বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটছে। যা ইতিপূর্বে ঘটেনি। এই পরিস্থিতে মৌসুম শুরু হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। আজ রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। চলতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই সেখানে ১ হাজার ৬৬ জন এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৭ জন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি জড়িত। তিনি বলেন, শিগগির প্রাক-মৌসুম জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপের ফলাফল স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কারণ, মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ; পৃথিবীর যেখানেই একবার শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
পরিচালক অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটা কারণ হলো—শক সিনড্রোম, হেমরেজিক সিনড্রোম এবং অর্গান ফেইলিউর। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে দুই দিনে জ্বর সেরে গেলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই মুমূর্ষু হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
এ সময় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রান্ত চিকিৎসা গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ২৪ ঘণ্টা ল্যাব চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যে এনএস-১ ও আইজিজি-আইজিএম ৫০০ টাকা করে এবং সিবিসি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল এসব পরীক্ষার ফির চেয়ে বেশি নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৪ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৮৭ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৫ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৬ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৬ ঘণ্টা আগে