নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।
সন্তান প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভরসা পান না অধিকাংশ মানুষ। এসব হাসপাতালে প্রসূতি ঘর মাতৃবান্ধব না হওয়াই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রসবে অস্ত্রোপচার নিরুৎসাহিত করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে স্বাভাবিক প্রসব বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ মা বাড়িতেই সন্তান প্রসব করছেন। আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের জন্য নির্ধারিত এ ঘরগুলো মাতৃবান্ধব না হওয়ায় অনেক সময় গর্ভবতীরা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে অনেক মা ও নবজাতক জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
কর্মশালায় ওজিএসবির সাবেক সভাপতি গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘এখনো গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসব বাড়িতেই হয়। অনেক মা হাসপাতালে যেতে চান না। ফলে নবজাতকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান করা যায় না। আবার মায়ের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। সে জন্য এসব মায়েরা যেন হাসপাতালমুখী হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রসূতি ঘরটি মাতৃবান্ধব হলে এ সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান সম্ভব জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রসূতি ঘর হতে হবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক কক্ষ। সেখানে যেতে কেউ যেন ভয় না পান, অস্বস্তিতে না পড়েন। এ জন্য স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হতে হবে একেবারেই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করার কথা নয়।’
কর্মশালায় সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) ডেলিভারি কমাতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ওজিএসবির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব বেড়ে গেছে। বিপরীতে স্বাভাবিক প্রসব কমে গেছে উদ্বেগজনক হারে। প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সব ধরনের জটিলতা শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব কমিয়ে আনতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের দিকে আমাদের নজর বাড়াতে হবে।’
ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে চাইলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। পাশাপাশি কমিটমেন্ট ঠিক রেখে তাঁদের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
নারীস্বাস্থ্যের এ দিকটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি জানান, এরই মধ্যে বিল গেটস অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওজিএসবির আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে চলছে এ প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এতে স্বাভাবিক প্রসব অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছেন এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার প্রমুখ।
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে