অধ্যাপক ডা. ইমনুল ইসলাম
বাতজ্বর শিশুদের অন্যতম একটি রোগ। তাই গিরা ফুলে গিয়ে জ্বর এলেই শিশুটি বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ভেবে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আসলে সেটি বাতজ্বর নয়, বাত রোগ। এমন বিভ্রান্তি প্রায়ই হয়। বাতজ্বর নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অন্যদিকে বাত রোগ বড়দের মতো শিশুদেরও হতে পারে। এর প্রকোপ ব্যাপকভাবে দেখা গেলেও সচেতন চিকিৎসকদের মধ্যে এ বিষয়ে ধারণা অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ। ফলে রোগটি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। ১৬ বছর বয়সের নিচের যেকোনো শিশুর হাত, পা অথবা শরীরের অন্য কোনো গিরা ফোলা ও ব্যথা ছয় সপ্তাহ ধরে চললে তাকে বাত রোগ বা জুভেনাইল ইডিওপেথিক আর্থ্রাইটিস বলা হবে। আগে এ রোগটির নামকরণ নিয়ে মতভেদ ছিল। মার্কিনিরা একে জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আর ইউরোপীয়রা জুভেনাইল ক্রনিক আর্থ্রাইটিস নাম দিয়েছিল। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯৯ সালে এ রোগটির নাম রাখে জুভেনাইল ইডিওপেথিক আর্থ্রাইটিস।
রোগের কারণ
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে গবেষণায় কিছু বিষয়ের কথা বলা হয়েছে এর কারণ হিসেবে। এর মধ্যে আছে— বংশগতির প্রভাব, পরিবেশগত প্রভাব ,ভাইরাসসহ বিভিন্ন সংক্রমণ মূলত এটি একটি অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার। এর ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার ভুলের কারণে সুস্থ কোষ ও কলাগুলো প্রতিরোধব্যবস্থার আক্রমণের শিকার হয়ে উল্লিখিত রোগের সৃষ্টি করে। দেশের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায়, প্রতি লাখের মধ্যে ৬০ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ৎ
রোগের লক্ষণ
দীর্ঘমেয়াদি গিরা ফোলা, ব্যথা ও গিরায় শক্ত ভাব, বিশেষ করে সকালবেলায় আধঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। শিরায় ব্যথা থাকায় গিরাগুলোর নির্দিষ্ট কাজ, যেমন হাঁটা, বসা, লেখা ও অন্যান্য কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়। প্রধানত হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, কনুইয়ের বড় গিরা এবং হাত ও পায়ের পাতার ছোট গিরাগুলো আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া তীব্র জ্বর, শরীরে লালচে দানা এবং যকৃৎ, প্লীহা ও লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে যেতে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে চোখের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এ রোগ হলে আপাতদৃষ্টিতে শিশুকে সুস্থ মনে হতে পারে, আবার কখনো রোগের তীব্রতায় সে কাতর হতে পারে।
বাত রোগে আক্রান্ত শিশুদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা প্রদান না করা হলে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো রোগ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। বাত রোগ ও বাতজ্বরের অনেক বিষয় একই রকমের মনে হলেও এ দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য আছে।
পার্থক্যগুলো হলো
বাত রোগ হতে পারে ১৬ বছর বয়সের নিচে যেকোনো শিশুর। বাতজ্বর হতে পারে পাঁচ থেকে পনেরো বছরের শিশুর।
পরামর্শ দিয়েছেন: শিশু বিভাগ, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
বাতজ্বর শিশুদের অন্যতম একটি রোগ। তাই গিরা ফুলে গিয়ে জ্বর এলেই শিশুটি বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ভেবে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আসলে সেটি বাতজ্বর নয়, বাত রোগ। এমন বিভ্রান্তি প্রায়ই হয়। বাতজ্বর নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অন্যদিকে বাত রোগ বড়দের মতো শিশুদেরও হতে পারে। এর প্রকোপ ব্যাপকভাবে দেখা গেলেও সচেতন চিকিৎসকদের মধ্যে এ বিষয়ে ধারণা অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ। ফলে রোগটি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। ১৬ বছর বয়সের নিচের যেকোনো শিশুর হাত, পা অথবা শরীরের অন্য কোনো গিরা ফোলা ও ব্যথা ছয় সপ্তাহ ধরে চললে তাকে বাত রোগ বা জুভেনাইল ইডিওপেথিক আর্থ্রাইটিস বলা হবে। আগে এ রোগটির নামকরণ নিয়ে মতভেদ ছিল। মার্কিনিরা একে জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আর ইউরোপীয়রা জুভেনাইল ক্রনিক আর্থ্রাইটিস নাম দিয়েছিল। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯৯ সালে এ রোগটির নাম রাখে জুভেনাইল ইডিওপেথিক আর্থ্রাইটিস।
রোগের কারণ
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে গবেষণায় কিছু বিষয়ের কথা বলা হয়েছে এর কারণ হিসেবে। এর মধ্যে আছে— বংশগতির প্রভাব, পরিবেশগত প্রভাব ,ভাইরাসসহ বিভিন্ন সংক্রমণ মূলত এটি একটি অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার। এর ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার ভুলের কারণে সুস্থ কোষ ও কলাগুলো প্রতিরোধব্যবস্থার আক্রমণের শিকার হয়ে উল্লিখিত রোগের সৃষ্টি করে। দেশের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায়, প্রতি লাখের মধ্যে ৬০ শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ৎ
রোগের লক্ষণ
দীর্ঘমেয়াদি গিরা ফোলা, ব্যথা ও গিরায় শক্ত ভাব, বিশেষ করে সকালবেলায় আধঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। শিরায় ব্যথা থাকায় গিরাগুলোর নির্দিষ্ট কাজ, যেমন হাঁটা, বসা, লেখা ও অন্যান্য কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়। প্রধানত হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, কনুইয়ের বড় গিরা এবং হাত ও পায়ের পাতার ছোট গিরাগুলো আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া তীব্র জ্বর, শরীরে লালচে দানা এবং যকৃৎ, প্লীহা ও লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে যেতে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে চোখের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এ রোগ হলে আপাতদৃষ্টিতে শিশুকে সুস্থ মনে হতে পারে, আবার কখনো রোগের তীব্রতায় সে কাতর হতে পারে।
বাত রোগে আক্রান্ত শিশুদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা প্রদান না করা হলে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো রোগ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। বাত রোগ ও বাতজ্বরের অনেক বিষয় একই রকমের মনে হলেও এ দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য আছে।
পার্থক্যগুলো হলো
বাত রোগ হতে পারে ১৬ বছর বয়সের নিচে যেকোনো শিশুর। বাতজ্বর হতে পারে পাঁচ থেকে পনেরো বছরের শিশুর।
পরামর্শ দিয়েছেন: শিশু বিভাগ, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১৬ ঘণ্টা আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১৬ ঘণ্টা আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১৬ ঘণ্টা আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে