আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: সাড়ে চার বছরের বিবাহিত জীবন আমার। এত দিন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবিনি। কারণ আমার স্বামীকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও তার উদাসীন আচার, আচরণ, সংসারের প্রতি কর্তব্য়হীনতা আমাকে মানসিক চাপে রাখত। ফলে একা সংসার সামলিয়ে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবিনি। আমরা দুজনই চাকরিজীবী। বিয়ের পরপরই ওর প্রথম অফিসে একটা ঝামেলা হওয়ার পর হুট করেই চাকরিটা ছেড়ে দেয়। আমাকে একাই সংসার টানতে হয়েছে। সে সারাক্ষণ টিভি দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর ঘুরে বেড়ানো নিয়েই ব্যস্ত ছিল। এখন অবশ্য় সে আবার কাজে ফিরেছে। তবে সংসারে মন ফেরেনি। আমাদের কেবল রাতের খাবার টেবিলে কথা হয়। আমার কোনো বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। এমনকি শারীরিক সম্পর্কেও। আমি প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগছি। যখনই বলি, বড্ড একা লাগে, তখনই নানা প্রসঙ্গ ধরে আক্রমণ করে বসে। কী করতে পারি এ তিক্ততা এড়াতে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ময়মনসিংহ
পরামর্শ
আপনার একাকিত্বটা খুবই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হলো, এখন কী করা যায়? সমাধানের একটাই উপায়। ঠান্ডা মাথায় খোলামেলা পারস্পরিক আলোচনা। উনি যদি বুঝতে না চান তাহলে কাপল থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। স্বামীর কাছে খুব সাবলীল ভঙ্গিতে জানতে চান আপনার কোন কোন আচরণ তাঁর ভেতরে আনন্দ, দুঃখ, ভয় এবং রাগের অনুভূতি তৈরি করে। ঠিক সেভাবে অকপটে তাঁর আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অনুভূতিগুলো কী হয় তুলে ধরুন।
আমরা পুরোনো কথা টেনে আনি বলে একই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকি। তাতে সমস্যার সমাধান হয় না, শুধু ঝগড়াই বাড়ে, বিরক্তি জমে। এমন কোনো দুষ্টচক্রে আপনারা আবদ্ধ কি না একটু খেয়াল করুন।
দাম্পত্য সমস্যার সমাধান না হলে সন্তান নেওয়া কঠিন বিষয়। কারণ আমরা নিজেরাই যেখানে ভালো নেই, সেখানে নতুন একটা জীবনকে আনার কী মানে? কাজেই সন্তান নিলে সব ঝামেলা ঠিক হয়ে যাবে—এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
প্রশ্ন: সাড়ে চার বছরের বিবাহিত জীবন আমার। এত দিন সন্তান নেওয়ার কথা ভাবিনি। কারণ আমার স্বামীকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও তার উদাসীন আচার, আচরণ, সংসারের প্রতি কর্তব্য়হীনতা আমাকে মানসিক চাপে রাখত। ফলে একা সংসার সামলিয়ে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবিনি। আমরা দুজনই চাকরিজীবী। বিয়ের পরপরই ওর প্রথম অফিসে একটা ঝামেলা হওয়ার পর হুট করেই চাকরিটা ছেড়ে দেয়। আমাকে একাই সংসার টানতে হয়েছে। সে সারাক্ষণ টিভি দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর ঘুরে বেড়ানো নিয়েই ব্যস্ত ছিল। এখন অবশ্য় সে আবার কাজে ফিরেছে। তবে সংসারে মন ফেরেনি। আমাদের কেবল রাতের খাবার টেবিলে কথা হয়। আমার কোনো বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। এমনকি শারীরিক সম্পর্কেও। আমি প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগছি। যখনই বলি, বড্ড একা লাগে, তখনই নানা প্রসঙ্গ ধরে আক্রমণ করে বসে। কী করতে পারি এ তিক্ততা এড়াতে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ময়মনসিংহ
পরামর্শ
আপনার একাকিত্বটা খুবই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হলো, এখন কী করা যায়? সমাধানের একটাই উপায়। ঠান্ডা মাথায় খোলামেলা পারস্পরিক আলোচনা। উনি যদি বুঝতে না চান তাহলে কাপল থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। স্বামীর কাছে খুব সাবলীল ভঙ্গিতে জানতে চান আপনার কোন কোন আচরণ তাঁর ভেতরে আনন্দ, দুঃখ, ভয় এবং রাগের অনুভূতি তৈরি করে। ঠিক সেভাবে অকপটে তাঁর আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অনুভূতিগুলো কী হয় তুলে ধরুন।
আমরা পুরোনো কথা টেনে আনি বলে একই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকি। তাতে সমস্যার সমাধান হয় না, শুধু ঝগড়াই বাড়ে, বিরক্তি জমে। এমন কোনো দুষ্টচক্রে আপনারা আবদ্ধ কি না একটু খেয়াল করুন।
দাম্পত্য সমস্যার সমাধান না হলে সন্তান নেওয়া কঠিন বিষয়। কারণ আমরা নিজেরাই যেখানে ভালো নেই, সেখানে নতুন একটা জীবনকে আনার কী মানে? কাজেই সন্তান নিলে সব ঝামেলা ঠিক হয়ে যাবে—এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পোষার প্রবাদ আছে আমাদের সমাজে। এ থেকেই বোঝা যায়, এই দুটি খাবার ভীষণ জনপ্রিয়। অনেকে দুধ ও কলা ভাত কিংবা অন্য কিছু দিয়ে খেয়ে থাকেন।
৮ মিনিট আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং করার এই অভ্যাসটিকে বলা হয় ‘ডুমস্ক্রলিং’। এটি দিয়ে মূলত মানুষের নেতিবাচক খবর খোঁজা এবং পড়ে দেখার একটি প্রবণতাকে বোঝানো হয়। ফলে ডুমস্ক্রলিং মানুষের মন খারাপের কারণ হতে পারে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এটি মানুষের মন খারাপের কারণ হয়, সেই বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছেন বিজ
৯ ঘণ্টা আগেসুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৪ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৫ দিন আগে