ডা. জাহেদ পারভেজ
মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ বেশ পরিচিত রোগ। নানা ধরনের ছত্রাক মাথায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে তিন থেকে চার ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। ছত্রাক অনিয়ন্ত্রিত আকারে বিস্তার লাভ করলে অসহনীয় খুশকি, চুলকানি ইত্যাদি হয়।
যে কারণে হয়
মাথার ত্বকের একটি পরিচিত ছত্রাকের নাম মেলাসিজিয়া। এটি মাথার ত্বকের গোড়ায় বসবাস করে। চুল সুন্দর রাখতে মাথার ত্বকে সিবাম নামে একধরনের তেল নিঃসরণ হয়। মেলাসিজিয়া সিবাম তেল খেয়ে বাঁচে। এটি সিবামের ওপর এনজাইম প্রয়োগ করে। সেই এনজাইম তেল ভেঙে মেলাসিজিয়ার খাওয়ার উপযোগী করে তোলে। তেলের যে অংশটি মেলাসিজিয়া খায় না, তা জমাট বেঁধে মাথার ত্বক ভেদ করে ঢুকে যেতে চায়। ফলে চুলকানি ও জ্বলুনি হয়। যাদের মাথার ত্বকে তেল নিঃসরণ বেশি, তাদের খুশকির আধিক্য বাড়ে। মাথার ত্বক ছাড়াও মুখ, নাক, কান ইত্যাদি জায়গায় খুশকি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
ছত্রাকের আক্রমণে মাথার ত্বকে ময়লার মতো জমা, মৃত ত্বক উঠে আসা, ত্বক থেকে আঁশ ওঠা, কপাল ও ঘাড়ে সাদাটে আবরণ, ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়া, চুলকানি, ত্বক ফাটা এবং রক্ত বের হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
মুক্তি মিলবে যেভাবে
মাথার ত্বক সংক্রমণে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমও মাথার ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা যেকোনো ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
মেলাসিয়া ছত্রাকজনিত খুশকির চিকিৎসায় সাধারণত সহজ ও বাড়তি ওষুধের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু অনেকে হাইপো বা ফটোওয়াশে ব্যবহৃত থায়োসালফেট ত্বকে ব্যবহার করে। হাইপো ত্বকের ছত্রাককে সমূলে বিনষ্ট করলেও এর বিভিন্ন ক্ষতিও করে। মাথার ত্বকে টিনিয়া-জাতীয় ছত্রাকের সংক্রমণে কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারেই মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাকের সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ও শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অস্বস্তি বাড়লে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘরোয়া প্রতিকার
ঘরোয়া উপকরণ দিয়েও ত্বকের সংক্রমণ কমানো যায়। অ্যালোভেরা, বেকিং সোডা, নারকেল ও অলিভ তেল এবং ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমানো যায়।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, ত্বক, চর্ম ও ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল
মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ বেশ পরিচিত রোগ। নানা ধরনের ছত্রাক মাথায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে তিন থেকে চার ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। ছত্রাক অনিয়ন্ত্রিত আকারে বিস্তার লাভ করলে অসহনীয় খুশকি, চুলকানি ইত্যাদি হয়।
যে কারণে হয়
মাথার ত্বকের একটি পরিচিত ছত্রাকের নাম মেলাসিজিয়া। এটি মাথার ত্বকের গোড়ায় বসবাস করে। চুল সুন্দর রাখতে মাথার ত্বকে সিবাম নামে একধরনের তেল নিঃসরণ হয়। মেলাসিজিয়া সিবাম তেল খেয়ে বাঁচে। এটি সিবামের ওপর এনজাইম প্রয়োগ করে। সেই এনজাইম তেল ভেঙে মেলাসিজিয়ার খাওয়ার উপযোগী করে তোলে। তেলের যে অংশটি মেলাসিজিয়া খায় না, তা জমাট বেঁধে মাথার ত্বক ভেদ করে ঢুকে যেতে চায়। ফলে চুলকানি ও জ্বলুনি হয়। যাদের মাথার ত্বকে তেল নিঃসরণ বেশি, তাদের খুশকির আধিক্য বাড়ে। মাথার ত্বক ছাড়াও মুখ, নাক, কান ইত্যাদি জায়গায় খুশকি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
ছত্রাকের আক্রমণে মাথার ত্বকে ময়লার মতো জমা, মৃত ত্বক উঠে আসা, ত্বক থেকে আঁশ ওঠা, কপাল ও ঘাড়ে সাদাটে আবরণ, ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়া, চুলকানি, ত্বক ফাটা এবং রক্ত বের হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
মুক্তি মিলবে যেভাবে
মাথার ত্বক সংক্রমণে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমও মাথার ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা যেকোনো ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
মেলাসিয়া ছত্রাকজনিত খুশকির চিকিৎসায় সাধারণত সহজ ও বাড়তি ওষুধের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু অনেকে হাইপো বা ফটোওয়াশে ব্যবহৃত থায়োসালফেট ত্বকে ব্যবহার করে। হাইপো ত্বকের ছত্রাককে সমূলে বিনষ্ট করলেও এর বিভিন্ন ক্ষতিও করে। মাথার ত্বকে টিনিয়া-জাতীয় ছত্রাকের সংক্রমণে কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারেই মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাকের সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ও শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অস্বস্তি বাড়লে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘরোয়া প্রতিকার
ঘরোয়া উপকরণ দিয়েও ত্বকের সংক্রমণ কমানো যায়। অ্যালোভেরা, বেকিং সোডা, নারকেল ও অলিভ তেল এবং ভিনেগার ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমানো যায়।
ডা. জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, ত্বক, চর্ম ও ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে