলের কথা উল্লেখ করা হলো সেগুলো একসঙ্গে খেলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে:
১. অন্য ফলের সঙ্গে তরমুজ
অন্যান্য ফলের সঙ্গে তরমুজ, মাস্কমেলনের মতো ফল খাওয়া উচিত নয়। তরমুজের সঙ্গে শুধু তরমুজ জাতীয় ফল খেতে হবে। এর কারণ তরমুজ অন্যান্য ফলের তুলনায় দ্রুত হজম হয়। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই অন্য ফলের সঙ্গে তরমুজ খেলে সঠিকভাবে হজম নাও করতে পারে। এতে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
২. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফলের সঙ্গে স্টার্চযুক্ত ফল
স্টার্চযুক্ত ফলের মধ্যে রয়েছে কলা। পেয়ারা, শুকনো এপ্রিকট, কিউই ফ্রুট, ড্রাগন ফ্রুট, অ্যাভোকাডো এবং ব্ল্যাকবেরির (জামজাতীয়) মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফলের সঙ্গে কলা মেশানো ঠিক নয়। এই দুই ধরনের ফলের মিশ্রণ বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শরীরের প্রোটিন হজম করার জন্য অ্যাসিডিক বেস এবং স্টার্চ ভাঙতে ক্ষারীয় বেস প্রয়োজন হয়।
৩. মিষ্টি ফলের সঙ্গে অম্লীয় বা টক ফল
অম্লীয় এবং উপ-অম্লীয় ফল যেমন—জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, জাম, লটকন, আনারস, আপেল, ডালিম এবং পিচ ফলের সঙ্গে কলা ও কিশমিশের মতো মিষ্টি ফল মেশানো উচিত নয়। এ ধরনের ফল একসঙ্গে খেলে প্রায়ই হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব, অ্যাসিডোসিস (গ্যাস) এবং মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে।
৪. পেঁপে এবং লেবু
এই মিশ্রণটা শুনে অনেকে অবাক হবেন হয়তো! তবে অজান্তে খেয়েও ফেলতে পারেন কেউ। কারও কারও জন্য কিন্তু দুই মিশ্রণ সুস্বাদুও হতে পারে। কিন্তু এই মিশ্রণ এড়াতে পারলে ভালো। এই মিশ্রণের অনেকগুলো ক্ষতিকর দিকের মধ্যে অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা) বা হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্যহীনতা অন্যতম। শিশুদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
ফল এবং সবজি
ফল এবং সবজি একত্রে খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। কারণ ফলের উচ্চ চিনির উপাদান শাকসবজির হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ কারণে কমলা এবং গাজর একসঙ্গে খেলে নির্ঘাত পেটের সমস্যা হবে!
বিভিন্ন ধরনের ফল পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আধার। এ কারণে ফল স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী। তবে একাধিক ফলের সংমিশ্রণ এড়ানো উচিত। আবার ফল অতিরিক্ত খেলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথশটস
আনারস–দুধ একসঙ্গে খেতে নেই। আবার ফল খাওয়ার পরপর পানি খেতেও বারণ করেন মুরব্বিরা। এটি মানুষের দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। তবে হাতের কাছে একসঙ্গে অনেকগুলো রসালো ফল পেয়ে গেলে সাত–পাঁচ না ভেবে হাপুস–হুপুস খেয়ে ফেলা মানুষের সংখ্যাই বেশি। কারণ একাধিক ফলের সংমিশ্রণেও যে স্বাস্থ্য ক্ষতি হতে পারে সেটি অনেকেরই অজানা।
চিকিৎসকেরা বলেন, কিছু ভিন্ন প্রজাতির ফলের সংমিশ্রণ হজমের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে অসাবধানতা পাচনতন্ত্র এবং স্বাস্থ্যের ওপরও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও সব ধরনেরই ফলই অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।
ফলকে সাধারণত জৈব অ্যাসিড, উচ্চ জলীয় উপাদান, চিনি এবং নিরপেক্ষ—এই হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। অনেকে বেশি উপকার পেতে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি কেটে নিয়ে একটি পাত্রে মিশ্রিত করে খেয়ে থাকেন। ফল ও সবজি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে শাকসবজি এবং অন্যান্য ফল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদে পড়তে হতে পারে!
এখানে এমন কিছু ফলের কথা উল্লেখ করা হলো সেগুলো একসঙ্গে খেলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে:
১. অন্য ফলের সঙ্গে তরমুজ
অন্যান্য ফলের সঙ্গে তরমুজ, মাস্কমেলনের মতো ফল খাওয়া উচিত নয়। তরমুজের সঙ্গে শুধু তরমুজ জাতীয় ফল খেতে হবে। এর কারণ তরমুজ অন্যান্য ফলের তুলনায় দ্রুত হজম হয়। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই অন্য ফলের সঙ্গে তরমুজ খেলে সঠিকভাবে হজম নাও করতে পারে। এতে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
২. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফলের সঙ্গে স্টার্চযুক্ত ফল
স্টার্চযুক্ত ফলের মধ্যে রয়েছে কলা। পেয়ারা, শুকনো এপ্রিকট, কিউই ফ্রুট, ড্রাগন ফ্রুট, অ্যাভোকাডো এবং ব্ল্যাকবেরির (জামজাতীয়) মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ফলের সঙ্গে কলা মেশানো ঠিক নয়। এই দুই ধরনের ফলের মিশ্রণ বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শরীরের প্রোটিন হজম করার জন্য অ্যাসিডিক বেস এবং স্টার্চ ভাঙতে ক্ষারীয় বেস প্রয়োজন হয়।
৩. মিষ্টি ফলের সঙ্গে অম্লীয় বা টক ফল
অম্লীয় এবং উপ-অম্লীয় ফল যেমন—জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, জাম, লটকন, আনারস, আপেল, ডালিম এবং পিচ ফলের সঙ্গে কলা ও কিশমিশের মতো মিষ্টি ফল মেশানো উচিত নয়। এ ধরনের ফল একসঙ্গে খেলে প্রায়ই হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব, অ্যাসিডোসিস (গ্যাস) এবং মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে।
৪. পেঁপে এবং লেবু
এই মিশ্রণটা শুনে অনেকে অবাক হবেন হয়তো! তবে অজান্তে খেয়েও ফেলতে পারেন কেউ। কারও কারও জন্য কিন্তু দুই মিশ্রণ সুস্বাদুও হতে পারে। কিন্তু এই মিশ্রণ এড়াতে পারলে ভালো। এই মিশ্রণের অনেকগুলো ক্ষতিকর দিকের মধ্যে অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা) বা হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্যহীনতা অন্যতম। শিশুদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
ফল এবং সবজি
ফল এবং সবজি একত্রে খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। কারণ ফলের উচ্চ চিনির উপাদান শাকসবজির হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এ কারণে কমলা এবং গাজর একসঙ্গে খেলে নির্ঘাত পেটের সমস্যা হবে!
বিভিন্ন ধরনের ফল পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আধার। এ কারণে ফল স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী। তবে একাধিক ফলের সংমিশ্রণ এড়ানো উচিত। আবার ফল অতিরিক্ত খেলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথশটস
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
১১ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
১৩ ঘণ্টা আগে