কম খরচে সর্বোচ্চ সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ১১

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কম খরচে সেবা পাচ্ছে সব শ্রেণির মানুষ। হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র ১০ টাকার টিকিটে ডাক্তার দেখানো, ১৫ টাকায় ভর্তি হওয়া, চোখের জন্য জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থা এবং স্বল্পমূল্যে বৈকালিক চেম্বারে ডাক্তার দেখানোসহ অনেক সুবিধা। রয়েছে স্বল্পমূল্যের পেয়িং বেডের ব্যবস্থাও। চোখের বিভিন্ন পরীক্ষার খরচও এখানে তুলনামূলক কম। সর্বনিম্ন পরীক্ষা ফি ৩০ টাকা।

১০ টাকায় চিকিৎসাসেবা
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে (আউটডোর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ১০ টাকার টিকিটে চিকিৎসাসেবা। চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বহির্বিভাগের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন চিকিৎসক বসেন। রোগী এবং রোগের ধরন অনুযায়ী তাঁরা চিকিৎসা দেন।

কথা হয় হাসপাতালটির একজন ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আউটডোরে ১০ টাকায় টিকিট কিনে রোগীরা চোখের চিকিৎসাসেবা নিতে পারে। সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত আউটডোর খোলা থাকে।’

তানজিনা নামের এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘টিকিট কাটার পর চিকিৎসক রোগীকে দেখে চোখের সমস্যা অনুযায়ী যদি অন্য বিভাগে পাঠানোর প্রয়োজন হয়, সেখানে পাঠান। আর ভর্তির প্রয়োজন হলেও সেটা রেফার করে দেন। ভর্তি ফি মাত্র ১৫ টাকা।’

জরুরি চিকিৎসাসেবা
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জরুরি বিভাগে (ইমারজেন্সি) আসা রোগীদের সমস্যা এবং বয়স বুঝে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। যেমন শিশু হলে তাকে পেডিয়াট্রিক চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়। তিনি দেখে বলবেন শিশুটিকে কোথায় চিকিৎসা নিতে হবে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা সব সময় প্রস্তুত থাকেন।

আউটডোরে সকালের দিকে যেহেতু একটু চাপ থাকে এবং বিকেলের পর ভিড় কম থাকায় অনেকে ইমারজেন্সিতে আসেন একটু দ্রুত সেবা নেওয়ার জন্য।

স্বল্পমূল্যে পেয়িং বেড
ডা. তানজিনা জানান, ১০ টাকায় টিকিট কাটার পর যদি ভর্তি হতে হয়, সে ক্ষেত্রে সব ওষুধ ফ্রি দেওয়া হয়। যে টেস্টগুলো (পরীক্ষা) করানো হয়, সেগুলোর খুব কম মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেগুলোর চার্ট টাঙানো আছে। আরেকটি সুবিধা হলো, কারও যদি ভর্তির প্রয়োজন না হয়, কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, সে ক্ষেত্রে পেয়িং বেড আছে। সেখানে রোগী চাইলে বিশ্রাম নিতে পারে।

বৈকালিক সেবা
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে রয়েছে বৈকালিক সেবা। ডা. তানজিনা বলেন, ‘কেউ যদি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা প্রফেসর এমন কাউকে দেখাতে চায়, তাহলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে চেম্বারে দেখাতে পারবে। সেখানেও ফি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।’

পরীক্ষা ও বেড ভাড়া
হাসপাতালে টাঙানো চার্ট থেকে দেখা যায়, খুব কম মূল্য রাখা হয়েছে একেকটি পরীক্ষার জন্য। সেখানে সর্বনিম্ন পরীক্ষার ফি উল্লেখ করা আছে ৩০ টাকা, 
সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। বেড ভাড়াও খুব বেশি নয়। ডাবল বেড হলে দিনপ্রতি ৬০০ টাকা এবং সিঙ্গেল বেড হলে ৩০০ টাকা। ওটি চার্জ দুই ধরনের বেডের ক্ষেত্রেই ২ হাজার টাকা। তবে পেয়িং বেডের ক্ষেত্রে ওটি চার্জ ১ হাজার টাকা।

সেবায় সন্তুষ্ট রোগীরাও
টাঙ্গাইল থেকে আসা হাশেম নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গত বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তি ছিলাম। চোখে তীব্র যন্ত্রণা আর ব্যথা নিয়ে ভর্তি হই। পরীক্ষা করে জানানো হয়েছে আমার গ্লুকোমার সমস্যা। তাই এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ যে ডাক্তার দেখবেন, সেখানে আমাকে রেফার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘খুব ভালো সেবা পেয়েছি। চোখের যন্ত্রণা এখন নেই। এখানেই গ্লুকোমার জন্য চিকিৎসা নেব।’

নরসিংদী থেকে চোখে আঘাত পেয়ে এসেছেন মোশাররফ। তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘একটু দেরি করে ফেলায় আমরা টিকিট পাইনি। তাই আড়াইটায় ডাক্তার আসার পর চেম্বারে দেখাব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত