মো. ইকবাল হোসেন
সবার জন্য
এ ছাড়া সব শ্রেণির মানুষের পুষ্টি জোগাতে পারে খিচুড়ি। চাল, ডাল, সবজিসহ অন্যান্য তেল-মসলায় রান্না খিচুড়ি বেশ পুষ্টিকর। খিচুড়ি রান্নার জন্য আতপ চাল ও মসুর ডাল ব্যবহার করুন। এগুলো অল্প সময়ে সেদ্ধ হয়ে যায়। এর সঙ্গে দ্রুত সেদ্ধ হয় এবং রান্না ছাড়াই খাওয়া যায় তেমন সবজি দিন। সে ক্ষেত্রে পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, আলু, শসা, পটোল রাখা যেতে পারে। এগুলো দিয়ে তৈরি সবজি খিচুড়ি সব শ্রেণির মানুষের পুষ্টির চাহিদা প্রায় শতভাগ পূরণ করবে। শাক ব্যবহার করতে চাইলে অন্তত এক ফুট উঁচু হয় তেমন শাক ও এর পাতা ব্যবহার করুন। স্ন্যাক্স হিসেবে বিস্কুট, ড্রাইকেক, চিড়া ভাজা, পাউরুটি, জ্যাম, জেলি, শুকনো মিষ্টি এবং নিমকি খাওয়া যেতে পারে। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে, তাহলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন প্রথম শ্রেণির প্রোটিন অর্থাৎ মাছ, মাংস বা ডিমযুক্ত খাবার খেতে হবে।
শিশুদের জন্য
১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খাবার হিসেবে আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি তরল দুধ রাখা যেতে পারে। এ দুধ বিশেষভাবে প্যাকেটজাত করা হয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এগুলো ভালো থাকে। এটি খাওয়ার আগে গরম করারও প্রয়োজন হয় না। দুধ একটি আদর্শ খাবার, যা শরীরের প্রায় সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এর সঙ্গে রোল্ড ওটস, সুজি বা লাচ্ছা সেমাইয়ের যেকোনো একটি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি। তাই এটি দুধের মধ্যে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই শিশুর খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে গুড় বা তালমিছরি দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের খাবারে একটু পিনাট বাটার রাখলে প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে।
এ ছাড়া ফল হিসেবে কমলা, মাল্টা, কলা এবং মৌসুমি যেকোনো ফল খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে থাকা ভিটামিন সি পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখবে। এ ছাড়া অন্যান্য ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে। এগুলো অনেক দিন সংরক্ষণও করা যায়।
গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারীদের জন্য
গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারীদের জন্য এ সময় খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তাঁদের খাবারে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার দুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দুধের পরিবর্তে ৮০ থেকে ১২০ গ্রাম বাদাম দেওয়া যেতে পারে। এখান থেকে তাঁদের প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন মিনারেলের চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণ হবে।
এ ছাড়া দ্রুত ক্লান্তি এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে গ্লুকোজ খাওয়া যেতে পারে। এটি দ্রুত শরীরে শক্তির সঞ্চার করবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের কোনো শারীরিক জটিলতা থাকলে, সে অনুযায়ী খাবারের সমন্বয় করতে হবে।
সব ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ও পান নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের সরবরাহ পানিবাহিত রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
কিশোর ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য
কিশোর ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য শর্করাযুক্ত খাবার হিসেবে মুড়ি, চিড়া, খই বা ওটসের মতো খাবারগুলো খাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ইউএইচটি দুধ রাখতে হবে। পূর্ণবয়স্কদের জন্য তরল দুধের পরিবর্তে পাউডার দুধও দেওয়া যেতে পারে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে কিছু চিনাবাদাম বা কাঠবাদাম রাখতে হবে। সঙ্গে ফল হিসেবে আপেল, খেজুর, খুরমা, আমড়া, জাম্বুরা, বাংলা কলা এবং কিশমিশ দেওয়া যাবে। এসব ফল সংরক্ষণ ছাড়াই বেশ কিছুদিন ভালো থাকে। এগুলো সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করবে।
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা , চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
সবার জন্য
এ ছাড়া সব শ্রেণির মানুষের পুষ্টি জোগাতে পারে খিচুড়ি। চাল, ডাল, সবজিসহ অন্যান্য তেল-মসলায় রান্না খিচুড়ি বেশ পুষ্টিকর। খিচুড়ি রান্নার জন্য আতপ চাল ও মসুর ডাল ব্যবহার করুন। এগুলো অল্প সময়ে সেদ্ধ হয়ে যায়। এর সঙ্গে দ্রুত সেদ্ধ হয় এবং রান্না ছাড়াই খাওয়া যায় তেমন সবজি দিন। সে ক্ষেত্রে পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, আলু, শসা, পটোল রাখা যেতে পারে। এগুলো দিয়ে তৈরি সবজি খিচুড়ি সব শ্রেণির মানুষের পুষ্টির চাহিদা প্রায় শতভাগ পূরণ করবে। শাক ব্যবহার করতে চাইলে অন্তত এক ফুট উঁচু হয় তেমন শাক ও এর পাতা ব্যবহার করুন। স্ন্যাক্স হিসেবে বিস্কুট, ড্রাইকেক, চিড়া ভাজা, পাউরুটি, জ্যাম, জেলি, শুকনো মিষ্টি এবং নিমকি খাওয়া যেতে পারে। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে, তাহলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন প্রথম শ্রেণির প্রোটিন অর্থাৎ মাছ, মাংস বা ডিমযুক্ত খাবার খেতে হবে।
শিশুদের জন্য
১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খাবার হিসেবে আলট্রা হাই টেম্পারেচার বা ইউএইচটি তরল দুধ রাখা যেতে পারে। এ দুধ বিশেষভাবে প্যাকেটজাত করা হয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত এগুলো ভালো থাকে। এটি খাওয়ার আগে গরম করারও প্রয়োজন হয় না। দুধ একটি আদর্শ খাবার, যা শরীরের প্রায় সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এর সঙ্গে রোল্ড ওটস, সুজি বা লাচ্ছা সেমাইয়ের যেকোনো একটি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি। তাই এটি দুধের মধ্যে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই শিশুর খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে গুড় বা তালমিছরি দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের খাবারে একটু পিনাট বাটার রাখলে প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে।
এ ছাড়া ফল হিসেবে কমলা, মাল্টা, কলা এবং মৌসুমি যেকোনো ফল খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে থাকা ভিটামিন সি পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখবে। এ ছাড়া অন্যান্য ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে। এগুলো অনেক দিন সংরক্ষণও করা যায়।
গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারীদের জন্য
গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারীদের জন্য এ সময় খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তাঁদের খাবারে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার দুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দুধের পরিবর্তে ৮০ থেকে ১২০ গ্রাম বাদাম দেওয়া যেতে পারে। এখান থেকে তাঁদের প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন মিনারেলের চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণ হবে।
এ ছাড়া দ্রুত ক্লান্তি এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে গ্লুকোজ খাওয়া যেতে পারে। এটি দ্রুত শরীরে শক্তির সঞ্চার করবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের কোনো শারীরিক জটিলতা থাকলে, সে অনুযায়ী খাবারের সমন্বয় করতে হবে।
সব ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ও পান নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের সরবরাহ পানিবাহিত রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
কিশোর ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য
কিশোর ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য শর্করাযুক্ত খাবার হিসেবে মুড়ি, চিড়া, খই বা ওটসের মতো খাবারগুলো খাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ইউএইচটি দুধ রাখতে হবে। পূর্ণবয়স্কদের জন্য তরল দুধের পরিবর্তে পাউডার দুধও দেওয়া যেতে পারে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে কিছু চিনাবাদাম বা কাঠবাদাম রাখতে হবে। সঙ্গে ফল হিসেবে আপেল, খেজুর, খুরমা, আমড়া, জাম্বুরা, বাংলা কলা এবং কিশমিশ দেওয়া যাবে। এসব ফল সংরক্ষণ ছাড়াই বেশ কিছুদিন ভালো থাকে। এগুলো সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করবে।
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা , চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে