মো. ইকবাল হোসেন
মানুষ খাদ্যে বৈচিত্র্য আনতে খুব পছন্দ করে। একই উপাদানের ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতেও পছন্দ করে। এর মধ্যে হয়তো কিছু খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হয়, কিছু খাবার হয় না। আবার কোনো খাবার এতই জনপ্রিয় যে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি কেউ আমলেই নেয় না। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার শিঙাড়া।
আসলেই কি শিঙাড়া খুব ক্ষতিকর খাবার? আমরা যে উপায় ও উপাদানে শিঙাড়া বানিয়ে খাই, সেটাকে একটু ক্ষতিকরই বলা যায়। এর মূল উপাদান ময়দা, আলু ও তেল। আলু ও ময়দা দুটোই শর্করা আর তেল হচ্ছে চর্বি। তার মানে আপনি শিঙাড়া খেলে খাদ্য উপাদান হিসেবে শুধুই শর্করা ও চর্বি পাবেন। কোনো প্রোটিন পাবেন না। আবার শিঙাড়া ভাজতে সচরাচর যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা পোড়া তেল, তাতে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
উপায় কী
শিঙাড়াও বেশ স্বাস্থ্যকরভাবে খাওয়া যায়। প্রথমে এর পুর হিসেবে আলুর ব্যবহার কমিয়ে দিন। আলুর পাশাপাশি সবজি হিসেবে একটু ফুলকপি, গাজর বা পেঁপে দিতে হবে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে একটুখানি মটরশুঁটি, কিছু বাদাম, সেদ্ধ ছোলা আর একটু মুরগির মাংস ব্যবহার করলেই সমস্যার প্রায় সমাধান হয়ে যাবে।
বাদাম, মটরশুঁটি, সেদ্ধ ছোলা আর মুরগির মাংস এগুলো প্রোটিনজাতীয় খাবার। আলুর সঙ্গে এই উপাদানগুলো এবং বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করলে শিঙাড়া থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যাবে। যদিও চর্বির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে। শিঙাড়া ভাজতে অবশ্যই নতুন তেল ব্যবহার করতে হবে। এক তেল একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।
কখন খাবেন
শিঙাড়া কখনো রাতে খাবেন না। রাতের খাবারের পরে আমাদের বিশেষ কাজকর্ম থাকে না। কিন্তু দিনের বেলা খেলে সারা দিনের কাজকর্মে কিছু অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়ে যাবে।
আকার কেমন হবে
শিঙাড়ার আকার খুব বড় করবেন না। আমরা বেশির ভাগ সময়ই গুনে গুনে শিঙাড়া খাই না। আকার যা-ই হোক না কেন দুই-তিনটি শিঙাড়া খাওয়া হয়ে
যায় এক বসাতে। তাই এর আকার ছোট করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি
কম থাকে।
কলিজার শিঙাড়া
কলিজার শিঙাড়ার বেশ প্রচলন আছে। গরু, খাসি বা মুরগি কলিজা যারই হোক না কেন, কলিজা দিয়ে বানানো শিঙাড়ায় চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সেটা বাদ দিন।
বিবেচনায় রাখবেন, চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
মানুষ খাদ্যে বৈচিত্র্য আনতে খুব পছন্দ করে। একই উপাদানের ভিন্ন ভিন্ন খাবার খেতেও পছন্দ করে। এর মধ্যে হয়তো কিছু খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হয়, কিছু খাবার হয় না। আবার কোনো খাবার এতই জনপ্রিয় যে স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি কেউ আমলেই নেয় না। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার শিঙাড়া।
আসলেই কি শিঙাড়া খুব ক্ষতিকর খাবার? আমরা যে উপায় ও উপাদানে শিঙাড়া বানিয়ে খাই, সেটাকে একটু ক্ষতিকরই বলা যায়। এর মূল উপাদান ময়দা, আলু ও তেল। আলু ও ময়দা দুটোই শর্করা আর তেল হচ্ছে চর্বি। তার মানে আপনি শিঙাড়া খেলে খাদ্য উপাদান হিসেবে শুধুই শর্করা ও চর্বি পাবেন। কোনো প্রোটিন পাবেন না। আবার শিঙাড়া ভাজতে সচরাচর যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা পোড়া তেল, তাতে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
উপায় কী
শিঙাড়াও বেশ স্বাস্থ্যকরভাবে খাওয়া যায়। প্রথমে এর পুর হিসেবে আলুর ব্যবহার কমিয়ে দিন। আলুর পাশাপাশি সবজি হিসেবে একটু ফুলকপি, গাজর বা পেঁপে দিতে হবে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে একটুখানি মটরশুঁটি, কিছু বাদাম, সেদ্ধ ছোলা আর একটু মুরগির মাংস ব্যবহার করলেই সমস্যার প্রায় সমাধান হয়ে যাবে।
বাদাম, মটরশুঁটি, সেদ্ধ ছোলা আর মুরগির মাংস এগুলো প্রোটিনজাতীয় খাবার। আলুর সঙ্গে এই উপাদানগুলো এবং বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করলে শিঙাড়া থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যাবে। যদিও চর্বির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে। শিঙাড়া ভাজতে অবশ্যই নতুন তেল ব্যবহার করতে হবে। এক তেল একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।
কখন খাবেন
শিঙাড়া কখনো রাতে খাবেন না। রাতের খাবারের পরে আমাদের বিশেষ কাজকর্ম থাকে না। কিন্তু দিনের বেলা খেলে সারা দিনের কাজকর্মে কিছু অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়ে যাবে।
আকার কেমন হবে
শিঙাড়ার আকার খুব বড় করবেন না। আমরা বেশির ভাগ সময়ই গুনে গুনে শিঙাড়া খাই না। আকার যা-ই হোক না কেন দুই-তিনটি শিঙাড়া খাওয়া হয়ে
যায় এক বসাতে। তাই এর আকার ছোট করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি
কম থাকে।
কলিজার শিঙাড়া
কলিজার শিঙাড়ার বেশ প্রচলন আছে। গরু, খাসি বা মুরগি কলিজা যারই হোক না কেন, কলিজা দিয়ে বানানো শিঙাড়ায় চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সেটা বাদ দিন।
বিবেচনায় রাখবেন, চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগে