মো. ইকবাল হোসেন
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ ঈশ্বরী পাটনীর এই বাণী এখনো যেন সব মা-বাবার প্রার্থনা। দুধে ভিটামিন সি ছাড়া আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সব উপাদান নির্দিষ্ট অনুপাতে আছে। এতে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ, যেমন ক্যালসিয়াম, জিংক, কোবাল্ট, ফসফরাস আছে। দুধে পানির পরিমাণ ৮৬.৫ শতাংশ। এ ছাড়া এতে আছে শর্করা. প্রোটিন, চর্বি, আয়রন ইত্যাদি।
শিশুদের জন্য
শিশুর বয়স ১৮ মাস হলে তাকে গরুর দুধ খাওয়াতে পারবেন। তার আগে খাওয়াবেন না। কারণ গরুর দুধে সোডিয়ামসহ কিছু উপাদান একটু বেশি পরিমাণে থাকে, যেগুলো শিশুর কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শিশুকে প্রথমবার গরুর দুধ খাওয়ানোর পর তাকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, দুধ খেয়ে তার পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, শরীরে অ্যালার্জি, র্যাশ এগুলো হচ্ছে কি না। যদি হয় তাহলে দুধ খেতে না দিয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দুধ পানের উপকারিতা
দুধপানজনিত সমস্যা ও সমাধান
কাঁচা দুধ স্বাস্থ্যকর নয়
কাঁচা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ আমাদের দেশের বেশির ভাগ দুধের খামারে দুধ দোহন পদ্ধতি শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সে ক্ষেত্রে দুধ দোহনের সময় কিছু অপদ্রব্য ও জীবাণু দুধের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তাই কোনোভাবেই দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
কখন দুধ খাবেন
যেকোনো সময় দুধ খাওয়া যায়। আমরা সাধারণত রাতের খাবারের পরে, ঘুমানোর আগে দুধ খেতে অভ্যস্ত। এটা ভালো অভ্যাস। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা বিকেলে দুধ খাবেন। রাতে দুধ খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আপনি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে, রাতের খাবারের পরিমাণ ঠিক রেখে রাতে দুধ খেতে পারেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও একই পরামর্শ থাকবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টিবিদ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ ঈশ্বরী পাটনীর এই বাণী এখনো যেন সব মা-বাবার প্রার্থনা। দুধে ভিটামিন সি ছাড়া আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সব উপাদান নির্দিষ্ট অনুপাতে আছে। এতে সব ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ, যেমন ক্যালসিয়াম, জিংক, কোবাল্ট, ফসফরাস আছে। দুধে পানির পরিমাণ ৮৬.৫ শতাংশ। এ ছাড়া এতে আছে শর্করা. প্রোটিন, চর্বি, আয়রন ইত্যাদি।
শিশুদের জন্য
শিশুর বয়স ১৮ মাস হলে তাকে গরুর দুধ খাওয়াতে পারবেন। তার আগে খাওয়াবেন না। কারণ গরুর দুধে সোডিয়ামসহ কিছু উপাদান একটু বেশি পরিমাণে থাকে, যেগুলো শিশুর কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শিশুকে প্রথমবার গরুর দুধ খাওয়ানোর পর তাকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, দুধ খেয়ে তার পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, শরীরে অ্যালার্জি, র্যাশ এগুলো হচ্ছে কি না। যদি হয় তাহলে দুধ খেতে না দিয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দুধ পানের উপকারিতা
দুধপানজনিত সমস্যা ও সমাধান
কাঁচা দুধ স্বাস্থ্যকর নয়
কাঁচা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ আমাদের দেশের বেশির ভাগ দুধের খামারে দুধ দোহন পদ্ধতি শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সে ক্ষেত্রে দুধ দোহনের সময় কিছু অপদ্রব্য ও জীবাণু দুধের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তাই কোনোভাবেই দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
কখন দুধ খাবেন
যেকোনো সময় দুধ খাওয়া যায়। আমরা সাধারণত রাতের খাবারের পরে, ঘুমানোর আগে দুধ খেতে অভ্যস্ত। এটা ভালো অভ্যাস। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা বিকেলে দুধ খাবেন। রাতে দুধ খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আপনি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে, রাতের খাবারের পরিমাণ ঠিক রেখে রাতে দুধ খেতে পারেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও একই পরামর্শ থাকবে।
লেখক: সিনিয়র পুষ্টিবিদ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
৩ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১৫ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে